চুল কালো করার উপায় | মজবুত ঘন কালো চুল

Author:

Published:

Updated:

চুল কালো করার উপায়

বর্তমানে অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন ও পরিবেশ দূষণের কারণে অল্প বয়সেই মানুষের চুল পাকতে শুরু করেছে। বর্তমানে শুধু ৬০ বছর বয়সী লোকজনেরই নয় ২৫ বছর বয়সী ছেলে মেয়েদের চুল পাকতে শুরু করেছে। যার কারণে অনেকেই আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগে। কাঁচা পাকা চুল নিয়ে ঘুরে বেড়ালে অল্প বয়সেই চেহারার মধ্যে বয়সের ছাপ পড়ে যায়। বিশেষ করে নারীরা এই সমস্যা নিয়ে অনেক বেশি চিন্তিত। 

আমাদের চুল সাধারণত পুষ্টি ও যত্নের অভাবে পেকে থাকে। অল্প বয়সী ছেলেমেয়েরা সাধারণত তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক চিন্তিত ও চাপে থাকে, যার ফলস্বরূপ চুল পেকে যায়। এছাড়াও ঘন ঘন ঘুমানোর রুটিন পরিবর্তন করলে চুল পাকে‌। এ বয়সে চুল পাকলে তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কি রেখে কি করবে তা জানে না, যে কারণে অনেকেই বাজারে পাওয়া রাসায়নিক কেমিক্যাল যুক্ত চুলের কালার গুলো চুলে ব্যবহার করে। যা চুলের জন্য বেশ ক্ষতিকর। কিন্তু কোন প্রকার ক্ষতি সাধন না করেই পাকা চুলকে খুব সহজেই কালো করা যেতে পারে। চলুন আজ জেনে নেই পাকা চুল কালো করার উপায় গুলো সম্পর্কে:

প্রাকৃতিকভাবে চুল কালো করার উপায়

ঘন কালো চুল মানুষের সৌন্দর্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু এই চুল যখন বয়সের আগে পেকে সাদা হয়ে যায় তখন সৌন্দর্যতা অসৌন্দর্যতায় পরিণত হয়। ছেলে মেয়ে অবাক, তখন তা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিভিন্ন উপায়ে তখন চুল কালো করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। পাকা চুল কালো করার কিছু প্রাকৃতিক উপায় আছে তা অনেকেই জানে না। চলুন তাহলে প্রাকৃতিকভাবে চুল কালো করার উপায় গুলো সম্পর্কে জেনে নিই:

১)আমলকি ও মেথি: আমলকিতে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আর মেথি তে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পুষ্টি উপাদান। আর এই আমলকি ও মেথি একসাথে মিলে আপনার চুল কে শক্ত মজবুত করে তুলবে ও চুল পড়া রোধ করবে, সাথে সাথে আপনার চুলকে হেলদি করতে সাহায্য করবে।

প্রয়োজনীয় উপাদান সমূহ, এক টেবিল চা চামচ মেথি, ৫-৬ টুকরা আমলকি, তিন টেবিল চামচ নারকেল তেল।

তৈরি করার উপায়:

একটি পাত্রে তেল ভালোভাবে গরম করে নিন। এরপর এতে আমলকি দিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন। এরপর মেথি গুঁড়ো দিয়ে দিন। মিশ্রনটি ভালোভাবে মিশে গেলে ঠান্ডা করে একটি বোতলে ঢেলে রাখুন। এরপর এই তেল মাথায় ব্যবহার করুন। রাতে মাথায় দিয়ে ঘুমাবেন ও সকালে উঠে শ্যাম্পু করে নিবেন।

২)আলুর খোসা: সাদা চুল কালো করার জন্য আলোর খোসা বেশ উপকারী। আলুর খোসাতে আছে স্টাচ, এগুলো চুলের রঞ্জক ধরে রাখতে সাহায্য করে ও চুলকে সাদা হতে দেয় না। প্রয়োজনীয় উপাদান, দুই কাপ পানি ও ৫-৬ টি আলুর খোসা।

তৈরি করার উপায়:

একটি পাত্রে পানি নিয়ে নিন। এরপর আলুর খোসা দিয়ে ভালোভাবে জাল দিয়ে নিন। ভালোভাবে জাল হলে নামিয়ে নিন। চুলে শ্যাম্পু করার আগে এটি ব্যবহার করুন। এরপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

৩)নারকেল তেল এবং লেবুর রস: নারকেল তেল চুলের যত্নে বেশ সাহায্য করে। এটি চুলকে তার দরকারি পুষ্টি উপাদান দিয়ে থাকে। লেবুতে আছে ভিটামিন সি। নারকেল তেল ও লেবু একসাথে ব্যবহার করলে চুল পাকা খুব দ্রুত কমে যায়।

প্রয়োজনীয় উপাদান, পরিমাণ মতো নারকেল তেল, তিন থেকে চার চা চামচ লেবুর রস।

তৈরি করার উপায়:

নারকেল তেল ও লেবুর রস একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর চুলের গোড়ায় গোড়ায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন। দুই থেকে তিন ঘণ্টা রাখার পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৪)কফি ও মেহেদীর পেস্ট: চুলের জন্য মেহেদী বেশ ভালো। এটি প্রাকৃতিক ভাবে চুলকে লাল করে।

আর কফিতে আছে ক্যাফিন যা চুলকে শাইন ও মজবুত করে।

প্রয়োজনীয় উপাদান- এক চা চামচ কফি, মেহেদির পেস্ট।

তৈরি করার উপায়

একটি পাত্রে পানি নিয়ে তা ফুটিয়ে নিন। এরপর এরমধ্যে এক চামচ কফি দিন। ভালোভাবে জাল হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। এরপর মেহেদির পেস্ট এর সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এটি চুলে ব্যবহার করুন। ঘন্টাখানেক রেখে দেওয়ার পর ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৫) কারি পাতা: কারি পাতা চুলের জন্য অনেক উপকারী। এতে আছে ফলিক এসিড, ক্যারোটিন, প্রোটিন, আয়রন ও ভিটামিন, যা চুলকে কালো করতে বেশ সাহায্য করে। নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে নিলে এর কার্যকরিতা দ্বিগুণ হয়ে যায়।

প্রয়োজনীয় উপকরণ, এক চামচ নারকেল তেল, কারি পাতা।

তৈরি করার উপায়, এক চামচ নারকেল তেলের সাথে এক মুঠো কারি পাতা ভালোভাবে মিশিয়ে জাল দিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি ঠান্ডা হওয়ার পর চুলে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এক ঘন্টা রাখার পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৬) মেথি: মেথি চুলের যত্নে বেশ কার্যকর। এতে আছে প্রোটিন, ভিটামিন যা চুল পড়া রোধ করে, চুলের খুশকি দূর করে ও পাকা চুল কালো করতে সাহায্য করে।

প্রয়োজনীয় উপকরণ, ২ চামচ মেথি, অর্ধেক কাপ পানি।

তৈরি করার উপায়, অর্ধেক কাপ পানিতে ২ চামচ মেথি সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এটি ব্লেন্ড করে একটি পেস্ট তৈরি করবেন। এই পেস্টটি চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। এরপর ভালোভাবে শ্যাম্পু করে নিন।

পাকা চুল কালো করার তেল

আজকাল দেখা যাচ্ছে অনেকের অল্প বয়সে চুল পেকে যাচ্ছে। বিভিন্নভাবে তা‌ লুকানোর চেষ্টা করলেও লুকানো যাচ্ছে না। বিভিন্নভাবে বিভিন্ন উপায়ে চুলগুলো কালো করা সম্ভব হচ্ছে না। এ নিয়ে বিভিন্ন টেনশনে থাকতে থাকতে খাওয়া-দাওয়া ঘুম সব হারাম হয়ে গেছে। শেষে কোন কিছু না বুঝেই বাজারে পাওয়া কেমিক্যাল যুক্ত চুল কালার দিয়ে চুল কালো করেন। কিন্তু তা মোটেও ঠিক নয়। চাইলেই সরিষার তেলের মাধ্যমে প্রাকৃতিক উপায়ে পাকা চুল কালো করতে পারেন। চলুন তাহলে আজ জেনে নিই, পাকা চুল কালো করার তেল, চুল কালো করার তেল, সাদা চুল কালো করার তেল সম্পর্কে।

সরিষার তেল: সরিষার তেল এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। চুলে সরিষার তেল ব্যবহার করলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও চুলের গোড়া শক্ত হয়। এই তেলে আছে প্রাকৃতিক ফ্যাটি এসিড যা চুলের জন্য বেশ উপকারী। সরিষার তেল চুলের জীবাণু সংক্রমণ ও প্রতিরোধ করে। চুল দ্রুত বৃদ্ধির জন্য সরিষার তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।

ব্যবহারবিধি: দুই কাপ সরিষার তেল, এক কাপ নারকেল তেল, আধা কাপ মেথির গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে সপ্তাহখানেক রেখে দিতে হবে। এরপর সাপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এই তেল চুলের গোড়ায় ভালোভাবে মেখে এক ঘন্টা রেখে দিতে হবে। এরপর ভালোভাবে শ্যাম্পু করে নিন। এক মাস নিয়মিত ব্যবহার করলেই ভালো ফলাফল  পেয়ে যাবেন।

এছাড়াও চুলের গোড়া শক্ত ও চুল ভালো রাখতে ভালো স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে। দুধ, ডিম, মাছ, শাকসবজি, বাদাম নিয়মিত খেলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

পাকা চুল কালো করার ঘরোয়া উপায়

পাকা চুল কালো করার উপায়

ব্যস্ত জীবনযাপন ও দূষণের কারণে অনেকেরই অল্প বয়সে চুল পেকে যায়। বর্তমান যুগে শুধু মধ্যবয়সীদের নয় অল্প বয়সের ছেলেমেয়েদেরও চুল পাকতে শুরু করেছে। এমন অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ হয়ে থাকে। অনেকে এটা মেনে নিতে পারে না। বারবার রং করার পরও সাদা চুল কালো হয় না। আবার অনেকেই অনেক জায়গায় টাকা খরচ করে থাকে চুল কালো করার জন্য। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা প্রাকৃতিক উপায়ে খুব সহজেই চুল কালো করা যায়। তাহলে চলুন আজ জেনে নেই কিভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে পাকা চুল কালো করা যায়:

১) ব্ল্যাক টি: পাকা চুল কালো করতে চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চা খুব সহজেই প্রাকৃতিকভাবে চুল কালো করতে পারে। চায়ের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা চুলকে মজবুত ও স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে। এর জন্য আপনাকে প্রথমে একটি পাত্রে পানি নিয়ে তিন চার চামচ চা পাতি মিশিয়ে নিতে হবে। সাথে এক চামচ লবণ দিবেন। ১০ মিনিট জাল দেওয়ার পর ছেকে নিন। ঠান্ডা হওয়ার পর সেই পানি চুলে লাগিয়ে নিন। এভাবে ৩০ মিনিট রেখে এরপর শ্যাম্পু করে নিন। দেখবেন আপনার চুল পাকা থেকে কালো হয়ে যাবে।

২) কারি পাতা: এই পাতা সাদা চুলকে কালো করে তুলতে সাহায্য করে। চুলের কোন পিকমেন্টের ক্ষতি না করেই তা সম্ভব করে। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, বি ,ডি ও আয়রন যা চুলের জন্য খুবই ভালো। এর জন্য আপনাকে প্রথমে একটি পাত্রে তিন থেকে চার চামচ নারকেল তেল নিতে হবে। এরপর এর মধ্যে ৫-৬ টি কারি পাতা মিশিয়ে দিন এবং হালকা আঁচে নাড়তে থাকুন। মিশ্রণটি কালচে কালচে না হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। কালচে হওয়ার পর নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হওয়ার পর এই তেল চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করে নিন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এই তেল ব্যবহার করুন।

৩) লেবুর রস: লেবুতে থাকে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন সি ও  ফসফরাস। ভিটামিন সি ও ফসফরাস চুলের পিগমেন্টেশন বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর জন্য একটি পাত্রে দুই চামচ লেবুর রসের সাথে দুই চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। এরপর চুলের গোড়ায় ভালোভাবে এই তেল লাগিয়ে নিন। এক থেকে দেড় ঘন্টা রাখার পর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করুন।

৪) পেঁয়াজের রস: প্রাকৃতিকভাবে চুল কালো করার জন্য পেঁয়াজের রস খুব উপকারী। পেঁয়াজের রসে আছে প্রচুর পরিমাণে সালফার, যা আপনার চুলের জন্য বেশ উপকারী। এছাড়া পেঁয়াজের রসে আছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি এক্সিডেন্ট, যা  চুলকে কালো করতে সাহায্য করে। কয়েকটি পেঁয়াজ নিয়ে এর ভেতর থেকে রস বের করে নিন। এরপর এই রস চুলের গোড়ায় গোড়ায় ভালো করে লাগান। এক ঘন্টা রাখার পর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

৫) আমলকি: আমলকিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা আপনার চুলের কোলোজেন উৎপাদন বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। আমলকি পাকা চুল কাচা করতে সাহায্য করে। এর জন্য ৩ চামচ গরম তেল এর মধ্যে ২ চামচ আমলকির গুঁড়ো ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ঠান্ডা হওয়ার পর চুলের গোড়ায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করে দিন । এক ঘন্টা রাখার পর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার করলেই পাকা চুল কালো হয়ে যাবে।

চা পাতা দিয়ে চুল কালো করার উপায়

বর্তমানে অনেকেই অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়ার কারণে কেমিক্যাল যুক্ত কালার ব্যবহার করে থাকেন। যা মোটেও চুলের জন্য ভালো নয়। অনেকেই জানেন‌ না শুধুমাত্র চায়ের লিকার দিয়ে প্রাকৃতিকভাবে পাকা চুলকে কালো করতে পারেন। তাহলে দেখে নিই চা পাতা দিয়ে চুলের যত্ন, চায়ের লিকার দিয়ে চুলের যত্ন ইত্যাদি সম্পর্কে।

১)চা এর লিকার: চা এর লিকারে আছে প্রচুর পরিমাণ ট্যানিক এসিড। যা চুলের রঙকে গাঢ় করে তুলতে সাহায্য করে।

ব্যবহারবিধি

প্রথমে একটি পাত্রে লাল চা বানিয়ে নিন। একটু বেশি করে চা পাতা দিয়ে চা বানিয়ে নেবেন। এরপর ঠান্ডা করে চুলে ঢেলে নিন। আধা ঘন্টা অপেক্ষা করুন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।

২) চা ও কফি: কফি আপনার চুলকে গারো বাদামি রঙ দিতে পারে। যদিও তা অল্প সময়ের জন্য। কিন্তু ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য চা ও কফি একসাথে ব্যবহার করুন।

ব্যবহারবিধি

একটি পাত্রে ২  কাপ পানি নিয়ে নিন। এর মধ্যে, তিন চামচ চা ও তিন চামচ কফি মেশিয়ে নিন। ভালোভাবে জাল দিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এরপর ব্রাসের সাহায্যে চুলে লাগান। এক ঘন্টা রাখার পর শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

৩) চা এবং ভেষজ: সাতটি ‘টি-ব্যাগের’ সাথে দুইটি অরিগ্যানো পাতা ও দুইটি রোজমেরি নিন। এরপর একটি পাত্রে পরিমাণ মতো পানি নিয়ে সব একসাথে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি ঠান্ডা করে নিন। এবার চুলে মেশান। ১ ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।

৪) চা এবং তুলসী পাতা: একটি পাত্রে পরিমাণ মতো পানি নিয়ে তার মধ্যে ৫ চামচ চা-পাতা মেশান। এবার ফুটন্ত অবস্থায় এর মধ্যে তুলসী পাতা দিয়ে দিন। ভালোভাবে ঠান্ডা হওয়ার পর চুলে ব্যবহার করুন।

সবশেষে, চুল পেকে গেলে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই। দিশেহারা হয়ে বাজারে পাওয়া কেমিক্যাল যুক্ত চুলের কালার গুলো ব্যবহার না করে সব সময় ঘরোয়াভাবে চুল কালো করার উপায়গুলো অবলম্বন করবেন। উপরোক্ত উপায় গুলো মেনে চললে খুব সহজেই পাকা চুল কালো করা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Latest posts

  • সর্দি থেকে মুক্তির উপায়, নাকের এলার্জি দূর করার উপায় | দ্রুত উপশম পেতে ঘরোয়া চিকিৎসা

    সর্দি থেকে মুক্তির উপায়, নাকের এলার্জি দূর করার উপায় | দ্রুত উপশম পেতে ঘরোয়া চিকিৎসা

    নাকের এলার্জি হচ্ছে নাকের ঝিল্লি প্রদাহের কারণে নাকের একটি সমস্যা। এটি সারা বিশ্বব্যাপী একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ নাকের এই রোগে আক্রান্ত। নাকের এলার্জি কোন মারাত্মক ক্ষতিকর রোগ না হলেও এ রোগের কারণে দৈনন্দিন জীবন প্রবাহ ব্যাহত হয়। এলার্জিজনিত সর্দি এবং হাঁচি জীবনকে অতিষ্ট করে তোলে। এই রোগে হঠাৎ…

    Read more

  • কফ, কাশি দূর করার উপায় | সঠিক চিকিৎসাই হতে পারে কাশি দূরীকরণের মাধ্যম

    কফ, কাশি দূর করার উপায় | সঠিক চিকিৎসাই হতে পারে কাশি দূরীকরণের মাধ্যম

    গলায় বুকে কফ জমে থাকা বেশ বিরক্তিকর একটি সমস্যা। ঋতু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়। আর আবহাওয়ার এই দ্রুত পরিবর্তন আমাদের শরীর খাপ খাওয়াতে পারে না, যার কারণে সৃষ্টি হয় ঠান্ডা জ্বর ও সর্দি-কাশির। ঠান্ডা সর্দি কাশি এগুলো আমাদের কাছে খুব পরিচিত রোগ হলেও এই ঠান্ডা সর্দি কাশি থেকে আমাদের দেহে অনেক বড় বড় অসুখ…

    Read more

  • ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চার্ট | সুস্থ স্বাভাবিক জীবন

    ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চার্ট | সুস্থ স্বাভাবিক জীবন

    সুস্থ স্বাভাবিক এবং রোগমুক্ত জীবন আমরা কে না চাই। আর এই সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করার একমাত্র উপায় হচ্ছে শারীরিক ওজন ঠিক রাখা। কেননা ওজন বেড়ে গেলে যে কোন রোগের ঝুঁকি ও বেড়ে যায়। এজন্য বাড়তি ওজন অনেকের মানসিক অসুস্থির প্রধান কারণ। তাই রোগ প্রকোপ কমাতে এবং মানসিক শান্তির উদ্দেশ্যে আমাদের সকলের উচিত শারীরিক ওজন…

    Read more