গত এক দশক ধরে ব্যবসায় তরুণদের পদচারণা ইতিবাচক হারে বেড়ে চলছে । এর প্রধান কারণ- তরুণরা বর্তমানে নিজ নিজ চিন্তা-ভাবনাগুলোকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।
আরেকটি অন্যতম প্রধান কারণ হলো- ইন্টারনেটের প্রসার। ইন্টারনেটের প্রসারের কারণে মানুষ খুব সহজেই তাদের চিন্তা-ভাবনাগুলোকে পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে পারছেন। এর এজন্যই বর্তমানে অনেক তরুণ উদ্যোক্তা তৈরী হচ্ছে।
তারা বার বার দেখিয়ে দিচ্ছেন- নিজেদের আইডিয়াগুলোকে সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে, সফলতা পাওয়া কঠিন কিছু নয় ।
অন্য ভাবে বলা যায়, তরুণদের জন্যে সময়ের সদ্ব্যব্যবহারেরও একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তারা স্থাপন করে যাচ্ছেন। এছাড়া তারা প্রমাণ করেছেন, উদ্যোক্তা হতে গেলে বয়স কোন বিষয় নয়। শুধু সঠিক পরিকল্পনা, অভিনব আইডিয়া আর দৃঢ় মনোভাব প্রয়োজন।
আজকে আমরা ঠিক এমনই ১৫ জন উদ্যোক্তার কথা জানবো, যারা খুব কম বয়সেই সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রমাণ করে নিজেদেরকে তরুণদের রোল মডেল হিসেবে তৈরী দাঁড়া করিয়েছেন।
১৫ জন সফল উদ্যোক্তার অনুপ্রেরণার গল্প
১. মার্ক জুকারবার্গ
প্রতিষ্ঠাতা, ফেসবুক
শুরুতেইও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট, ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মার্ক জুকারবার্গের কথা। তিনি মাত্র ১৯ বছর বয়সে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন।
ঠিক তখন থেকেই ফেসবুক জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে। প্রতিষ্ঠার মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই ফেসবুক বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে অবস্থান করে নেয়।
বর্তমানে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই ফেসবুকের সদর দপ্তর রয়েছে। ফেসবুকের সফলতা জোরেই মার্ক জুকারবার্গের বর্তমান সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৭২.৩ বিলিয়ন ডলার।
২. ম্যাট মুলানভেগ
প্রতিষ্ঠাতা, ওয়ার্ডপ্রেস
২০০৫ সালে ম্যাট মুলানভেগ বিশ বছর বয়সে “অটোম্যাটিক” প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে তিনি “অটোম্যাটিক” থেকেই ওয়ার্ডপ্রেসের সূচনা করেন।
ওয়ার্ডপ্রেস মূলত ব্লগিং প্ল্যাটফর্মের জন্যে ব্যবহৃত একটি কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। মাত্র এক যুগের ব্যবধানে বর্তমানে “ওয়ার্ডপ্রেস” বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হয়ে উঠেছে।
পুরো ইন্টারনেট দুনিয়ার শতকরা ৯০ ভাগ ওয়েবসাইটই ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরী। ম্যাট মুলানভেগের ব্যাপারে অন্যতম রোমাঞ্চকর তথ্য হলো- অন্যসব সফল উদ্যোক্তার মত তিনিও কলেজ ড্রপআউট ছিলেন।
ওয়ার্ডপ্রেসের সফলতা আজ তাঁর সম্পদের পরিমাণকে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে গেছে।
৩. ক্যাথরিন কুক
প্রতিষ্ঠাতা, মিটমি ডট কম
(আগের পরিচিত ছিলো মাই ইয়ার বুক ডট কম নামে)
মাত্র ১৬ বছর বয়সে ক্যাথরিন কুক একটি ডিজিটাল বর্ষপঞ্জিকা করার পরিকল্পনা হাতে নেন। সাথে নেন তাঁর বড় ভাই ডেভ কুককে।
দুইজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় হয় “মাই ইয়ার বুক” যা বর্তমানে মিটমি ডট কম হিসেবেও পরিচিত। যদিও পরবর্তীতে বর্ষপঞ্জিকার পরিকল্পনা থেকে অনেকটাই সরে আসেন ক্যাথরিন কুক ও ডেভ কুক।
সময়ের পরিক্রমায় তারা “মাই ইয়ার বুক” কে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সার্ভিস হিসেবে তৈরী করেন। ২০১২ সালে নাম পরিবর্তন করে “মিটমি ডট কম” দেন। তবে টিনএজ বয়সে তাদের ঐ পরিকল্পনাটির জোরেই তারা হয়ে যান বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ ধনকুব।
৪. ডেভিড কার্প
প্রতিষ্ঠাতা, টাম্বলার
২০০৭ সালে ডেভিড কার্প প্রতিষ্ঠা করেন টাম্বলার। টাম্বলার প্রতিষ্ঠার সময় ডেভিডের বয়স ছিলো মাত্র ২১ বছর। টাম্বলার হলো ক্ষুদ্র-ব্লগিং ওয়েবসাইট যেখানে ইউজাররা ক্ষুদ্র পরিসরে ব্লগ খুলতে পারেন।
২০১৩ সালে টাম্বলার মাইক্রোসফটের অধীনে চলে যায়। কিন্তু তারপর প্রায় এক দশক পরে এসে এখনো অনলাইন কমিউনিটিতে টাম্বলার নিজের শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে। যার বদৌলতে ডেভিড কার্পের বর্তমান সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২০০ ডলার।
৫. বরুণ আগারওয়াল
তরুণ উদ্যোক্তা, ফিল্ম মেকার, মোটিভেশনাল স্পিকার ও লেখক
বরুণ আগারওয়াল একজন ভারতীয় তরুণ উদ্যোক্তা, ফিল্ম মেকার, মোটিভেশনাল স্পিকার ও লেখক। তিনি মাত্র ২৫ বছর বয়সে “How I Braved Anu Aunty and Co-Founded A Million Dollar Company” নামে একটি উপন্যাস লেখেন।
উপন্যাসটি মূলত লিখেছিলেন উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্যে। উপন্যাসটি পুরো ভারতে বিপুল সাড়া ফেলে। এই বইটি ২০১২ সালে “ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল বেস্ট সেলার” নির্বাচিত হয়।
পাশাপাশি অ্যামাজন ইন্ডিয়ার টপ ফাইভ বেস্ট সেলড বুকের লিস্টে চলে আসে। এছাড়াও এই কাহিনী অবলম্বনে বলিউডেও ছবি নির্মাণ করছেন দঙ্গল খ্যাত পরিচালক নিতেশ তিওয়ারী।
এছাড়াও তিনি এই উপন্যাস লেখার আগে, মাত্র ২১ মছর বয়সে অস্কার বিজয়ী সঙ্গীত পরিচালক এ আর রেহমানের সাথে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন মুম্বাই ভিত্তিক ব্যান্ডদল “পেন্টাগন” এর একটি মিউজিক ভিডিওতে। বর্তমানে ভারতের শীর্ষ ১০ উদ্যোক্তাদের মধ্যে তিনি একজন।
৬. পিট ক্যাশমোর
প্রতিষ্ঠাতা, ম্যাশেবল
২০০৫ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে পিট ক্যাশমোর ম্যাশেবল প্রতিষ্ঠা করেন। ম্যাশেবল মূলত একটি ডিজিটাল মিডিয়া ওয়েবসাইট।
বিশ্বের বিনোদন দুনিয়ার প্রতিদিনের খবর ও বিভিন্ন রোমাঞ্চকর খবরের একটি ওয়েব পোর্টালও বলা যেতে পারে ম্যাশেবলকে।
দিনকে দিন তরুণদের মধ্যে এটির জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন মিলিয়নের মত মানুষ এই সাইটটিকে ভিজিট করেন। ম্যশবলের এই সফল প্রতিষ্ঠাতার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৯৫ মিলিয়ন ডলার।
৭. জন হুইটলি
প্রতিষ্ঠাতা, ডেইলিবুথ
ফটো আপলোডের ওয়েবসাইট “ডেইলিবুথ”। ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেসের কারণে অল্প দিনেই জনপ্রিয়তা লাভ করে এই ওয়েবসাইটি।
এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন জন হুইটলি। ২০০৯ সালে যখন তিনি ডেইলিবুথ প্রতিষ্ঠা করেন তখন তাঁর বয়স ছিলো মাত্র ২১ বছর।
তিনিই ইন্টারনেট দুনিয়ায় প্রথম ফটো ব্লগিংয়ের সূচনা করেন। ২০১৪ সালে ডেইলিবুথ বন্ধ হয়ে গেলেও সেই সময়ে ওয়েবসাইটটির মূল্য ছিলো প্রায় ১ মিলিয়ন ডলারের মত।
৮. ব্লেইক রস
প্রতিষ্ঠাতা, মজিলা ফায়ারফক্স
পুরো দুনিয়াতে যখন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার আর গুগল ক্রোমের রাজত্ব চলছে তখন ব্লেইক রস মাত্র ১৯ বছর বয়সে ২০০৪ সালে মজিলা ফায়ারফক্স ব্রাউজার তৈরী করেন।
প্রায় এক যুগ পরে এসেও ফায়ারফক্স তাঁর নিজ রাজত্ব ধরে রেখেছে। ২০১২ সালের জরিপ মতে, ব্লেইক রসের সম্পদের পরিমাণ ১৫০ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার।
৯. রিচার্ড লুডলো
উদ্ভাবক, অ্যাকাডেমিক আর্থ
২০০৯ সালে রিচার্ড লুডলো প্রতিষ্ঠা করেন অলাভজনক সংস্থা “অ্যাকাডেমিক আর্থ ডট অর্গ”। এই সংস্থাটির উদ্দেশ্য হলো – সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কম খরচে ভালো মানের শিক্ষার যোগান দেওয়া।
বর্তমানে এটি বিশ্বের প্রায় লক্ষাধিক মানুষকে বিনা মূল্যে বিভিন্ন অনলাইন কোর্স করিয়ে আসছে।
রিচার্ড তাঁর “অ্যাকাডেমিক আর্থ ডট অর্গ” এ মনোযোগী হওয়ার উদ্দেশ্যে তাঁর বাইশ বছর বয়সে একটি পূর্ণকালীন চাকুরী ও একটি খ্যাতনামা কলেজে এমবিএ-র ভর্তি বাতিল করেন। তিনি প্রমাণ করেছেন উদ্যোক্তা মানেই শুধু আর্থিক স্বার্থ উদ্ধার নয়।
১০. ফ্রাশার দোহার্টি
প্রতিষ্ঠাতা, সুপার জ্যাম
জ্যাম-জেলির বিখ্যাত স্কটল্যান্ডভিত্তিক ব্র্যান্ড “সুপার জ্যাম”। মাত্র ১৪ বছর বয়সে ফ্রাশার দোহার্টি এই প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেন।
তিনি ১৪ বছর বয়সেই গৃহজাত বিভিন্ন উপাদান থেকে স্বাস্থ্যসম্মত জ্যাম-জেলি প্রস্তুত করা শেখেন। তখন তিনি সেগুলোকে ওয়েটরোজের দোকানে বিক্রি করতেন।
পরবর্তীতে তিনি ব্যবসার প্রসার ঘটান এবং “সুপার জ্যাম”কে একটি ব্রান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। “সুপার জ্যাম” এর বর্তমান সম্পদ মূল্য প্রায় দুই মিলিয়ন ডলারের মত।
১১. সিন বিলনিক
প্রতিষ্ঠাতা, বিজ চেয়ার
৫০০ ডলার পুঁজি দিয়ে সিন বিলনিক মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে “বিজ চেয়ার ডট কম” প্রতিষ্ঠা করেন। মূলত সিন বিজ চেয়ারের মাধ্যমে আসবাব বিক্রি করতেন।
প্রতিষ্ঠার ৪ বছরের মাথায় ২০০৫ সালে, এটি প্রায় ১৩ মিলিয়ন ডলারের পণ্য বিক্রি করে। ২০০৮ সালে তা বেড়ে গিয়ে ৪০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। যার ফলে সিন বিলনিক হয়ে উঠেন একজন সফল উদ্যোক্তা।
১২. জোশুয়া জিয়াবিয়াক
প্রতিষ্ঠাতা, মিডিয়া ক্যাচ
জোশুয়া জিয়াবিয়াক ২০০১ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে মিডিয়া ক্যাচ প্রতিষ্ঠা করেন। মূলত এটি ছিলো ডোমেন ও হোটিং প্রোভাইডিংয়ের একটি কোম্পানি।
তিন বছর পর, জোশুয়া মিডিয়া ক্যাচকে কানাডিয়ান একটি কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেন যা তাঁকে মাত্র ১৮ বছর বয়সেই মিলিয়নিয়র করে তোলে।
পরবর্তীতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন “শোফ্লিক্স” ও “জেব্রা”-র মত বেশ কিছু সুপরিচিত কোম্পানি। বর্তমানের জোশুয়ার সম্পদের পরিমাণ নয় মিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
১৩. রায়ান ব্লক
পণ্য ব্যবস্থাপক, এনগ্যাজেট
রায়ান ব্লক পৃথিবীর সর্বাধিক বেতনভুক্ত প্রযুক্তি ব্যক্তিত্ব। তাঁর বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৩০ মিলিয়ন ডলার। ছাব্বিশ বছর বয়সে তিনি এওল-এর এনগ্যাজেটের সম্পাদক হন।
পরবর্তীতে তিনি “জিডিজিটি” নামক একটি টেকনোলিজি কমিউনিটি গড়ে তোলেন। এর পর থেকে তাঁর খ্যাতি বাড়তে থাকে।
১৪. অ্যারন লেভি
প্রতিষ্ঠাতা, বক্স
অনলাইন ফাইল স্টোরেজ সাইট বক্সের আইডিয়া অ্যারন লেভির মাথায় আসে ২০০৪ সালে। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময় তিনি ও ডিলান স্মিথ বক্স প্রতিষ্ঠা করেন।
বক্স এখনো সেরা পাঁচ ফাইল স্টোরেজ সাইটগুলোর মধ্যে একটি। বর্তমানে বক্স শুধু ফাইল স্টোরেজ সাইটই নয়, একই সাথে কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সুবিধাও দিচ্ছে।
বক্সের সফলতা অ্যারনকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রমাণ করেছে। ২০১৬ সালে অ্যারনের সম্পদের আনুমানিক পরিমাণ ছিলো ৯০ মিলিয়ন ডলার।
১৫. অ্যালেকজান্ডার লেভিন
সহ-প্রতিষ্ঠাতা, ইমেজ শ্যাক
ইমেজ শ্যাক হলো ইন্টারনেটে ছবি সংরক্ষণের সর্ববৃহৎ ওয়েবসাইট। অ্যালেকজান্ডার লেভিন তাঁর সহযোগীকে নিয়ে ১৯ বছর বয়সে এটি প্রতিষ্ঠা করেন।
২০০৪ সালের প্রতিষ্ঠার প্রায় এক যুগ পরেও ইমেজ শ্যাকের জনপ্রিয়তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এটির প্রিমিয়াম সার্ভিসের জন্যে বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করে।
ইমেজ শ্যাকের দুইজন প্রতিষ্ঠাতার অংশীদারী সম্পদের পরিমাপ প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলারের মত।
উদ্যোক্তা হতে গেলে অভিজ্ঞতা কিংবা বয়স কোনটাই খুব বেশি প্রয়োজন পড়ে না। শুধু আপনার যেটা প্রয়োজন, সেটা হচ্ছে উদ্দীপনা। কিছু করার ইচ্ছা ।
এই ১৫ জন উদ্যোক্তা যা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন। তাই আর দেরি কেন? আপনিও নেমে পড়ুন তরুণ উদ্যোক্তার এই উদ্যোগী প্রতিযোগিতায়। নিজের স্বপ্নকে কল্পনায় আবদ্ধ করে না রেখে এখনি নেমে পড়ুন।
অভিযাত্রীর পক্ষ থেকে শুভ কামনা রইলো আপনার জন্যে।
Leave a Reply