শৌনক দত্তের কবিতা
কবি শৌনক দত্তের তিনটি কবিতা
নির্জনতার ডাকনাম মৃত্যু
জন্ম খুলে বসে আছে মৃত্যুর বিস্ময়, একটা প্রেমহীন আয়নায় প্রতিদিন মুখগুলো গলে যায় রোদের বিকালে মৃত ডুমুরের নীরবতায়। ক্রমশই রহস্যপূর্ণ হয়ে ওঠে চিলেকোঠায় পুরোনো চিঠির বান্ডিলে শব্দের সিম্ফনি, নৈঃশব্দ্যের নিঃশ্বাস।
বল “মৃত্যু” এবং পুরো বাড়িটা জমে যায়—
পড়ন্ত বিকাল, স্টাডি
০৩ জানুয়ারি, ২০১৯
হঠাৎ পাওয়া ছেলেবেলা…
রাফ খাতা ভর্তি দুপুর, সাইকেল নির্জনতা
সেই সব ছায়াপথ… সেই সব মুখরতা
হঠাৎ পাওয়া ছেলেবেলা!
ঘড়িপাড়ার পুল পেরিয়ে
স্মৃতি বনের পাশ দিয়ে যে রঙ্গীন ঢালু পথ চলে গেছে, তার শেষ মাথায় সুনসান একটা ছেলেবেলা দাঁড়িয়ে। নয়নাপাড়ায় কুটুম্ব বৃষ্টি নামলে নির্জনতার বুকে জমা হওয়া সমস্ত বিষন্নতার সংগীত আমার মুখস্থ। আমি তার স্বরলিপি লিখে রেখেছি জং ধরা নীল বেহালার তারে.
ফেরিওয়ালাঘুম দুপুরে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকা পথের উড়নচন্ডী ধুলোয় যত হাহাকার ডুবে থাকে, সোনালী, রুপালী আধুলির ছক আঁকতে আঁকতে খুব তাচ্ছিল্যে আটকা পড়েছে আমার যাবজ্জীবন, আমার ক্ষয়ে যাওয়া পেন্সিলের পাশে,
সে পথ আমার সমগ্র সংসার হারিয়ে ঘরের দিকে ফিরে যাওয়া……
শীতে বেডরুম ঢাকা, মধ্যদুপুর
০৫ জানুয়ারি, ২০১৯
যেখানে তোমার মুখ…
শূন্য হাওয়ায়-
আমি গুপ্তধন খুঁজছিলাম
স্বচ্ছ জলে তোমার মুখ
উড়ে এলো, যেন-
কুয়োয় প্রতিফলিত চাঁদ
যেখানে খুব ইচ্ছে পুষি
তোমার চুমুর হিমশীতল আগুন পরশ
শুধু আমার ঠোঁটের জলে
যেখানে তোমার প্রতিফলন হয়, প্রাণবন্ত!
ঠিক সেখানে নয়, সেখানে-
যেখানে আমি পেছন ফিরে দেখি-
শূন্য হাওয়া!
শীতের বিকাল,ছাদ
০২ জানুয়ারি, ২০১৯