সারা বিশ্ব জুড়ে নিরব ঘাতকের মত থাবা বসিয়ে আছে ডায়াবেটিস। কয়েক ধরনের ডায়াবেটিস থাকলেও টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা সবচাইতে বেশি। এ রোগে আক্রান্ত হলে চোখ, হার্ট, লিভার, কিডনি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে বেশ ক্ষতি হয়। যার ফলে পরবর্তীতে শরীরে কোন রোগ হলে তা মারাত্মক আকার ধারণ করে এবং অর্গান ফেলিওয়েরের সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কমে যায়। যার কারণে কোন একটি রোগ শরীরে দেখা দিলে তা মারাত্মক আকার ধারণ করে।
ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে ইনসুলিন হরমোন নিঃসরণ কমে যায়। যার কারণে দেহের কোষে ঠিকমতো গ্লুকোজ পৌঁছাতে পারেনা। এর ফলস্বরূপ রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায় এবং প্রসাবের মাধ্যম হয়ে অতিরিক্ত গ্লুকোজ শরীর থেকে বের হয়ে যায়। শরীর দিন দিন দুর্বল হতে থাকে এবং ধীরে ধীরে ডায়াবেটিসের লক্ষণ গুলো প্রকাশিত হতে থাকে। তবে, ডায়াবেটিস কমানোর উপায় জানা থাকলে সহজেই এই সমস্যা থেকে নিরাময় পাওয়া সম্ভব।
অনিয়মিত খাবার-দাবার মাত্রা, অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড খাওয়া, চিনি, কার্বোহাইড্রেট খাওয়া, খাবারদাবার ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা অনেক অংশে বাড়িয়ে দেয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত না হতে চাইলে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের ডায়েটে এমন কিছু খাবার যোগ করতে হবে যেগুলো রক্তের শর্করা বর্ধিত স্তরকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করবে। বর্তমানে বিশ্বজোড়া ডায়াবেটিসের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে তার সাথে বেড়ে চলেছে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা।
ডায়াবেটিসের ধরন
ডায়াবেটিসের অনেক ধরনের প্রকারভেদ আছে। কিন্তু বর্তমান বিশ্বে ডায়াবেটিস কে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে টাইপ-১ এবং টাইপ- ২। এছাড়াও আছে জেষ্টেশনাল ডায়াবেটিস, প্রিডায়াবেটিক ডায়াবেটিস ইত্যাদি।
টাইপ-১ ডায়াবেটিস:
এ ডায়াবেটিস ইনসুলিন নির্ভর ডায়াবেটিস নামে বেশি পরিচিত। আমাদের শরীরের নিজস্ব এন্টিবডি যখন অগ্নাশয়কে আক্রমণ করে তখনই টাইপ-১ ডায়াবেটিসটি দেখা যায়। তখন অগ্নাশয়ের ক্ষতি হয় এবং ইনসুলিন উৎপাদনে অক্ষম হয়ে যায়। এই ডায়াবেটিস আমাদের শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা অনেক বাড়িয়ে দেয়। অন্যান্য ডায়াবেটিসের তুলনায় এই ডায়াবেটিস অনেক বেশি ক্ষতিকর। এর লক্ষণ কম এবং প্রতিরোধ যোগ্য নয়। এই ডায়াবেটিসটি সাধারণত শিশু এবং যুবকদের বেশি হলেও যে কোন বয়সেরই হতে পারে।
টাইপ-২ ডায়াবেটিস:
এই ডায়াবেটিসটি সাধারণত বেশি দেখা যায়। এই ডায়াবেটিস হলে আমাদের শরীর ইনসুলিন তৈরি করতে পারেনা আর তৈরি করলেও সঠিক জায়গায় ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়। ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৯৫ ভাগই টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। অতিরিক্ত অলসতা এই ডায়াবেটিসের মূল কারণ। যুবকদের তুলনায় সাধারণত মধ্যবয়সী লোকেদের এই ডায়াবেটিস বেশি হয়। এই ডায়াবেটিসটি এডাল্ট অনসেট ডায়াবেটিস, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট ডায়াবেটিস নামে পরিচিত।
জেষ্টেশনাল ডায়াবেটিস (গর্ভকালীন ডায়াবেটিস)
গর্ভকালীন সময় যে ডায়াবেটিস দেখা দেয় সেটি হচ্ছে জেষ্টেশনাল ডায়াবেটিস। সাধারণত এই ডায়াবেটিসটি গর্ভকালীন সময়ের মাঝের দিকে এবং শেষের দিকে দেখা দেয়। শতকরা ২ থেকে ১০ ভাগ গর্ভ ধারনের সময় এই ডাইবেটিস ধরা পড়ে এবং শিশুর জন্মের পর তার দেখা যায় না। কিন্তু যারা গর্ভকালীন সময়ে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়, তারা কিছু সপ্তাহ অথবা বছর প্রায় টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
ডায়াবেটিসের লক্ষণ
ডায়াবেটিস রোগ হলে সাধারণত কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। এসব লক্ষণ দেখলে বুঝতে পারবেন আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত । চলুন ডায়াবেটিসের লক্ষণ গুলো জেনে নিই:
১) অতিরিক্ত তৃষ্ণার্ত।
২) ওজন কমে যাওয়া।
৩) ঘন ঘন প্রস্রাব।
৪) ক্ষুধা বৃদ্ধি।
৫) চোখে ঠিক মতো দেখতে না পাওয়া।
৬) হাত ও পায়ের অনুভূতি কমে যাওয়া।
৭) ঘা দেরিতে শুকানো।
৮) ত্বক শুষ্ক অনুভব করা।
৯) বেশি বেশি রোগে আক্রান্ত হওয়া।
১০) বমি বমি ভাব থাকে।
১১) বেশি বেশি পেটে ব্যথা হয়।
১২) ক্লান্ত অনুভব করা ইত্যাদি।
ডায়াবেটিস কমানোর চিকিৎসা
ডায়াবেটিস খুবই ভয়ঙ্কর একটি রোগ। ডায়াবেটিস কমানোর জন্য অবশ্যই চিকিৎসার প্রয়োজন। ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় সব সময় ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন। চলুন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা সম্পর্কে জানি:
টাইপ-১ ডায়াবেটিসের চিকিৎসা
ইনসুলিন নিয়মিত গ্রহণ করা টাইপ-১ ডায়াবেটিসের সবচাইতে ভালো চিকিৎসা। তাছাড়া নিয়মিত ফলোআপ করলে এ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
টাইপ-২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসা
টাইপ-২ ডায়াবেটিস কমানোর জন্য জীবন যাত্রার কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। এছাড়াও কিছু ঔষুধ, সালফোনেলইউরিয়াস, গ্লিনাইডস, বিগুনাইডস, ইনসুলিন ইত্যাদি ঔষধ টাইপ-২ ডায়াবেটিস চিকিৎসার ক্ষেত্রে খুবই জনপ্রিয়।
পিডায়াবেটিসের চিকিৎসা
নিয়মিত খাদ্যাভাস, ব্যায়াম ও শারীরিক কসরত ইত্যাদি পিডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে বেশ জনপ্রিয় চিকিৎসা।
জেস্টেশনাল ডায়াবেটিসের চিকিৎসা
ইনসুলিন, সুষম খাবার নির্বাচন, ওরাল মেডিকেশন ইত্যাদি জেস্টেশনাল ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে জনপ্রিয় চিকিৎসা।
ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া যেমন আপনাকে ডায়াবেটিস থেকে দিবে মুক্তি, ঠিক তেমনি অনিয়মিত খাওয়া দাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস বেড়ে দ্বিগুণ হবে। ডায়াবেটিস কমাতে হলে আমাদের নিয়ম করে সঠিক কিছু খাবার খেতে হবে। এসব খাবার খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস থেকে অনেকাংশেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ডায়াবেটিস কমানোর উপায়, ঘরোয়া ঔষুধেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস এমন কিছু জাদুকরী ঔষুধের নাম তো আজ আপনারা জানবেন, তবে তার আগে জেনে নিন কিছু অসাধারণ সবজির নাম যা আপনার ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করবে।। বাজারে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অনেক ওষুধ থাকলেও চলুন আমরা দেখে নেই ওষুধ ছাড়া ডায়াবেটিস কমানোর উপায়:
১)সবুজ শাকসবজি: নিয়মিত শাকসবজি খাবেন। মাছ মাংস খাওয়ার বদলে সমপরিমাণ সবুজ শাকসবজি খাবেন। এতে করে শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি ওজন কে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
২)ভিটামিন সি: প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সম্পূর্ণ খাবার খাবেন। এতে করে আপনার চোখ, হার্ট, শরীর সব ভালো থাকবে। তাই নিয়ম করে শাকসবজি খাওয়ার পাশাপাশি ভিটামিন সি খাবেন।
৩) ডিম: ডিম আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। আমাদের শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে ডিম। তাই চেষ্টা করবেন প্রতিদিন ১ – ২ টি সিদ্ধ ডিম খাওয়ার।
৪) মটরশুটি: মটরশুটি প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিতে ভরপুর। তাছাড়াও গ্লাইসেমির ইনডেক্স খুবই কম। যে কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মটরশুটি বেশ উপকারী।
৫) ব্রকলি: কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ খুবই কম, অপরদিকে পুষ্টিতে ভরপুর। এজন্য ডায়াবেটিস রোগীরা ব্রুকলি খেতে পারেন। যা ডায়াবেটিস সহ অন্যান্য রোগ থেকেও রক্ষা করে।
৬) ডুমুর: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডুমুর বেশ উপকারী। ডুমুরে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ডুমরে আছে হাইপোগ্লাইসেমিক উপাদান যা ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে । এই পাতা ইনসুলিন প্রতিরোধের উন্নতিতে উপকারী ।
৭) টক দই: টক দই নিয়ম করে খেতে পারলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী। টক দই শরীরের রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও শরীরের ওজন কমাতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের উচিত নিয়মিত টক দই খাওয়া।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া উপায় | ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয়
ডায়াবেটিসের মতন নীরব ঘাতক রোগকে আপনি চাইলে কিছু ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে দূর করতে পারবেন। এবার আপনাদেরকে জানাবো ডায়াবেটিস কমানোর সবচেয়ে কার্যকরী উপায়, ঘরোয়া ঔষুধেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস এমন কিছু কার্যকরী উপায়:
১) চিয়া সিডস: চিয়া সিডসের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা শরীরের রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে চিয়া সিডস। যদি নিয়ম করে খাওয়া যায় তাহলে চিয়া সিডস বেশ উপকারী।
২) ফ্লাক্সসিডস: ফ্লাক্সসিডস আমাদের শরীরের সুগার ও ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও কোলেস্টেরলের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ফ্লাক্সসিডস ইনসুলিন ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। এইজন্য ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত ফ্লাক্সসিডস খাওয়া উচিত।
৩) করলা: করলা ইনসুলিন-পলি পেপটাইড ই সমৃদ্ধ, যা হাইপারগ্লাইসেমিয়ার মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য করোলা খুব ভালো একটি ঘরোয়া ঔষুধ। করোলাতে ক্যারোটিন এবং মমডিসিন নামক দুটি প্রয়োজনীয় উপাদান আছে, যা আমাদের শরীরে রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীরা সকালে খালি পেটে করলার রস খেতে পারেন ও চেষ্টা করবেন প্রতি সপ্তাহে দুই দিন করলা তরকারি খাওয়ার। এতে করে আপনার ডায়াবেটিস বেশ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৪) আমের পাতা: আমের পাতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। এটি শরীরে ডায়াবেটিসের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। শুকনো ও কোমল আম পাতাগুলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বেশ সাহায্য করে। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আরও আছে ট্যানিন, যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি ডায়াবেটিসের প্রাথমিক চিকিৎসা করতে সাহায্য করে। আমের পাতা দিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে ছোট ছোট কচি আমের পাতা গুলো শুকিয়ে এরপর প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ আমের পাতা নিয়ে পান করুন। এছাড়াও এক গ্লাস পানিতে আমের পাতা সিদ্ধ করে সারারাত রেখে দিন এবং সকালে উঠে খালি পেটে এই পানি পান করুন। এতে করে ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৫) মেথি: মেথি ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মেথিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মেথি খাওয়ার ফলে হজম শক্তি হ্রাস পায়, যার কারণে রক্তে সুগার সঠিকভাবে শুষে নেয়। মেথি টাইপ১ ও টাইপ২ উভয় ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মেথি দিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হলে এক গ্লাস পানিতে দুই চামচ মেথি দিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে উঠে খালি পেটে এই পানি পান করুন। এছাড়াও মিছরির গুঁড়া, গরম পানি, ঠান্ডা পানি এবং দুধের সাথে খেতে পারেন। যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।
৬) ডায়াবেটিস গাছ গাইনূরা প্রকোম্বেন্স: গাইনূরা প্রকোম্বেন্স নামের এই গাছটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সারাবিশ্বে বেশ জনপ্রিয়। কিছু কিছু দেশে এন্টিভাইরাস হিসেবে এটি ব্যবহার করা হয়। যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা তারা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ২টি পাতা সেবন করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে যারা ইনসুলিন ব্যবহার করেন তারা সকালে এবং রাতে সবার আগে ২টি পাতা সেবন করবেন।
কি খেলে ডায়াবেটিস হবে না
ডায়াবেটিস কমানোর জন্য আপনি কিছু খাবার খেতে পারেন। ডায়াবেটিস কমাতে এসব খাদ্য বেশ উপকারী। চলুন তাহলে সেইসব খাবার সম্পর্কে জানি:
ডিম, টক দই, টোনা মাছ, সালমন মাছ, কড মাছ, অ্যাভোকাডো, কলা, বাদাম, অটস, বার্লি, অলিভ অয়েল, সানফ্লাওয়ার অয়েল, ব্লাক কপি, শিম, এম্পার গাছ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুরগি, ফল, আপেল, কমলা, লেবু ইত্যাদি এসব খাবার আপনি ডায়াবেটিস কমানোর জন্য খেতে পারেন।
ডায়াবেটিস হলে যা খাবেন না
ডায়াবেটিস সারানোর উপায় হিসেবে সবচেয়ে ভালো হলো খাবারদাবারের দিকে সচেতন হওয়া।। এমন কিছু খাবার আছে যা খেলে ডায়াবেটিস বাড়বে। ডায়াবেটিস কমাতে হলে আপনি এসব খাবার খেতে পারবেন না। খাবার গুলো হল:
তরমুজ, পাকা আম, পেঁপে, সাদা রুটি, আলু, মিষ্টি ফ্রিজিং ফুড, বোতল জাতীয় পানিয়, চিনি, ইত্যাদি খাবার ডায়াবেটিস হলে খাওয়া যাবে না।
সবশেষে, ডায়াবেটিস খুব ভয়ংকর একটি রোগ। এ রোগ থেকে বাঁচতে হলে নিয়মমাপিক জীবন যাপন করতে হবে এবং নিয়ম করে খাবার খেতে হবে। ডায়াবেটিস থেকে বাঁচতে হলে নিয়মিত হাটা, ব্যায়াম এবং সঠিক খাবারের কোন বিকল্প নেই। আর যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে যান তাহলে ভীত না হয়ে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষুধ সেবন করুন এবং উপরের নির্দেশনা অনুযায়ী চলুন। তাহলে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন এবং ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে। আশা করি, ডায়াবেটিস কমানোর উপায় এই আর্টিকেল থেকে আপনি ডায়াবেটিস সংক্রান্ত যথাযথ তথ্য পেয়েছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। আপনার সুস্থতা আমাদের একান্ত কাম্য। আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Leave a Reply