ইরাক আমেরিকা যুদ্ধের গোপন কাহিনী নিয়ে সিনেমা গ্রিন জোন(২০১০)

ইরাক আমেরিকা যুদ্ধের মুভি

ইরাক আমেরিকা যুদ্ধ এখনো বহুল আলোচিত একটি বিষয়। ইরাকে আমেরিকান আগ্রাসন এবং শেষে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া সব ছিলো পশ্চিমাদের পরিকল্পনা মাফিক সেটা এখন দিবালোকের মতো পরিষ্কার।  

মুভি দেখার অভ্যেসটা অনেক পুরোনো। কয়েকদিন আগে রাতে ভাবছিলাম কি মুভি দেখা যায়। কম্পিউটারের ফোল্ডারে ফোল্ডারে ঘুরছিলাম পুরোনো কিছু দেখা যায় কিনা। Green Zone মুভিটা পেলাম। মুভিটা নিয়ে আগে একটা রিভিউ লেখার ইচ্ছে ছিলো। তাই এবার আর লোভ সামলাতে পারলাম না।

পল গ্রীনগ্রাস (Paul Greengras) এর একটি একশান থ্রিলার মুভি। কি নামটা পরিচিত মনে হচ্ছে? The Bourne Supremacy –2004, The Bourne Ultimatum -2007, Jason Bourne -2016 এর মতো জনপ্রিয় এবং একশান থ্রিলার মুভিগুলো পরিচালনা করেছেন তিনি। একশান থ্রিলার মুভি বানাতে সিদ্ধহস্ত এই পরিচালক।

যুদ্ধের মুভি আমাদের অনেকেরই প্রিয়। আর যুদ্ধের প্লট যদি হয় সত্যের ফিকশন তাহলে মজা আরো জমে। পাশাপাশি কিছু বিষয় অবশ্য জানাও যায়। ইরাকে আমেরিকা যুদ্ধ এবং আমেরিকার আগ্রাসনের নেপথ্যে কাহিনী জানতে চাইলে রিভিউটি পড়ার পর মুভিটি দেখতে বসে যান।

১৯ মার্চ ২০০৩ রাত ৪ টা। বাগদাদ, ইরাক। অপারেশন ইরাকি ফ্রিডম নামে আমেরিকা বাগদাদ দখলের উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। পৃথিবীর প্রাচীন এই শহর মানুষের দানবীয় কর্মকান্ডে আরেকবার কেঁপে উঠে।

৯ এপ্রিল ২০০৩ মার্কিন বাহিনী বাগদাদে প্রবেশ করে। তারা একটি কোয়ালিশন সরকার গঠনের উদ্দেশ্য বাগদাদে গ্রীন জোন তৈরী করে। এই গ্রীন জোন ছিলো নিরাপদ এবং এখানে আমেরিকান সামরিক বাহিনী অবস্থান করে তাদের অপারেশন পরিচালনা করছে।  

কিন্তু এই গ্রীন জোনের বাইরে বাগদাদের অবস্থা ছিলো ভয়াবহ। তীব্র পানির সংকট, বিদ্যুৎ সংকট, আইন শৃঙ্খলা বলতে কিছুই নেই। এই যেনো এক ভেঙ্গে পড়া নগরী। যার কান্নার আওয়াজ শোনার কেউ নেই।

দুটি দেশ একটা দীর্ঘকালীন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছে। মিলার কি পারবে অনাগত এই যুদ্ধ থামাতে?

পশ্চিমাদের ইরাক আক্রমণের স্বপক্ষে প্রধান যুক্তিটি ছিলো ইরাক WMD অস্ত্র বানাচ্ছে এবং বিশাল এক মজুদ তারা ইতোমধ্যে করে ফেলেছে। মুভির মূল রিভিউতে ঢুকার আগে আসুন একটু জেনে নিই এই WMD আসলে কি ধরনের অস্ত্র।

WMD  হলো Weapon of Mass Destruction.  এটি আসলে নির্দিষ্ট কোনো অস্ত্রের নাম নয়। বিজ্ঞান এগিয়েছে অনেক, আমরা এগিয়েছি অনেক। সেই সাথে আমরা নিজেরা নিজেদেরই ধ্বংস করতে তৈরি করেছি শক্তিশালী সব অস্ত্রশস্ত্র ! কি আশ্চর্য আমরা মানুষ জাতি, তাই না !

ইরাক আমেরিকা যুদ্ধের মুভি
Green Zone 2010

বায়োলজিক্যাল ওয়েপন  এটি এমন একটি শক্তিশালী অস্ত্র যেটি কিনা একটি বিশাল অঞ্চলের জীব বৈচিত্র ধ্বংস করে দিতে পারে। এমনকি সেই অঞ্চলের পশুপাখি মানুষসহ সব প্রাণী উদ্ভিদকে মেরে ফেলতে পারে ।

এরপর আছে রাসায়নিক অস্ত্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এর ভয়াবতা আমরা দেখেছি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরেও অনেক দেশ বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে এটি ব্যবহার করা হয়েছিলো। এমনকি এই ২০১৮ সালে এসেও কিছু দেশের বিরুদ্ধে এই অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।   

এছাড়াও রয়েছে পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয় অস্ত্র। এবং এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী, ধ্বংসাত্মক অস্ত্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিরোশিমা আর নাগাসাকিতে বর্বর হামলার কথা আমরা সবাই জানি। এইসব অস্ত্রকে একসাথেই আসলে বলা হয় WMD তথা Weapon of Mass Destruction.

তো ইরাকের সাদ্দাম প্রশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে এই অভিযোগ উঠে আসছিলো যে তারা এইসব অস্ত্রশস্ত্র বানাচ্ছে এবং অলরেডি অনেক অস্ত্র মজুদও করে ফেলেছে।  

শুরুতেই এত বড় একটা ইন্ট্রো দেওয়ার জন্য পাঠকের কাছে সবিনয়ে ক্ষমা চাচ্ছি। আমি মনে করি একটা মুভি রিভিউ মানে শুধু আলগা করে একটা রিভিউ দিলাম তা নয়। বরং এর ভিতর বাহির সবকিছু নিয়ে জানা এবং আলোচনা করা ।

তাহলে এবার মূল আলোচনায় আসা যাক। আমেরিকান বাহিনী বাগদাদে প্রবেশের  চার সপ্তাহ পরের কথা। বর্হিবিশ্ব থেকে আমেরিকার উপর চাপ বাড়ছে। কারণ আমেরিকা এখনো কোনো WMD এর হদিস করতে পারেনি।

আমেরিকান বাহিনীর চীফ ওয়ারেন্ট অফিসার রয় মিলারকে দায়িত্ব দেওয়া হয় এই অস্ত্রশস্ত্রগুলো খুঁজে বের করার। আমেরিকান গোয়েন্দা বাহিনী এবং অন্যান্য আরো দুটি প্রতিষ্ঠানের দেওয়া ইন্টেলের ভিত্তিতে তারা একটি ওয়ারহাউজে অভিযান চালায়।

কিন্তু রয় মিলার অবাক হয়ে দেখে সেই ওয়ারহাউজ আসলে একটা প্লাস্টিক কারখানা ছিলো আগে। WMD এর ছিঁড়ে ফোঁটাও নেই। শুধু তাই নয় অন্যান্য সাইটে যেগুলোতে WMD পাওয়া যাবে বলে তথ্য ছিলো তাদের কোনোটাতেই কিছু পাওয়া যায়নি। রয় মিলারের সন্দেহ বেড়ে যায়। তারা যা খুঁজছে তাঁর অস্তিত্ব আসলে আছে তো!

সেরা অথচ নিষিদ্ধ পাঁচ চলচিত্রের কথন- পড়তে ক্লিক করুন  

সামরিক বাহিনীর উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তাদের মিটিং এ রয় মিলার অভিযোগ করে যে তাকে যে ইন্টেল গুলো সরবরাহ করা হয়েছে সেগুলোর কোথাও গলদ আছে কারণ তারা কোনো সাইটেই কোনো WMD খুঁজে পায়নি।

কিন্তু উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তারা বিষয়টাকে দ্রুত হ্যাণ্ডেল করে। সেই মিটিং থেকে বের হয়ে আসার সময় সিআইএ এজেন্ট মার্টিন ব্রাউন চমকে উঠার মতো একটি খবর রয় মিলারকে দেয়। মার্টিন ব্রাউন জানান যে মিলার পরবর্তী যে সাইটিতে WMD এর খোজে যাচ্ছে সেখানেও সে আসলে কিছুই খুঁজে পাবে না। কারণ জাতিসংঘ অনেক আগেই সেই জায়গায় অনুসন্ধান চালিয়েছিলো কিন্তু কিছু পায়নি।  

মার্টিন ব্রাউন জানান এভাবে খুঁজলে কিছুই পাওয়া যাবে না। রয় মিলার যদি  এসব অস্ত্র খুঁজে পেতে চায় তাহলে তাকে তাঁর সাথে কাজ করতে আহবান জানান এই সিআইএ এজেন্ট ।   

পরের দিন রয় মিলার সেই সাইটে যায়। এবং বরাবরের মতো কিছু পায় না। কিন্তু এখানে একটি ঘটনা ঘটে যায়। ফ্রেডি নামে একজন ইরাকি নাগরিক রয় মিলারের কাছে দাবী করে বাথ পার্টির কয়েকজন সদস্য এবং সাদ্দামের ডান হাত জেনারেল আল রাওয়ি একটি বাড়িতে মিটিং করছে।

রয় মিলার তাঁর সেকেন্ড ম্যাটের কথা অগ্রাহ্য করে রিস্ক নিয়ে সেখানে যায় এবং ফ্রেডির কথার সত্যতা পায়। সেখানে জেনারেল আল রাওয়ি ছিলো। ছোট খাট একটা সংর্ঘষের পর জেনারেল আল রাওয়ি সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়। কিন্তু বাথ পার্টির এক সদস্য হামজাকে আটক করে মিলার এবং তাঁর কাছে একটি ডায়েরী পান মিলার।

পরবর্তীতে সেই ডায়েরী আর হামজাকে নিয়ে কাহিনী আরো এগিয়ে যায়। সন্দেহ আর টানটান উত্তেজনা আপনাকে ছবির ভিতরে ঢুকতে বাধ্য করবে। ইউএস নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র পেডস্টোন সেই ডায়েরী পাওয়ার জন্য রয় মিলারের সাথে দেখা করে। কিন্তু রয় মিলার সেই ডায়েরির কথা অস্বীকার করে । রয় মিলার সেই ডায়েরী সিআইএ এজেন্ট রবার্ট ব্রাউনকে দেয়। একদিকে পেডস্টোন অন্যদিকে মিলার এবং এজেন্ট রবার্ট মিলে তারা দুই দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে।  

সেই ডায়েরী এবং বাথ পার্টির সদস্য হামজার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রয় মিলার এবং সিআইএ এজেন্ট রবার্ট ব্রাউন বুঝতে পারে যদি WMD অস্ত্র থেকে থাকে তাহলে ইরাকের সামরিক বাহিনীর সাহায্য ছাড়া খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। আর ইরাকের সামরিক বাহিনীর ভিতরে ঢুকতে গেলে টার্ম কার্ডটি হচ্ছে জেনারেল আল রাওয়ি।

এর মধ্যে মৃত্যুর ঠিক আগে বাথ পার্টির সদস্য হামজা একটা হেয়ালিপনা তথ্য দেয় মিলারকে। হামজা মৃত্যুর আগে জর্ডান শব্দটি উচ্চারণ করেন। পরবর্তীতে মিলার এবং এজেন্ট রবার্ট ব্রাউন আবিষ্কার করে্ন যে জর্ডানে একটা মিটিং হয় । সেই মিটিং এ উপস্থিত ছিলো জেনারেল আল রাওয়ি এবং ইউএস নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র পেডস্টোন ।

জেনারেল আল রাওয়ি সেই মিটিং এ কি তথ্য দিয়েছিলো পেডস্টোনকে? আর পেডস্টোনই বা কি তথ্য দিয়েছিলো হোয়াইট হাউজকে ?

এই দুই প্রশ্নের মধ্যেই আসলে লুকিয়ে আছে পুরো মুভির প্লটটি। সে সাথে এই দুই প্রশ্নের মধ্যেই লুকিয়ে আছে ইরাক আমেরিকা যুদ্ধের সিক্রেট!

এবার একটু পেছনে যাওয়া যাক। এবার দৃশ্যপটে নিয়ে আসা যাক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক লরি ডায়ানকে। জর্ডানে পেডস্টোনের সাথে জেনারেল আল রাওয়ির সেই মিটিংয়ের পর পেডস্টোন লরি ডায়ানকে জানান, তাঁর কাছে তথ্য আছে যে ইরাক WMD প্রোগ্রাম এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। ডায়ান সোর্সের পরিচয় জিজ্ঞেস করলে পেডস্টোন জানান তাঁর সোর্স Magellan । তবে এই মূহূর্তে তিনি Magellan এর সাথে ডায়ানের সরাসরি যোগাযোগ করে দিতে পারবে না ।

তোমার সরকার কি যাচাই করে দেখেনি! তোমার সরকার ঐ মিথ্যাটাই শুনতে চায় মি. মিলার!

হোয়াইট হাউজের এত বড় মূখপাত্রের কাছে এমন সংবাদে বিশ্বাস করে এবং তাঁর সরবরাহ করা ডুকুমেন্টের পরিপেক্ষিতে ডায়ান তার পত্রিকায় ইরাকে WMD প্রোগ্রাম নিয়ে বেশকিছু প্রতিবেদন লিখে।  

আমেরিকার ইরাক অগ্রাসনে এই প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদিও এর পুরোটাই ছিলো মিথ্যা এবং বানোয়াট। মজার ব্যাপার হলো যিনি প্রতিবেদনটি লিখেছিলেন তিনি নিজেও জানেন না যে এটি মিথ্যা ছিলো।

এবার আবার সামনে আসা যাক। ইরাকে আসার পর ডায়ান পেডস্টোনকে চাপ দিতে থাকে Magellan এর সাথে তাঁর মিটাআপের ব্যাপারে। কারণ ডায়ান সোর্সের সত্যতার ব্যাপারে সিওর হতে চাচ্ছিলেন। কারণ দুটি দেশ খুব দ্রুত যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এবং এর দায় কিছুটা হলেও এই প্রতিবেদকের উপরে এসে পড়বে।

এদিকে রয় মিলার আর রবার্ট ব্রাউন জানতে পারে পেডস্টোনের সেই Magellan হচ্ছে জেনারেল আল রাওয়ি।

এরপর নাটকীয় ভাবে দৃশ্যপট চেঞ্জ হতে থাকে। রয় মিলার জানতে পারেন জেনারেল আল রাওয়ি চাচ্ছেন আমেরিকান প্রশাসন তাঁর সাথে যোগাযোগ করুক। কিন্তু কোথায় জেনারেল আল রাওয়ি আছে এটা জানা বেশ কঠিন। যদি কোনো ভাবে জেনারেল আল রাওয়িকে গ্রীন জোনে নিয়ে আসা যায়। তাহলে WMD সম্পর্কে সব তথ্য জানা যাবে।

 

এদিকে পেডস্টোনের অনুগত সামরিক বাহিনীর স্পেশাল ফোর্সের একদল চৌকস দল জেনারেল আল রাওয়িকে মেরে ফেলার জন্য খুঁজছে। কিন্তু কেনো?

অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে মিলার জানতে পারেন কোথায় আল রাওয়ি আছে। মিলার জেনারেল আল রাওয়ির অনুগত একজনকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচায় এবং তাঁর মাধ্যমে জেনারেলের কাছে মেসেজ পাঠায় যে সে তাঁর সাথে দেখা করতে চায়।  

WMD  প্রোগ্রামের উপরে পুরো ব্যাপারটা নির্ভর করছে। দুটি দেশ একটা দীর্ঘকালীন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছে। মিলার কি পারবে অনাগত এই যুদ্ধ থামাতে?

জেনারেলও দেখা করতে সম্মত হয়। কিন্তু দেখা করার পর মিলার যা জানতে পারেন তা তাকে বিস্মিত করে। মিলার বুঝতে পারেন সর্ষের মধ্যেই ভূত আছে।

জেনারেল বলেন- কোনো প্রোগ্রাম নেই। ৯১ সালেই আমরা এর ইতি টেনেছি। আমি তোমার ওই অফিসিয়ালকে সেটা বলেছি।

এবার মিলারের নির্বাক হয়ে যাওয়ার পালা। এদিকে মিলারের সাথে জেনারেলের দেখা করার ঠিক আগ মুহূর্তে পেডস্টোনের সহযোগিতায় হোয়াইট হাউজ ইরাকের সকল সামরিক, আধা-সামরিক বাহিনী ভেঙ্গে দিয়ে তাদের অবৈধ ঘোষণা করে।

জেনারেল আল রাওয়ি মিলারকে জানায়-“…তোমার সরকার কি যাচাই করে দেখেনি! তোমার সরকার ঐ মিথ্যাটাই শুনতে চায় মি. মিলার!”

প্রিয় পাঠক কিছু কি বুঝতে পারছেন? জর্ডানর মিটিং এর কথা কি মনে আছে? কোনো কি ক্লু বের করতে পারছেন?

অযথা চেষ্টা করে লাভ নেই। মুভিটি দেখতে বসে যান । মুভিটির বাংলা বা ইংরেজী সাবটাইটেল পাবেন https://subscene.com/ সাইটে । মুভিটির imdb  রেটিং । তবে আমার ব্যক্তিগত রেটিং ৮.৫।  

মুভিটি নিয়ে সমালোচনা করতে চাইলে অনেক বিষয় নিয়েই করা যেতো । যেমন ক্যামেরার অতিরিক্ত ঝাকুনি । কিছু কিছু জায়গায় মাথা ধরে যাওয়ার মতো অবস্থা । তবে যারা পল গ্রীনগ্রাসের Bourne  সিরিজের অন্যান্য মুভিগুলো দেখেছেন তারা বুঝতে পারবেন ক্যামেরার এই ঝাকুনি এবং ফাস্ট একশন নিয়ে কাজ করা এই পরিচালকের একটা প্যাশন বলা যায় ।  

তবে সবকিছু মিলিয়ে মুভিটি ভালো লেগেছে। মুভি পাগল যে কারও যে ভালো লাগেব এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নাই। মুভিটিতে কি কি কমতি আছে তা না হয় দর্শকরাই ঠিক করুক। আমি আর সমালোচনার দিকে গেলাম না।

আপনি কি এখনো রিভিউটি পড়ছেন? তাহলে বলতেই হয় আপনি এখনো মুভি পাগল হয়ে উঠতে পারেননি! মুভি পাগল হলে এতক্ষন মুভিটি দেখতে বসে যেতেন। আর হ্যা একটা শেয়ার তো আশা করাই যায়। রিভিউটি শেয়ার করে দিন।

নেক্সট কি মুভি নিয়ে রিভিউ চান কমেন্টে জানান। ভালো থাকবেন।   

Share this

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top