দাদ ও চুলকানি হচ্ছে একটি চর্মরোগ। এ রোগ আমাদের শরীরের যেকোনো সময় যে কোন অংশে দেখা দিতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় শরীরের বিভিন্ন অংশে গোলাকার লালচে কিছু ফুসকুড়ির মত উঠেছে এবং প্রচুর পরিমাণে চুলকানি হয় সেখানে। এই লালচে ফুসকুড়ি গুলোই হচ্ছে দাদ। এটা মূলত ফাঙ্গাসজনিত ত্বকের একটি রোগ, ইংরেজিতে যাকে রিংওর্ম নামে ডাকা হয়। আবার চিকিৎসাবিজ্ঞানে এটিকে ডার্মাটোফাইসিস বলা হয়।
দাদ শরীরের যেকোন স্থানে দেখা দেওয়ার মতো ক্ষমতাসম্পন্ন একটি রোগ এবং এর সবচেয়ে ভয়ংকর দিক হচ্ছে এটি ছোঁয়াচে। দাদ সাধারণত দাড়িতে, চুলে, পিঠে, মাথার ত্বকে, পেটের উপরি ভাগে, পায়ের পাতায় বেশি আক্রমণ করে। দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা এই চর্মরোগজনিত সমস্যাকে নিরাময় করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
শরীরের কোন একটি স্থানের দাদ দেখা দিলে তা ধীরে ধীরে শরীরের আরো বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে এবং এটি ছোয়াচে বলে পরিবারের একজনের হলে বাকি সদস্যরাও খুব সহজে আক্রান্ত হয়ে থাকে।সাধারণত আবহাওয়া, ঘাম ও ত্বকের সঠিক পরিচর্যা না করলে ত্বকে দাদজনিত সমস্যা দেখা দেয়।
আমাদের আশেপাশে অনেক মানুষ আছেন যারা এই সমস্যাটিতে ভুগছেন এবং বারবার ডাক্তার দেখিয়েও এই সমস্যা থেকে সমাধান পাচ্ছেন না। কিন্তু আজ এমন কিছু উপায় বলবো যার মাধ্যমে আপনি চাইলে খুব সহজেই দাদ রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখে নেই, দাউদ কিভাবে ভালো হয় তার ঘরোয়া কিছু প্রকিয়া:
দাদ রোগের লক্ষণ
এ রোগের লক্ষণ জানা থাকলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো এবং সহজেই দাদ চুলকানি দূর করার উপায় খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়। ঘরোয়া উপায়ে মিলবে সমাধান এমন কিছু ঔষধ ব্যবহার করেই আপনি সহজেই দাদ দূর করতে পারেন। এ রোগের প্রধান উপসর্গ হলো ফুসকুড়ি বা র্যাশ। এই র্যাশ সাধারণত লালচে গোলাকার আংটির মতো হয়ে থাকে।
তবে অনেক ক্ষেত্রে রোগীর ত্বকের বর্ণ ভেদে রূপালী রঙের হয়ে থাকে। এছাড়াও ত্বকের বর্ণ পরিবর্তনের সাথে সাথে ত্বকের উপরিভাগে আইশঁ থাকতে পারে। এগুলো ছাড়াও আক্রান্ত স্থানে আরো বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়, চলুন সেগুলো জানা যাক:
১) ত্বক শুকনা ও খসখসে হয়ে যাওয়া।
২) যে স্থানে দাদ হয়েছে সেই স্থান ফুলে যাওয়া।
৩) অতিরিক্ত চুলকানি হওয়া।
৪) আক্রান্ত স্থানে লোম পড়ে যাওয়া।
শরীরের যেসব স্থানে দাদ হয়
দাদ শরীরের যেকোন স্থানে দেখা দিতে পারে। দাদের লক্ষণেও হালকা-পাতলা ভিন্নতা আসতে পারে। এক এক জায়গার দাদের র্যাশের আকার এক এক রকম হয়। আবার স্থান বেধে একাধিক র্যাশও দেখা দিতে পারে। চলুন তাহলেই জেনে নেই শরীরের কোন্ কোন্ স্থানে দাদ হয়:
১) মাথায়: মাথার ত্বকে যে স্থানে দাদ দেখা দেয় সাধারণত সেই অংশের চুল পড়ে যায় এবং সেই অংশে লাল রঙের গোলাকার ছোট ছোট আশঁ যুক্ত র্যাশ তৈরি হয় ও চুলকানি হয়। এই দাদ ছড়িয়ে পড়লে টাক অংশের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে এবং একাধিক র্যাশ তৈরি হতে পারে। মাথার ত্বকের দাদ সাধারণত শিশুদের বেশি হয়।
২) পা ও পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে: পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে দাদ হলে সেই স্থানটি ফুলে উঠে ও লাল হয়ে যায় এবং সেই স্থান থেকে চামড়া উঠতে থাকে। আঙ্গুলের ফাঁকে ফাঁকে চুলকানি হয়। পায়ের সবচাইতে ছোট দুটি আঙ্গুলের মাঝখানে অধিক পরিমাণে চুলকানি হয়ে থাকে। পায়ের দাদ ছড়িয়ে গেলে পায়ের পাতা ও গোড়ালি আক্রান্ত হতে পারে।
৩) দাড়ি: দাড়িতে দাদ হলে আক্রান্ত স্থানের চুল পড়ে যায়। সাধারণত গাল, চিবুক ও গলার উপরের অংশে দাদ হয়। এখানেও লাল লাল গোলাকার আইশ যুক্ত র্যাশ দেখা যায়। দাড়ির দাদে র্যাশের উপর আস্তর পরে ও অনেক সময় ভেতরে পুঁজ জমতে পারে।
৪) কুঁচকি: কুচকির দাদে উরুর ভেতরের দিকের ভাঁজে লাল লাল র্যাশ হিসেবে দেখা যায়। এখানেও র্যাশে আঁইশ থাকে ও প্রচুর পরিমাণে চুলকানি হয়।
দাদ রোগ কিভাবে ছড়ায়
দাদ সংক্রামক রোগ। দাদ সাধারনত ট্রাইকোফাইটন, এপিডারমোফাইটন, মাইক্রোপ্সোরাম জাতীয় জীবাণুর মাধ্যমে সংক্রমণ ঘটায়। যখন দাদ ও চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে আপনার জানা থাকবে তখন ঘরোয়া ঔষুধে মিলবে সমাধান এমন কিছু ঔষুধের নাম জেনে আপনি দ্রুতই দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন। দাদ মূলত তিনভাবে ছড়ায়:
১) দাদ আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহারের কোন কিছু স্পর্শ করলে। যেমন: তোয়ালে, চিরুনি, বিছানা চাদর, জামাকাপড় ইত্যাদি।
২) দাদ আক্রান্ত যেকোনো প্রাণীকে স্পর্শ করলে। যেমন দাদ আক্রান্ত কুকুর, বিড়াল, গরু-ছাগল, ঘোড়া ইত্যাদি স্পর্শ করলে ।
৩) দাদের জীবাণু আছে এমন পরিবেশে বসবাস করলে। বিশেষ করে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে।
দাদের চিকিৎসা
দাদ রোগের চিকিৎসায় সাধারণত এন্টিফাঙ্গাল ঔষুধ ব্যবহার করা হয়। এ রোগের চিকিৎসা নির্ভর করে কতটুকু দাদ হয়েছে এবং ইনফেকশন কতটুকু গুরুত্ব তার ওপর। অনেকেই চিন্তা করে থাকেন দাদ সারানোর উপায় কি। কি কি ঔষধ গ্রহণ করা উচিত। এ রোগে চিকিৎসার পাশাপাশি কিছু নিয়মকানুন মেনে চলা গুরুত্বপূর্ন যাতে বাড়ির অন্য সদস্যের মধ্যে দাদ রোগ ছরিয়ে না পড়ে। দাদ রোগের ঔষধ বিভিন্ন রূপে পাওয়া যায়।
চলুন ঔষুধগুলো সম্পর্কে জেনে দাদ চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিই: এ রোগ সারানোর জন্য সাধারণত দাউদের চিকিৎসা মলম, জেল, ক্রিম, পাউডার, স্প্রে, লোশন, ক্যাপসুল ও ট্যাবলেট ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
দাদ রোগের জন্য ডাক্তাররা সাধারণত মুখে খাওয়ার ঔষধ না দিয়ে সরাসরি ত্বকে লাগানোর ঔষধ যেমন, জেল, ক্রিম, লোশন, স্প্রে বা পাউডার দিয়ে থাকে। এছাড়াও দাদ চিকিৎসার মলম পাওয়া যায়। এ রোগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় ধরে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাহ্যিক দৃষ্টি থেকে র্যাশ সেরে গেছে এমন মনে হলেও ঔষধ বন্ধ করা উচিত নয়। পুরোপুরি সেরে যাওয়ার আগে যদি ঔষধ বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে পুনরায় দাদ হতে পারে।
বিশেষ সতর্ক: দাদ রোগ সারাতে কখনো স্টেরয়েড জাতীয় মলম ব্যবহার করবেন না। এটি চুলকানি ও ত্বকের লালচে ভাব কমাতে সাহায্য করলেও দাদের জীবাণু মোটেও ধ্বংস করতে পারে না। এ সকল ক্রিম ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করে দেয়, যার ফলে দাদ শরীরের অন্যান্য অংশ ছড়িয়ে পড়ে। তাই মোটেও এ সকল ক্রিম ব্যবহার করবেন না।
দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
দাদ চুলকানি রোগ আমাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে বাধা সৃষ্টি করে। এ রোগে আক্রান্ত রোগী চুলকানির কারণে দৈনন্দিন কাজগুলো শান্তিমত করতে পারে না। এ রোগ দূর করতে ঔষুধের পাশাপাশি এমন কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যা বেশ কার্যকর। তাহলে চলুন জেনে নেই দাদ সারানোর উপায় কি ও চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়:
১) পেঁপে: পেঁপে কে আমরা সবাই খাবার হিসাবে জানলেও এটি শরীরের দাদের প্রকোপ কমাতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা অনেকেই জানেনা। এতে আছে এন্টিফাঙ্গাল উপাদান, যা দাদের জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। এর পাশাপাশি পেঁপে শরীরের মৃত চামড়া সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। এসব কারণে পেঁপে দাদ দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
পেঁপে দিয়ে দাদ দূর করতে হলে প্রথমে অল্প পরিমাণ পেঁপে নিয়ে সেটির একটি পেস্ট তৈরি করে নিন এবং দাদ যুক্ত স্থানে লাগিয়ে দিন। কিছুক্ষণ রাখার পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে দাদ রোগ থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায়।
২) নারকেল তেল: নারকেল তেল নারীদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর মধ্যে একটি। বিশেষ করে নারীদের চুলের যত্নের জন্য এই তেল ব্যবহার করা হয়। চুল পড়া হ্রাস, চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি, চুলকে সুন্দর করে তোলে এই তেল। শুধু তাই নয় শীতকালে এই তেলকে লোশনের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়। নারকেল তেল ত্বকের মশ্চারাইজার ধরে রাখতে সাহায্য করে। এত গুনাগুন সম্পন্ন নারকেল তেল কিন্তু দাদ ও চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে। এই তেলে থাকা উপাদানগুলো দাদ রোগ সরানোর জন্য বেশ উপকারী।
নারকেল তেলের মাধ্যমে দাদ দূর করার জন্য প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাদযুক্ত স্থানটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিয়ে সেখানে নারকেল তেল লাগালে উপকার পাওয়া যাবে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে আবার সেই স্থানটি পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে খুব শীঘ্রই দাদ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৩) অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরাতে থাকা উপকারী উপাদান ত্বক ও চুলের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। একে প্রাকৃতিকভাবে কিংবা কৌটার যেভাবেই ব্যবহার করা হয় না কেন খুব ভালো কাজে দেয়। ত্বক ও চুলের যত্নের পাশাপাশি অ্যালোভেরা দাদ ও চুলকানি দূর করতে বেশ কার্যকরী।
শরীরের যে স্থানে দাদ সেখানে কয়েক সপ্তাহ নিয়মিত অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করুন। দেখবেন কিছুদিনের ব্যবধানেই দাদ ও চুলকানি দূর হয়ে যাবে। খুব ভালো ফলাফল পেতে প্রাকৃতিক অ্যালোভেরার রস ব্যবহার করুন।
৪) রসুন: রসুন শুধু রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয় না এতে আছে আরো অনেক প্রাকৃতিক গুণ। রসুনে থাকা অ্যান্টিফাঙ্গাল বা ফাঙ্গাস প্রতিরোধক উপাদান খুব দ্রুত দাদ ও চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে।
রসুন দিয়ে দাদ সারানোর জন্য আপনাকে প্রথমে কয়েকটি রসুন কেটে দাদযুক্ত স্থানে লাগিয়ে নিতে হবে। কিছুক্ষণ রাখার পর সেই স্থানটি খুব ভালোভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নেবেন। অন্যভাবে রসুনের পেস্ট তৈরি করে দাদ যুক্ত স্থানে লাগিয়ে নিন এবং কিছুক্ষণ পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে খুব সহজেই দাদ দূর করা যায়।
৫) নিম: প্রাচীনকাল থেকেই দাদ দূর করার জন্য নিম ব্যবহার করা হয়। একে বলা হয় প্রাকৃতিক এন্টিসেপটিক। নিম পাতা বিভিন্ন রোগ জীবাণু ও ত্বকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ব্রণ, চর্মরোগ, দাদ, চুলকানি ইত্যাদি থেকে মুক্তি পেতে নিম অতুলনীয়।
নিমের তেলের মাধ্যমে খুব সহজেই দাদ দূর করা যায়। এজন্য আক্রান্ত স্থানে আপনাকে নিয়মিত খুব অল্প পরিমাণে নিমের তেল ব্যবহার করতে হবে। কিছুদিন এভাবে ব্যবহার করলে আপনি নিজেই উন্নতি লক্ষ্য করতে পারবেন। আরো ভালো ফলাফল পেতে চাইলে নিমের তেলের সাথে অ্যালোভেরা রস ব্যবহার করুন।
৬) পুদিনা পাতা: পুদিনা পাতা কে খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হলেও দাদ ও চুলকানি দূর করতে পুদিনা পাতা বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। পুদিনা পাতা দিয়ে দাদ, চুলকানি দূর করার জন্য অল্প কিছু পুদিনা পাতা ও সাথে লেবুর রস নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে। এরপর দাদ যুক্ত স্থানে লাগিয়ে নিন। এভাবেই পুদিনা পাতা দিয়ে খুব সহজেই দাদ দূর করা যায়।
৭) হলুদ: প্রাচীনকাল থেকেই ত্বকের যত্নে হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে। দাদ দূর করতেও হলুদ খুব ভালো কাজ করে। হলুদ দিয়ে দাদ দূর করতে হলে আপনাকে প্রথমে কয়েকটি হলুদ নিয়ে সেগুলোকে বেটে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে। এরপর এই হলুদ বাটা আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে নিন। যদি কাঁচা ও টাটকা হলুদ ব্যবহার সম্ভব হয় তাহলে খুব ভালো কাজে দিবে।
৮) লবণ ও ভিনেগার: লবণ এবং ভিনেগার এই দুইটি উপাদান দাদ দূর করতে বেশ সাহায্য করে। এর জন্য প্রথমে একটি পাত্রে পরিমাণ মত ভিনেগার নিন। এরপর সেখানে পরিমাণ মত লবণ মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে দিন। এভাবেই নিয়মিত ব্যবহার করতে থাকলে খুব তাড়াতাড়ি দাদ দূর হয়ে যাবে।
পরিশেষে, দাদ একটি জীবন নাশক রোগ না হলেও এর লক্ষণ গুলো প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথেই দেরি না করে চিকিৎসা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করলে এটি সংক্রমণকে অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে বাধা সৃষ্টি করবে। তাই দাদের লক্ষণগুলো প্রকাশ পাওয়া মাত্রই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করুন। ডাক্তারের কিছু পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক ভাবে চিকিৎসা করলে মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই দাদ সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করা সম্ভব।
ডাক্তারি চিকিৎসার পাশাপাশি দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করেও এই রোগ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। আশা করি, দাদ ও চুলকানি দূর করার উপায়, ঘরোয়া ঔষুধে মিলবে সমাধান এই আর্টিকেল থেকে আপনাকে দাদ রোগ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য দিতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের সাথে থাকার জন্য একান্ত ধন্যবাদ। আপনার সুস্থতাই আমাদের কাম্য।
Leave a Reply