হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানের বাণী
যে নামটি বাংলাদেশের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে তা হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একটি মানুষ কিভাবে একটি জাতির সকল আশা-আকাঙ্খার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় তাঁর বিরল উদাহরণ শেখ মুজিবুর রহমান।
জীবনের নানান চড়াই উতড়াই পেরিয়ে, একটি মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসে জয় করেছেন কোটি মানুষের হৃদয়। সেই ১৯৫২ থেকে বাঙালির প্রতিটি স্বাধিকার আন্দোলনের অগ্রদূত ছিলেন তিনি। শেষে ১৯৭১ সালে বাঘের মতো গর্জে উঠলো তাঁর ইস্পাতসম ভরাট কণ্ঠ। বাঙালি শুনলো একটি অমর কবিতা-
“এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।”
আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিখ্যাত ১৫টি বাণী নিয়ে এসেছি। এই উক্তিগুলোর মাধ্যমে হয়তো একজন নতুন বঙ্গবন্ধুকে আবিষ্কার করতে পারবেন সেই সাথে ভালোভাবে বুঝে উঠতেন পারবেন একজন অপামর জনসাধরণের নেতাকে, তাঁর চিন্তা চেতনাকে।
বাণী-০১
“যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে, আমরা সংখ্যায় বেশী হলেও, সে একজনও যদি হয়, তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে নেবো।”
বাণী-০২
“এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।”
বাণী-০৩
“ ইহাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন।
আমি বাংলাদেশের জনগনকে আহবান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছো, যাহার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো।
পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।”
বাণী-০৪
“এই স্বাধীনতা তখনি আমার কাছে প্রকৃত স্বাধীনতা হয়ে উঠবে,
যেদিন বাংলার কৃষক-মজুর ও দুঃখী মানুষের সকল দুঃখের অবসান হবে।”
বাণী-০৫
“ কোনো জেল জুলুমই কোনোদিন আমাকে টলাতে পারেনি, কিন্তু মানুষের ভালবাসা আমাকে বিব্রত করে তুলেছে ”
বাণী-০৬
“অযোগ্য নেতৃত্ব, নীতিহীন নেতা ও কাপুরুষ রাজনীতিবিদদের সাথে কোনোদিন একসাথে হয়ে দেশের কাজে নামতে নেই।
তাতে দেশসেবার চেয়ে দেশের ও জনগণের সর্বনাশই বেশি হয়। ”
বাণী-০৭
“আমার দেশ স্বাধীন দেশ। ভারত হোক, আমেরিকা হোক, রাশিয়া হোক, গ্রেট ব্রিটেন হোক কারো এমন শক্তি নাই যে, আমি যতক্ষণ বেঁচে আছি ততক্ষণ আমার দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে পারে।”
বাণী-০৮
“আওয়ামিলীগ ক্ষমতা আটকে রাখার জন্য রাজনীতি করে না।
ক্ষমতায় যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে আইন করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকতে পারত।”
বাণী-০৯
“যার মনের মধ্যে আছে সাম্প্রদায়িকতা সে হলো বন্য জীবের সমতূল্য।”

বাণী-১০
“সরকারী কর্মচারীদের জনগণের সাথে মিশে যেতে হবে। তাঁরা জনগণের খাদেম, সেবক, ভাই।
তাঁরা জনগণের বাপ, জনগণের ভাই, জনগণের সন্তান। তাঁদের এই মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। ”
বাণী-১১
“জনগণকে ছাড়া, জনগণকে সংঘবদ্ধ না করে, জনগণকে আন্দোলনমুখী না করে এবং পরিস্কার আদর্শ সামনে না রেখে কোনোরকম গণ আন্দোলন হতে পারেনা।”
বাণী-১২
“আন্দোলন গাছের ফল নয়। আন্দোলন মুখ দিয়ে বললেই করা যায় না। আন্দোলনের জন্য জনমত সৃষ্টি করতে হয়। আন্দোলনের জন্য আদর্শ থাকতে হয়। আন্দোলনের জন্য নি:স্বার্থ কর্মী হতে হয়। ত্যাগী মানুষ থাকা দরকার।
আর সর্বোপরি জনগণের সংঘবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ সমর্থন থাকা দরকার।”
বাণী-১৩
“এ প্রধানমন্ত্রীত্ব আমার কাছে কাঁটা বলে মনে হয়। আমি যদি বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে না পারি, আমি যদি দেখি বাংলার মানুষ দু:খী, আর যদি দেখি বাংলার মানুষ পেট ভরে খায় নাই, তাহলে আমি শান্তিতে মরতে পারবো না।”
বাণী-১৪
“ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। বিদেশ থেকে ভিক্ষা করে এনে দেশকে গড়া যাবে না। দেশের মধ্যেই পয়সা করতে হবে।”
বাণী-১৫
“আর সাম্প্রদায়িকতা যেন মাথাচারা দিয়ে উঠতে না পারে। ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র বাংলাদেশ।
মুসলমান তার ধর্মকর্ম করবে। হিন্দু তার ধর্মকর্ম করবে। বৌদ্ধ তার ধর্মকর্ম করবে। কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না। কিন্তু ইসলামের নামে আর বাংলাদেশের মানুষকে লুট করে খেতে দেওয়া হবে না।”
বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্ব, রাজনীতি নিয়ে আপনার মতামত জানান কমেন্ট বক্সে। সবার জন্য রইলো শুভ কামনা।
Leave a Reply