মোটা হওয়ার সহজ উপায় | খাদ্য তালিকা মেনে শরীর ফিট রাখুন, সুস্থ থাকুন

Author:

Published:

Updated:

মোটা হওয়ার সহজ উপায়

অতিরিক্ত মোটা হওয়া যেমন ভালো না নিজের কাছে অস্বস্থি অস্বস্তি লাগে, ঠিক তেমনি অতিরিক্ত চিকন হলেও বেমানান দেখায়। অনেক মানুষ আছেন যারা মোটা হওয়ার জন্য অনেক কিছুই ট্রাই করছেন কিন্তু বেশিরভাগ সময় সেগুলো কাজে লাগছে না। আমাদের শরীরের বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী ওজন কম হওয়া খুব বড় একটি সমস্যা। তাই চলুন আজকে জানা যাক মোটা হওয়ার সহজ উপায়।

কিভাবে মোটা হওয়া যায়

মোটা হওয়াটা একটু কষ্টকর একটি ব্যাপার। তবে এর কিছু সহজ সমাধানও আছে, যা মেনে চললে মোটা হওয়াটা সহজ হয়ে যায়। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক মোটা হওয়ার টিপসগুলো সম্পর্কেঃ

 ১) ব্যায়াম করা

আমাদের অনেকেরই একটা ভুল ধারণা আছে যে শুধুমাত্র ওজন কমাতে এবং চিকন হতে ব্যায়াম করা হয় কিন্তু এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। ওজন কমানোর জন্য যেমন ব্যায়ামের প্রয়োজন আছে ঠিক ওজন বাড়ানোর জন্যও ব্যায়ামের দরকার। এক্ষেত্রে শুধু দৌড়, লাফ যথেষ্ট নয়; পাশাপাশি আপনাকে প্রতিদিন নিয়ম করে একজন অভিজ্ঞ ট্রেইনারের কাছে জিমে যেতে হবে। আপনার উচ্চতা ও ওজন দেখেই ট্রেইনার আপনাকে নির্দিষ্ট একটি নিয়ম ও খাবারের চার্ট দিবে, যা আপনাকে প্রতিদিন ফলো করতে হবে।

২) বারবার খাবার গ্রহণ

ওজন বাড়ানো বা মোটা হওয়ার জন্য খাবারের বিকল্প কিছু নেই। হ্যাঁ, তবে তা হতে হবে নিয়ম অনুযায়ী। বারবার খাবার গ্রহণ করা অনেক প্রয়োজন। একবারে অনেক খাবার না খেয়ে প্রতি দুই তিন ঘণ্টা পরপর অল্প অল্প করে কিছু খাবার খান। শরীরে পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য দুধ, ডিম, ফল, ছানা, দই জাতীয় খাবার বেশি বেশি খান। এটি মোটা হওয়ার সবচাইতে সহজ সমাধান।

৩) খাবারে কার্বোহাইড্রেট রাখুন

কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার ওজন বাড়াতে খুব সহযোগিতা করে। এজন্য ওজন বাড়াতে চাইলে খাবারের তালিকায় সব সময় কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার রাখুন। ভাত এবং রুটিতে সবচাইতে বেশি কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন অত্যন্ত দুই বেলার খাবারে ভাত ও রুটি রাখার চেষ্টা করুন। তার মানে এই নয় কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার বেশি বেশি খাবেন। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট ফ্যাটের কারণ, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই প্রতিদিন পরিমাণ মতো নির্দিষ্ট মাপে কার্বোহাইড্র খাবার খান, এটা মোটা হওয়ার খুব সহজ উপায় গুলোর মধ্যে একটি।

8) বেশি বেশি ক্যালোরি গ্রহণ

ওজন কমানোর জন্য যেমন ক্যালরি বার্ণ করতে হয়, কম কম ক্যালরি নিতে হয়, শরীরে ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে ঠিক উল্টো; যতোটুকু ক্যালরি বার্ন করতে হবে ঠিক তার দ্বিগুণ ক্যালরি গ্রহণ করতে হবে। শরীরের চাহিদা থেকে বেশি ক্যালোরি নিন। খুব দ্রুত ওজন বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ ক্যালোরি গ্রহণ করতে হবে। আর যদি একটু আস্তে আস্তে ওজন বাড়াতে চান তাহলে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ ক্যালোরি গ্রহণ করলেই হবে। এভাবে এক সপ্তাহ করতে থাকলে আপনার ওজন বাড়বে।

৫) সঠিক প্রোটিন গ্রহণ

শুধুমাত্র ক্যালোরি যথেষ্ট নয়, ওজন বাড়ানোর জন্য এর পাশাপাশি দরকার সঠিক প্রোটিনের। সঠিক মাত্রায় প্রোটিন  গ্রহন না করলে ক্যালরি ফ্যাটের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই প্রতিদিন খাবারের তালিকায় প্রোটিন জাতীয় খাবার আবশ্যক। যেমন দুধ, ডিম, ডাল এগুলো খাবার অবশ্যই রাখার চেষ্টা করবেন।

শরীর মোটা করার উপায়:

শরীর মোটা করতে হলে আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী খাবার খেলে শরীর সহজেই মোটা করা সম্ভব। চলুন জানা যাক শরীর মোটা করার সহজ উপায়:

মোটা হওয়ার সহজ উপায়

১) ড্রাই ফুডস খাওয়া

ড্রাই ফুডসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি ও ফ্যাট, যা ওজন বৃদ্ধিতে অনেক সাহায্য করে। আপনি প্রতিদিন সকালে উঠেই ২টি কাজুবাদাম ও ২টি কিসমিস খাবেন। আর সকালের নাস্তায় রাখুন পেস্তা বা আমন্ড। আপনার ওজন বৃদ্ধির ডায়েট চার্টে বাদামের পরিমাণ বেশি রাখুন। এভাবেই সঠিক নিয়মে ড্রাই ফুডস খেলে এক মাসের মধ্যেই দেখতে পারবেন আপনার ওজন বৃদ্ধি হচ্ছে।

২) টেনশন মুক্ত থাকুন

সব সমস্যার মূল হচ্ছে টেনশন। অতিরিক্ত টেনশনের ফলে আপনার ওজন কমে যাবে। অতিরিক্ত টেনশনের ফলে খাবারদাবার বা ঘুম ঠিক মত হবে না, যার কারণে ওজন অটোমেটিক কমে যাবে। তাই ওজন বাড়াতে চেষ্টা করবেন সব সময় টেনশন মুক্ত থাকার জন্য। শুধুমাত্র ওজন বাড়াতেই নয় ওজন কমাতেও টেনশন মুক্ত থাকা দরকার।

৩) পর্যাপ্ত ঘুম

শরীরকে সুস্থ সবল রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প কিছু নেই। চেষ্টা করুন প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমানোর এবং ঘুম থেকে উঠে ইয়োগা বা যোগাসন করুন। এতে আপনার ওজন খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।

৪) ঘুমানোর আগে দুধ ও মধু পান

ঘুমাতে যাওয়ার আগে সব সময় পুষ্টিকর ও ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। ঘুমাতে যাচ্ছেন, এই কারণে শরীর থেকে ক্যালরি খরচ হবে না বরং সারারাত আপনার শরীরে ক্যালরি কাজ করবে যা ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। তাই আপনি প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুধের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এটা ওজন বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকরী এবং মোটা হওয়ার সহজ উপায়।

৫) ডায়েটে চকলেট এবং চিজ রাখুন

সচারচর বাইরের খাবার খাওয়া ঠিক না। কিন্তু ওজন বৃদ্ধিতে বাইরের খাবার খুবই কার্যকর। যেমন আইসক্রিম, বার্গার । কিন্তু এগুলো বেশি পরিমাণ খাওয়া যাবেনা। এগুলো বেশি খেলে শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। চাইলেই এগুলো খেয়ে ওজন বাড়াতে পারেন কিন্তু তা হতে হবে পরিমাণ মতো। তাই প্রতিদিন ডায়েটে চকলেট এবং চিজ রাখুন।

৭ দিনে মোটা হওয়ার উপায়

আপনি চাইলেই সাত দিনে মোটা হতে পারবেন কিন্তু মনে রাখবেন কোন কাজই তাড়াতাড়ি ভালো না। তাই এ পন্থা অবলম্বন করা উচিত না। কিছু ওষুধের মাধ্যমে সাত দিনেই মোটা হতে পারবেন। দেহের পুষ্টির ঘাটতি কমিয়ে, নিয়ম মত খাবার খেয়ে, ক্যালরিযুক্ত ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে সঠিক নিয়মে মোটা হতে হবে।

৭ দিনে মোটা হওয়ার কিছু নিয়ম হচ্ছে।

১) অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ

স্বাভাবিকের চেয়ে অতিমাত্রায় ক্যালোরি গ্রহণ করতে হবে। প্রতিদিন ঘরে ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ক্যালোরি গ্রহণ করতে হবে। দুধ, ডিম, ডাল, শাক-সবজি ইত্যাদি প্রোটিন যুক্ত খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। ঘুমানোর আগে দুধের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে হবে এবং পরিমাণ মতো বাইরের খাবার খেতে হবে। যেমন বার্গার, চিজ, আইসক্রিম ইত্যাদি।

২) খেজুর ও দুধ খেতে হবে

খেজুর, দুধ ও বাদাম একসাথে ব্লেন্ড করে খেতে পারেন। এটি খুবই কার্যকর। সকালে এবং রাতে দুই বেলা খেতে হবে।

৩) মোটা হওয়ার ঔষধের নাম

সাত দিনে মোটা হওয়ার জন্য সবচাইতে সহজ উপায় এটি। সিনকারা নামের একটি ওষুধ আছে, যেটি খেলে আপনি সাত দিনে মোটা হতে পারবেন। এটি হামদার্দের প্রোডাক্ট।

কিভাবে মোটা হওয়ার যায়

মোটা হওয়ার প্রাকৃতিক ওষুধ

মোটা হওয়ার কোন প্রকার ওষুধ না খেয়েও খুব সহজেই শরীরকে মোটাতাজা করতে পারবেন। এর জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন আপনার খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনা। যদি আপনি খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে পারেন এবং পর্যাপ্ত খাদ্য খেতে পারেন, তাহলে আপনি প্রাকৃতিকভাবে মোটা হতে পারবেন।

প্রাকৃতিক ভাবে মোটা হওয়ার জন্য আপনি দিনে যতটুক কাজ করেন বা পরিশ্রম করেন তার থেকে বেশি খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। ভুলেও না খেয়ে থাকবেন না। পরিমাণের চেয়ে বেশি খান এবং নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবারগুলো মোটা হতে সাহায্য করে কিন্তু তা পরিমান মত খেতে হবে এবং খাদ্য তালিকায় অবশ্যই এই ধরনের খাবার রাখুন। বেশি রাত জাগবেন না। অতিরিক্ত রাত জাগার কারণে শরীর দুর্বল হতে থাকে। যেহেতু প্রাকৃতিকভাবে মোটা হওয়ার তেমন কোন নির্দিষ্ট ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। তাই প্রাকৃতিকভাবে মোটা হওয়ার উৎস হচ্ছে বেশি বেশি খাবার খাওয়া, নিয়ম মত ব্যায়াম করা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো।

মোটা হওয়ার সবচেয়ে ভালো ঔষধ 

বাজারে মোটা হওয়ার অনেক ওষুধ পাওয়া যায়। এর মধ্যে অনেক ওষুধ আছে যে ওষুধ কিনে মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। চলুন মোটা হওয়ার ভালো কিছু ওষুধ সম্পর্কে জানা যাক:

১)মোটা হওয়ার ট্যাবলেট

শরীরকে মোটা করার জন্য সবচাইতে কার্যকরী ট্যাবলেট হচ্ছে গুড হেলথ। মোটা হওয়ার জন্য এটি একটি আদর্শ ঔষধ। এই ট্যাবলেটটি ইন্ডিয়ান ঔষধ, যা আপনি ঘরে বসে অনলাইনে যে কোন সময় কিনতে পারবেন ‌।

২) মোটা হওয়ার হোমিও ঔষধ

হোমিও ঔষধ গুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকরী ঔষধ হচ্ছে আলফামালট। তবে এটি সেবনের পূর্বে অবশ্যই হোমিও ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

৩) ভিটামিন ই ক্যাপসুল

মোটা হওয়ার জন্য ভিটামিন ও ক্যালোরিযুক্ত খাবারগুলোর বিকল্প নেই। তবে আপনি যদি দ্রুত মোটা হতে চান তাহলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল সেবন করতে পারেন।

এছাড়াও বাজারে Practin, Betnesol, Ciplactin এগুলো ঔষধও মোটা হওয়ার জন্য বেশ জনপ্রিয়।

স্বাস্থ্য সচেতন থাকা খুবই জরুরী। কারণ একমাত্র স্বাস্থ্য ভালো থাকলেই মন-মেজাজ ভালো থাকে আর কা্জেও মনোনিবেশ করা যায়। মোটা হওয়ার সহজ উপায় হিসেবে সব সময় প্রাকৃতিক উপায় গুলো অবলম্বন করার চেষ্টা করুন। বাজারে যেসব মোটা হওয়ার ওষুধ পাওয়া যায় এর বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে, যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। আর যেকোনো ধরনের ঔষধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Latest posts

  • সর্দি থেকে মুক্তির উপায়, নাকের এলার্জি দূর করার উপায় | দ্রুত উপশম পেতে ঘরোয়া চিকিৎসা

    সর্দি থেকে মুক্তির উপায়, নাকের এলার্জি দূর করার উপায় | দ্রুত উপশম পেতে ঘরোয়া চিকিৎসা

    নাকের এলার্জি হচ্ছে নাকের ঝিল্লি প্রদাহের কারণে নাকের একটি সমস্যা। এটি সারা বিশ্বব্যাপী একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ নাকের এই রোগে আক্রান্ত। নাকের এলার্জি কোন মারাত্মক ক্ষতিকর রোগ না হলেও এ রোগের কারণে দৈনন্দিন জীবন প্রবাহ ব্যাহত হয়। এলার্জিজনিত সর্দি এবং হাঁচি জীবনকে অতিষ্ট করে তোলে। এই রোগে হঠাৎ…

    Read more

  • কফ, কাশি দূর করার উপায় | সঠিক চিকিৎসাই হতে পারে কাশি দূরীকরণের মাধ্যম

    কফ, কাশি দূর করার উপায় | সঠিক চিকিৎসাই হতে পারে কাশি দূরীকরণের মাধ্যম

    গলায় বুকে কফ জমে থাকা বেশ বিরক্তিকর একটি সমস্যা। ঋতু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়। আর আবহাওয়ার এই দ্রুত পরিবর্তন আমাদের শরীর খাপ খাওয়াতে পারে না, যার কারণে সৃষ্টি হয় ঠান্ডা জ্বর ও সর্দি-কাশির। ঠান্ডা সর্দি কাশি এগুলো আমাদের কাছে খুব পরিচিত রোগ হলেও এই ঠান্ডা সর্দি কাশি থেকে আমাদের দেহে অনেক বড় বড় অসুখ…

    Read more

  • ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চার্ট | সুস্থ স্বাভাবিক জীবন

    ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চার্ট | সুস্থ স্বাভাবিক জীবন

    সুস্থ স্বাভাবিক এবং রোগমুক্ত জীবন আমরা কে না চাই। আর এই সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করার একমাত্র উপায় হচ্ছে শারীরিক ওজন ঠিক রাখা। কেননা ওজন বেড়ে গেলে যে কোন রোগের ঝুঁকি ও বেড়ে যায়। এজন্য বাড়তি ওজন অনেকের মানসিক অসুস্থির প্রধান কারণ। তাই রোগ প্রকোপ কমাতে এবং মানসিক শান্তির উদ্দেশ্যে আমাদের সকলের উচিত শারীরিক ওজন…

    Read more