কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম | কৃমি থেকে মুক্তি

Author:

Published:

Updated:

কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

কৃমি খুব ছোট আকারের হয়। এতই ছোট হয় যে খালি চোখে প্রায় দেখাই যায় না। কিন্তু এই কৃমি মানুষের অন্ত্রে থেকে দিনে প্রায় ০.২ মিলিমিটার রক্ত শুষে নেয়। আর যদি শরীরে কৃমির পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে যায় তাহলে শরীর থেকে বেশ ভালো পরিমাণ রক্তই হারিয়ে যায়। ফলে মানুষ অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতায় ভোগে।

এছাড়াও কৃমির কারণে আরো অনেক রোগ হতে পারে যেমন- শ্বাসকষ্ট, কাশি, ত্বকে চুলকানি, এলার্জি ইত্যাদি। আবার অন্ত্রে বা পিত্তথলির নালিতে কৃমি আটকে গিয়ে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই কৃমির সংক্রমণ বড় ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা। আর এই কৃমি হয়ে থাকে নোংরা পরিবেশ, নিরাপদ পানি পান না  করা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস, খালি পায়ে হাঁটা ইত্যাদির কারণে। কৃমি হলে ঔষুধের মাধ্যমে দূর করার উপায় আছে। তবে, এক্ষেত্রে কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম মেনে তারপর সেবন করতে হবে।

অনেকেরই একটি ভুল ধারণা আছে যে কৃমির ঔষুধ খাওয়া ঠিক নয়, এর অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। কিন্তু এটি ভুল ধারণা।  কৃমির ঔষুধের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। ঔষুধ নিয়ম মেনে খেলে আর কিছু সহজ উপায় মেনে চললে সহজেই দূর করা যায়। চলুন তাহলে জেনে নিই কিভাবে কৃমির ট্যাবলেট নিয়ম মেনে সেবন করতে হবে :

কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম:

কৃমি দূর করতে হলে অবশ্যই কৃমির ঔষুধ খাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের দেশে কৃমির ঔষধ নিয়ে অনেক গুজব ছড়িয়ে আছে। তাই কৃমির ঔষধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম গুলো জানা খুব জরুরী। তাই চলুন জেনে নেই কৃমির ঔষধ খাবার নিয়ম গুলো:

১) কৃমির ওষুধ অবশ্যই পরিবারের সবাই একসাথে খাবেন। তা না হলে কৃমি সম্পূর্ণ দূর হবে না।

২) ছোট্ট শিশু থেকে একবারে বয়স্ক মানুষ পর্যন্ত সবার জন্য কৃমির ডোজ একই। সবাই এক ডোজ খেতে পারবে।

৩) কোন ভয় ছাড়া কৃমির ঔষুধ খেতে পারেন। কৃমির ঔষুধে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।

৪) একজন সুস্থ মানুষ তিন থেকে চার মাস পর পর কৃমির ঔষুধ খেতে পারবে, এতে কোন ক্ষতি নেই।

৫) সুতা কৃমি বাদে অন্য যে কোন কৃমিতে আক্রান্ত হলে মেবেনডাজল ১০০ মিলিগ্রাম একটি ট্যাবলেট, তিন দিন পর অ্যালবেনডজাল ৪০০ মিলিগ্রামের একটি অথবা পিপেরাজিন ৪ গ্রামের একটি ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে।

৬) সুতা কৃমিতে আক্রান্ত হলে অ্যালবেনডজাল ৪০, মেবেনডাজল ১০০ মিলিগ্রাম  অথবা পিপেরাজিন ৪ গ্রামের একটি ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। এর ঠিক দুই সপ্তাহ পর আরো একটি ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে।

৭) কৃমির ঔষধ এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। এটি শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা যেকোনো সময় খাওয়া যেতে পারে। আর কৃমির ঔষুধ বাচ্চাদের কোন ক্ষতি করে না।

শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

একজন বড় মানুষ যে নিয়মে কৃমির ঔষধ খাবে একজন শিশু সে নিয়মে খেতে পারবে না। বয়স অনুযায়ী কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ানোর নিয়ম ভিন্ন হয়ে থাকে। অনেকেই শিশুকে কৃমির ঔষধ খাওয়াতে চায় না ক্ষতিকর ভেবে। কিন্তু শিশুর জন্য কৃমির ঔষধ মোটেও ক্ষতিকর নয়। তবে এটা কিছু নিয়ম করে খাওয়াতে হয়। চলুন জেনে নেই কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম গুলো :

শিশুদের জন্য মেবেনডাজল ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে, ২ বছরের অধিক বয়সের শিশুকে বেশি করে খাওয়ানোর পরে একটি কৃমির ঔষধ দিনে দুইবার করে পরপর তিনদিন খাওয়াতে হবে। এতেও কৃমি সম্পূর্ণ দূর না হলে ৭ দিন পর আরও একটি ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে।

শিশুদের গুঁড়া কৃমির জন্য স্যান্টোনাইন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে, প্রতিদিন দিনে তিনটি করে খেতে হবে। শুধুমাত্র রাতে খাবার ৩০ মিনিট আগে খেতে হবে।

গরুর কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

মানুষের যেমন কৃমি হয় ঠিক গরুরও কৃমি হয়। আবার মানুষের যেমন কৃমি দূর করার জন্য ঔষধ খেতে হয় ঠিক তেমনি গরুকেও কৃমি দূর করার জন্য ঔষধ দিতে হয়। মানুষের কৃমির ঔষধ খাওয়ার যেমন নিয়ম আছে, গরুর কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। চলুন জেনে নেই গরুর কৃমি ট্যাবলেট খাওয়ানোর নিয়মগুলো:

গরুর কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

১) গরুকে সকালে খালি পেটে কৃমিনাশক খাওয়াতে হবে।

২) গরু কে কৃমিনাশক ট্যাবলেট পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। অথবা গুঁড়ো করে গুড়ের সাথে মিশিয়ে বা কলাপাতায় মুড়িয়ে খাওয়াতে পারেন।

৩) কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর ১ ঘন্টা পর পর্যন্ত কোন কিছু খাওয়ানো যাবে না।

৪) Levamisole+Triclabendazole গ্রুপের কৃমিনাশক খাওয়ানোর পর গরুকে প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়াতে হবে। এক ঘন্টার মাঝে পানি ছাড়া অন্য কোন খাদ্য খেতে পারবে না।

৫) কৃমিনাশক খাওয়ানোর দিন গরুকে সব সময় ছায়াযুক্ত জায়গায় রাখতে হবে এবং ঐ দিন গোসল করাতে হবে।

৬) গর্ভবতী গরুকে ৮ মাসের পর কৃমিনাশক খাওয়ানো যাবে না।

৭) কৃমির ঔষধ গরুকে নির্দিষ্ট পরিমানের  চেয়ে বেশি খাওয়ালে কোন সমস্যা নেই কিন্তু নির্দিষ্ট পরিমানের চেয়ে কম খাওয়ালে কৃমি দূর হবে না ।

৮) কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর পরের দিন থেকে টানা ৪-৫ দিন গরুকে লিভারটনিক ও জিংক সিরাপ খাওয়াতে হবে।

ছাগলের কৃমির ঔষধের নাম ও ব্যবহার

গোলাকৃত কৃমি, কলিজা কৃমি, ফিতা কৃমি এই তিন ধরনের কৃমি ছাগলের জন্য বেশ ক্ষতিকর। বাজারে অনেক কৃমির ঔষধ আছে। তবে আজ আমরা জানবো ছাগলের জন্য সবচাইতে ভালো কৃমির ওষুধ কোন্‌ গুলো। চলুন তাহলে ছাগলের কৃমির ঔষধ সম্পর্কে জেনে নিই:

১) ১ মাস বয়সী বাচ্চা ছাগলকে নিউটেক্স বা এক্সটেক্স, মানুষের সিরাপ জেনেরিক নেইম লিভামিসোল প্রত্যেক এক কেজি ওজনের জন্য ১ এমএল করে খাওয়াতে হবে। যদি কৃমির প্রভাব বেশি দেখা দেয় তাহলে 15 দিন থেকে খাওয়ানো যেতে পারে।

২) দুই মাস বয়স পূর্ণ হলে 40 কেজি ওজনের জন্য একটি করে এলটিবেট জেনেরিক নেইম লিবামিসল +ট্রাইকোবেনডোজল ।

৩) তিন মাস বয়স হলে ২৫ কেজি ওজনের জন্য এক এমএল করে চামড়ার নিচে এলটিভেট জেনেরিক নেইম আইভারমেকটিন+ক্লোরোসুলন ইঞ্জেকশন দিতে হবে।

৪) আর চার মাস বয়স হলে ১০ থেকে ২০ কেজি ওজনের জন্য প্যারাক্লিয়ার ফেনবেন্ডজল গ্রুপের ট্যাবলেট একটি করে ‌।

বাছুরের কৃমিনাশক

অনেকে ভাবে দুধ খাওয়া বাছুরের কৃমি হয় না। এই কারণে বাছুরকে ঔষধ খাওয়ানো হয় না। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। বাছুরের কৃমি রোগ মারাত্মক একটি রোগ। এ রোগে বাছুর মারাও যেতে পারে। চলুন তাহলে জেনে নেই বাছুরের কৃমির লক্ষণ ও প্রতিরোধ  সম্পর্কে:

বাছুরের কৃমি হওয়ার কারণ:

১) কলিজার পাতাকৃমি(Liver fluke) এর কারনে Fasciola gigantica নামক কৃমি।

২) গোল কৃমি (Roundworm) এর কারণে(Neoascaris vitulorum) নামক কৃমি।

৩) Rumen fluke এর কারনে Paramphistomum cervi প্রজাতির পাতাকৃমি।

৪) রক্তের পাতাকৃমি (Blood fluke) এর কারণে (Schistosoma Nasalis) নামক পাতাকৃমি।

৫) গর্ভাবস্থায় গাভীকে কৃমি মুক্ত না করলে বাছুর মায়ের পেট থেকে কৃমি বহন করে আনে।

৬) অপরিষ্কার পাত্রে খাদ্য দিলে, অপরিষ্কার পানি ও খাবার খাওয়ালে।

৭) গাভীর প্লাসেন্টার মাধ্যমে লার্ভা যুক্ত ডিম দ্বারা সংক্রমিত হয়।

৮) যে জমিতে পানি ও শামুক জমে থাকে সেই জমির ঘাস ও জলজ উদ্ভিদ খাওয়ালে।

৯) Stomach Worm এর কারণে Haemonchus contortus, mecistocirrus digitatus, trichostrongylus and coopers নামক পাকস্থলী কৃমি।

১০) Stephanofilaria assamensis নামক প্রজাতির কৃমি।

১১) Strongylodon গণভুক্ত বিভিন্ন প্রজাতির কৃমি।

১২) ফিতা কৃমি (Tapeworm) এর কারনে moniezia spp অন্যতম।

ক্ষতিকর দিক সমূহ

১) খাদ্য পরিপাক ও পুষ্টি শোষণে বাধা সৃষ্টি করে, যার কারণে পুষ্টিহীনতা বা রক্তশূন্যতার সৃষ্টি হয়।

২) পরবর্তী বাছুরের প্রজনন ক্ষমতার হ্রাস করে। দুধ ও মাংস উৎপাদন কমায়।

৩) বাছুরের শরীরের সকল পুষ্টি কৃমি শোষণ করে, যার ফলে বাছুর পুষ্টিহীনতায় ভোগে।

৪) বাছুর পর্যাপ্ত পরিমাণে বড় হয় না বলে হজম শক্তি হারিয়ে ফেলে।

৫)  অন্ত্রনালীতে কৃমির জমাট বেঁধে খাদ্য চলাচল বন্ধ হয়ে বাছুরের মৃত্যু হতে পারে।

লক্ষণ

১) বাছুরের পেটে ব্যথা হয়।

২) বাছুরের পশম উসকো খুসকো হয়ে যায়।

৩) বাছুরের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে ও দিন দিন শুকিয়ে যায়।

৪) পাতলা পায়খানা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যায়।

৫) বাছুরের ওজন হ্রাস পায়।

৬) দুর্গন্ধযুক্ত ডায়রিয়া হতে পারে।

৭) বাছুরের পেট বড় হয়ে যায়।

৮) চর্ম রোগও দেখা দিতে পারে।

৯) জ্বর হয় না, তবে কাশি ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

১০) বাছুর দুধ খেতে অনিহা প্রকাশ করে।

১১) অন্যান্য খাবারও তেমন খেতে চায় না।

১২) গলার নিচে পানি জমে থাকতে দেখা যায়।

প্রতিরোধ

১) গর্ভাবস্থায় গাভীকে ৩-৪ মাস পর পর কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়াতে হবে, যাতে বাচ্চা কৃমিনাশক মুক্ত হয়ে জন্মায়।

২) গর্ভাবস্থায় গাভীকে বর্ষার পর জেগে ওঠা ঘাস ও সকালের ভেজা ঘাস খাওয়ানো যাবে না।

৩) স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে বাছুর লালন পালন করতে হবে।

৪) বাছুরের জন্মের ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে পাইপেরাজিন সাইট্রেট গ্রুপের pow ascarex 100 বা 500 mg ১০ গ্রাম চিটাগুরার সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে জিহ্বায় ঘষে দিতে হবে।

৫) বাছুরের জন্মের ছয় মাস পর্যন্ত প্রতি মাসে একটি করে,albendazole গ্রুপের ট্যাবলেট,almex vet 600mg খালি পেটে গুড়  দিয়ে খাওয়াতে হবে।

কৃমির ঔষধ বেশি খেলে কি হয় 

প্রতিটি ঔষধেরই যেমন উপকারিতা আছে, ঠিক তেমনি এর অপকারিতা রয়েছে। কৃমির ট্যাবলেটও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রতিটি ট্যাবলেট খাওয়ার কিছু নিয়মকানুন থাকে। আপনি যদি নিয়মকানুন না মেনে অতিরিক্ত ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন তাহলে তা অবশ্যই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাহলে চলুন জেনে নেই কৃমির ঔষধ বেশি খাওয়ার ফলাফল:

সাধারণত যাদের পেটে কৃমি একটু বেশি তাদের কৃমির ঔষধ খেলে বমি বমি ভাব হতে পারে। এছাড়াও কিছু কিছু মানুষের পেটে ব্যথা ও মাথা ব্যথা হয়। এগুলো তেমন বড় কোন সমস্যা নয়। এই সমস্যা গুলো দীর্ঘস্থায়ীও নয়। একই সাথে চিকিৎসকরা খালি পেটে কৃমির ঔষধ না খাওয়া ও কৃমির ঔষধ খেয়ে বেশিক্ষণ রোদে না থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

কৃমি মানুষের পেটে পরজীবী হিসেবে বসবাস করে। মানুষ যে খাবারগুলো খায় সেই খাবারের পুষ্টিগুলো কৃমি খেয়ে ফেলে, যার কারণে মানুষ পুষ্টিহীনতাই ভোগে; বিশেষ করে শিশুরা। কৃমি মানুষের দেহ থেকে রক্ত শোষণ করে, যার ফলে শিশুরা রক্তশূন্যতায় ভুগে। তাই কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। তবে এই ঔষধ অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরিমান মত খাওয়ানো উচিত। মাত্রাতিরিক্ত এই ঔষধ খেলে মানুষ বিভিন্ন সমস্যায় ভোগে। কৃ্মির ঔষধ অতিরিক্ত খেলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই কৃমির ঔষধ বেশি সেবন করা উচিত নয়।

সবশেষে, কৃমির ঔষধ খাওয়া ভালো। গুজবে কান না দিয়ে কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম মেনে ঔষধ খেলে কিছুই হয় না। কৃমির ঔষুধের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই এবং এটি শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা যেকোনো সময় খাওয়া যেতে পারে। তাই কৃমির  ঔষধ খেতে ভয় পাবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Latest posts

  • সর্দি থেকে মুক্তির উপায়, নাকের এলার্জি দূর করার উপায় | দ্রুত উপশম পেতে ঘরোয়া চিকিৎসা

    সর্দি থেকে মুক্তির উপায়, নাকের এলার্জি দূর করার উপায় | দ্রুত উপশম পেতে ঘরোয়া চিকিৎসা

    নাকের এলার্জি হচ্ছে নাকের ঝিল্লি প্রদাহের কারণে নাকের একটি সমস্যা। এটি সারা বিশ্বব্যাপী একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ নাকের এই রোগে আক্রান্ত। নাকের এলার্জি কোন মারাত্মক ক্ষতিকর রোগ না হলেও এ রোগের কারণে দৈনন্দিন জীবন প্রবাহ ব্যাহত হয়। এলার্জিজনিত সর্দি এবং হাঁচি জীবনকে অতিষ্ট করে তোলে। এই রোগে হঠাৎ…

    Read more

  • কফ, কাশি দূর করার উপায় | সঠিক চিকিৎসাই হতে পারে কাশি দূরীকরণের মাধ্যম

    কফ, কাশি দূর করার উপায় | সঠিক চিকিৎসাই হতে পারে কাশি দূরীকরণের মাধ্যম

    গলায় বুকে কফ জমে থাকা বেশ বিরক্তিকর একটি সমস্যা। ঋতু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়। আর আবহাওয়ার এই দ্রুত পরিবর্তন আমাদের শরীর খাপ খাওয়াতে পারে না, যার কারণে সৃষ্টি হয় ঠান্ডা জ্বর ও সর্দি-কাশির। ঠান্ডা সর্দি কাশি এগুলো আমাদের কাছে খুব পরিচিত রোগ হলেও এই ঠান্ডা সর্দি কাশি থেকে আমাদের দেহে অনেক বড় বড় অসুখ…

    Read more

  • ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চার্ট | সুস্থ স্বাভাবিক জীবন

    ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চার্ট | সুস্থ স্বাভাবিক জীবন

    সুস্থ স্বাভাবিক এবং রোগমুক্ত জীবন আমরা কে না চাই। আর এই সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করার একমাত্র উপায় হচ্ছে শারীরিক ওজন ঠিক রাখা। কেননা ওজন বেড়ে গেলে যে কোন রোগের ঝুঁকি ও বেড়ে যায়। এজন্য বাড়তি ওজন অনেকের মানসিক অসুস্থির প্রধান কারণ। তাই রোগ প্রকোপ কমাতে এবং মানসিক শান্তির উদ্দেশ্যে আমাদের সকলের উচিত শারীরিক ওজন…

    Read more