খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা | রোগ নিরাময়কারী জান্নাতি ফল

Author:

Published:

Updated:

খেজুরের উপকারিতা

বর্তমান ভেজালের যুগে নিজেকে সুস্থ সচল রাখা কিছুটা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। তাই এই সময়ে এসে খেজুর খুব ভালো খাদ্য হতে পারে। খেজুরের পুষ্টি সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি। খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, খনিজ উপাদান, ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম, চিনি এছাড়াও আরো বহু উপকারী উপাদান সমূহ। এতে আছে আশ্চর্য রোগ নিরাময় শক্তি। 

খেজুরে শক্তিশালী অ্যান্টি এক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে এটা দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য উন্নতির জন্য খুবই ভালো। খেজুর খুব সুস্বাদু একটি খাবার। এছাড়াও খেজুর ফ্রকটোজ ও গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। যাদের চিনি খেতে সমস্যা তাদের জন্য চিনির বিকল্প হিসাবে খেজুর-কে ধরা হয়। খেজুর শক্তির খুব ভালো একটি উৎস, এটা খাওয়ার সাথে সাথেই শরীরের সকল ক্লান্তি ভাব দূর হয়ে যায়। সাধারণত বিশ্বের সকল দেশে খেজুর উৎপাদন হয়। তবে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলোতে খেজুরের খুব ভালো উৎপাদন হয়। মাঝারি আকারের একটি খেজুর গাছের উচ্চতা ১৫ মিটার থেকে ২৫ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। খেজুরের উপকারিতা অনেক। খেজুরের খাওয়ার সুফল ও অপকারিতা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জেনে নিই:

খেজুরের পুষ্টি উপাদান

খেজুরে অনেক পুষ্টি উপাদান আছে। খেজুরে আছে ভিটামিন বি, ক্যালোরি, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ফাইবার ও অন্যান্য আরো পুষ্টিকর উপাদান। খেজুর ফ্রকটোজ ও গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ একটি মিষ্টি জাতীয় ফল। নিচে ৩০ গ্রাম খেজুরে যে পরিমান পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় তা দেওয়া হল:

৯০ ক্যালোরি

১ গ্রাম প্রোটিন

১৩ মি.লি গ্রাম ক্যালসিয়াম

২.৮ গ্রাম ফাইবার 

এগুলো ছাড়াও খেজুরে অনেক পুষ্টি উপাদান আছে যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার।

খেজুরের উপকারিতা

প্রকৃতি থেকে পাওয়া প্রত্যেকটা ফল আমাদের শরীরের বিভিন্ন উপকারে আসে। খেজুর ঠিক তেমনি একটি ফল। প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেহের স্বাস্থ্য উপকারিতায় ব্যবহার হয়ে আসছে খেজুর। খেজুর খেলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাহলে চলুন জেনে নেই খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে:

১) হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: খেজুর হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। খেজুর শরীরে দ্রবণীয় ভোজ্য আশঁ সরবরাহ করে। এই আশঁ আমাদের শরীরের জন্য যে খারাপ কোলেস্টরল গুলো আছে সেগুলোকে এল ডি এল এর সাথে যুক্ত হয়ে রক্তে মিশতে বাধা দেয়। যার কারনে কোলেস্টেরলে থাকা ফ্যাটি লিপিড রক্তনালীতে জমতে পারেনা। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।

২) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: খেজুরে থাকা ভোজ্য আশেঁ এক ধরনের উপাদান চে।, যা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এজন্য ডায়াবেটিস রোগীরা খেজুর খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টি খেতে মনে চাইলে খেজুর খেতে পারেন।

৩) ক্যান্সার প্রতিরোধে: নিয়মিত খেজুর খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে যায়। কারণ খেজুরে আছে ক্যারোটিনয়েড, পলিফেনলস ও অ্যান্থোসায়ানিনস ধরনের এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধে মারাত্মকভাবে কাজ করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় খেজুর রাখুন।

৪) পুষ্টির ঘাটতি মেটায়: শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে খেজুর দারুন ভূমিকা রাখে। যার কারণে পুষ্টির অভাবে যেসব রোগ দেখা দেয় সে সব রোগ হয় না। চিকিৎসকদের মতে, মানুষ দৈনন্দিন খাবারে পটাশিয়াম, ভোজ্য আঁশ, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম এই চারটি পুষ্টি উপাদান কম খায়। এর ফলে আমাদের শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। প্রতিদিন কেউ যদি চারটি খেজুর খায় তাহলে ভোজ্য আঁশ দৈনিক চাহিদা ২৭ শতাংশ ও পটাশিয়ামের দৈনিক চাহিদার ২০ শতাংশ পূরণ হয়ে যায়। তাই নিয়মিত খেজুর খেলে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ হবে।

৫) প্রোটিন সরবরাহ করে: প্রোটিন আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান । আর খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। তাই প্রতিদিন খেজুর খেলে আমাদের শরীর প্রোটিন সমৃদ্ধ হয় এবং পেশি গঠন করতে সাহায্য করে।

৬) কোলেস্টেরল ও ফ্যাট: খেজুরে কোলেস্টেরল ও অতিরিক্ত কোন চর্বি থাকে না। যার ফলে নিয়মিত খেজুর খেলে কোলেস্টেরল ও শরীরের জন্য ক্ষতিকর চর্বি থেকে বাঁচা যায়।

৭) ভিটামিনের অভাব পূরণ করে: ভিটামিন আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। ভিটামিনের অভাবে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। খেজুরের বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন আছে, যা আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে। খেজুরের মধ্যে আছে ভিটামিন বি১, বি২, বি৩ এবং বি৫, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি। তাই শরীরের ভিটামিনের অভাব পূরণ করতে নিয়মিত খেজুর খাওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও নিয়মিত খেজুর খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে ও রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করে।

৮)হাড় গঠন ও মজবুত করে: খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। যা আমাদের শরীরের হাড় গঠন ও মজবুত করতে সাহায্য করে। তাই শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করতে নিয়মিত খেজুর খান ও বাচ্চাদের মাড়ি শক্ত করতে বাচ্চাদেরকে নিয়মিত খেজুর খাওয়ান।

৯) আয়রন সমৃদ্ধ করে: আয়রন আমাদের শরীরের জন্য খুবই দরকারি। আয়রন আমাদের হৃদপিন্ডের কার্যক্ষমতা বাড়তে সাহায্য করে। শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকলে বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। তাই শরীরের আয়রনের অভাব পূরণ করতে নিয়মিত খেজুর খান।

১০) রক্তশূন্যতা দূর করে: খেজুরে থাকা মিনারেল ও আয়রন আমাদের শরীরে রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। তাই যাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম তারা নিয়মিত খেজুর খাবেন।

১১) কর্মশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে: খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি, ভিটামিন ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান যা আমাদের শরীরে খুব দ্রুত শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রোজার মাসে সারাদিন রোজা রাখার পর যখন শরীর ক্লান্ত হয়ে যায় তখন ইফতারের সময় ২টি খেজুর খেলে শরীরের সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।

১২) রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে: খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ আইরন যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই দুধের সাথে খেজুর মিশিয়ে খেতে পারেন। এই দুটি জিনিস একসাথে মিশিয়ে খেলে আয়রনের মাত্রা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়।

১৩) স্নায়ুতন্ত্রের কর্ম ক্ষমতা বাড়ায়: খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, যা মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনার গতি বৃদ্ধি করে এবং স্নায়ুতন্ত্রের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই ছাত্র ছাত্রীরা স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে নিয়মিত খেজুর খেতে পারে।

১৪) উচ্চ রক্তচাপ কমায়: খেজুরে আছে পটাশিয়াম ও সোডিয়াম, যা দেহে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই যাদের হাই প্রেসার তারা নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন। উচ্চ রক্তচাপ কমানোর পাশাপাশি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।

খেজুরের অপকারিতা

প্রত্যেকটা জিনিসেরই উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতাও থাকে। ঠিক তেমনি খেজুরের অসংখ্য উপকারিতার পাশাপাশি রয়েছে কিছু অপকারিতা। তাহলে চলুন জেনে নেই খেজুরের অপকারিতা গুলো:

১)ওজন বৃদ্ধি: খেজুর উচ্চ ক্যালোরি বা শক্তির একটি ফল। খেজুরে থাকা উচ্চ মাত্রার ক্যালরির জন্য অতিরিক্ত খেজুর খেলে খুব দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পায়। আর যাদের এমনিতেই ওজন একটু বাড়তি তাদের অতিরিক্ত খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

২) এলার্জি বৃদ্ধি: যাদের শরীরে এলার্জি আছে তারা অতিরিক্ত খেজুর খেলে এলার্জি বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই এলার্জি থাকলে অতিরিক্ত খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

৩) রক্তে চিনি বৃদ্ধি: খেজুরে আছে প্রাকৃতিক চিনি বা সুগার।  তাই অতিরিক্ত খেজুর খেলে ব্লাড সুগার বেড়ে  যেতে পারে। তাই অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার আগে ব্লাড সুগারের মাত্রা চেক করে নিবেন।

আজওয়া খেজুরের উপকারিতা

আজওয়া খেজুরের উপকারিতা

খেজুরের অনেক জাত আছে, এর মধ্যে সবথেকে প্রসিদ্ধ ও উন্নত জাত হলো আজওয়া। হাদিসেও এই খেজুরের বরকত ও ফজিলতের কথা উল্লেখ রয়েছে। এই খেজুরগুলো মূলত পবিত্র মক্কা নগরীতে উৎপন্ন হয়। আজওয়া খেজুরের গাছ সর্বপ্রথম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ হাতে রোপন করেছিলেন।

আজওয়া খেজুর সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সেদিন বিষ ও যাদু তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না-বুখারি শরীফ। আমাদের প্রিয় নবী( সাঃ)আরো বলেছিলেন, এই খেজুর হলো রোগ নিরাময়কারী ও এটি জান্নাতের ফল। এর মধ্যে রয়েছে বিষ নিরাময়কের  বিশেষ গুণ।

আজওয়া খেজুরের পুষ্টিগুণ

আজওয়া খেজুর অনেক পুষ্টি গুনাগুন সমৃদ্ধ। এই খেজুর আমাদের শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপাদান পূরণ করতে সাহায্য করে। যেমন আমিষ, শর্করা, খাদ্য আঁশ, স্বাস্থ্যসম্মত ফ্যাট, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে ইত্যাদির অভাব পূরণে সাহায্য করে। এছাড়াও রয়েছে ক্যারোটিন যা চোখের জন্য বেশ উপকারী।

মরিয়ম খেজুর এর উপকারিতা

খেজুরের জাতের মধ্যে খুবই প্রসিদ্ধ একটি জাত হলো মরিয়ম খেজুর। যত শুকনা খেজুর আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উপকারী ও পুষ্টি সমৃদ্ধ হলো মরিয়ম খেজুর। মরিয়ম খেজুরে নানা উপকারী ও পুষ্টিগুণ রয়েছে, যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নিই উপকারিতা গুলো:

১) ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

২) দেহের রক্তশূন্যতা দূর করে।

৩) পেশি গঠনে সাহায্য করে।

৪) হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে।

৫) এর মধ্যে থাকা ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

৬) দেহের সকল ক্লান্তি দূর করে

খেজুর খাওয়ার নিয়ম

খেজুর খাওয়ার সুফল সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। কিন্তু খেজুর কখন খাব এবং কখন খেলে উপকারিতা পাওয়া যাবে তাও জানা উচিত। চলুন তাহলে নিয়ম মেনে কিভাবে খেজুর খেতে হবে তা জেনে নেই,

খেজুর যখন মন চায় তখনই খেতে পারবেন কোন সমস্যা নেই। বিশেষ করে সকালে খেজুর খেতে পারেন। এতে সারাদিন দেহে শক্তি পাওয়া যাবে। তাছাড়াও সকালে উঠে খেজুর খেলে পেট থেকে দূষিত পদার্থ দূর হয়ে যায়। সকালে খেজুর খাওয়ার ফলে সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়

সকালে ব্যায়াম করার ঠিক আধা ঘন্টা আগে খেজুর খেতে পারেন। এতে করে ব্যায়াম করার সময় ক্লান্তি আসবে না, যার ফলে দীর্ঘ সময় ব্যায়াম করতে পারবেন। 

রোজার সময় ইফতারে  খেজুর খেতে পারেন। এতে করে সারাদিনে যত ক্লান্তি আছে সব দূর হবে ও শরীর শক্তি  পাবে।

পেটে কোন সমস্যা থাকলে বা পেট খারাপ থাকলে বা হজমে সমস্যা হলে খেজুর না খাওয়াই উত্তম।

সবশেষে, খেজুরের উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। খেজুর হলো উত্তম ও জান্নাতি ফল। আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নিয়মিত খেজুর খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এছাড়াও খেজুর ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা অনেক। খেজুর ভিজিয়ে খেলে চিকন মানুষদের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি পায়। 

তাছাড়া খালি পেটে খেজুর খেলে কি হয় তা অনেকেই জানেনা। যারা অনেক বেশি স্বাস্থ্যবান তারা খালি পেটে খেজুর খেলে খুব বেশি ক্ষুধা লাগবে না। খুরমা খেজুরের উপকারিতাও অনেক। খুরমা খেজুর খেলে শিশুদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও শুকনো খেজুর কিভাবে খেতে হয় সে সম্পর্কেও অনেকে অবগত নয়। শুকনো খেজুর খাওয়ার নিয়ম হলো যারা ডায়েটে আছে তারা যেকোনো সময় খেতে পারবে। এতে করে ক্ষুধা কম লাগবে। আশা করি খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনাকে সঠিক জ্ঞান দিতে পেরেছি। খেজুর খেলে শরীরের সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। তাই আপনার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় খেজুর রাখার চেষ্টা করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Latest posts

  • সর্দি থেকে মুক্তির উপায়, নাকের এলার্জি দূর করার উপায় | দ্রুত উপশম পেতে ঘরোয়া চিকিৎসা

    সর্দি থেকে মুক্তির উপায়, নাকের এলার্জি দূর করার উপায় | দ্রুত উপশম পেতে ঘরোয়া চিকিৎসা

    নাকের এলার্জি হচ্ছে নাকের ঝিল্লি প্রদাহের কারণে নাকের একটি সমস্যা। এটি সারা বিশ্বব্যাপী একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ নাকের এই রোগে আক্রান্ত। নাকের এলার্জি কোন মারাত্মক ক্ষতিকর রোগ না হলেও এ রোগের কারণে দৈনন্দিন জীবন প্রবাহ ব্যাহত হয়। এলার্জিজনিত সর্দি এবং হাঁচি জীবনকে অতিষ্ট করে তোলে। এই রোগে হঠাৎ…

    Read more

  • কফ, কাশি দূর করার উপায় | সঠিক চিকিৎসাই হতে পারে কাশি দূরীকরণের মাধ্যম

    কফ, কাশি দূর করার উপায় | সঠিক চিকিৎসাই হতে পারে কাশি দূরীকরণের মাধ্যম

    গলায় বুকে কফ জমে থাকা বেশ বিরক্তিকর একটি সমস্যা। ঋতু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়। আর আবহাওয়ার এই দ্রুত পরিবর্তন আমাদের শরীর খাপ খাওয়াতে পারে না, যার কারণে সৃষ্টি হয় ঠান্ডা জ্বর ও সর্দি-কাশির। ঠান্ডা সর্দি কাশি এগুলো আমাদের কাছে খুব পরিচিত রোগ হলেও এই ঠান্ডা সর্দি কাশি থেকে আমাদের দেহে অনেক বড় বড় অসুখ…

    Read more

  • ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চার্ট | সুস্থ স্বাভাবিক জীবন

    ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চার্ট | সুস্থ স্বাভাবিক জীবন

    সুস্থ স্বাভাবিক এবং রোগমুক্ত জীবন আমরা কে না চাই। আর এই সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করার একমাত্র উপায় হচ্ছে শারীরিক ওজন ঠিক রাখা। কেননা ওজন বেড়ে গেলে যে কোন রোগের ঝুঁকি ও বেড়ে যায়। এজন্য বাড়তি ওজন অনেকের মানসিক অসুস্থির প্রধান কারণ। তাই রোগ প্রকোপ কমাতে এবং মানসিক শান্তির উদ্দেশ্যে আমাদের সকলের উচিত শারীরিক ওজন…

    Read more