পেটের গ্যাস কমানোর উপায় | পেটের গ্যাস কমাতে ঘরোয়া টোটকা

Published:

Updated:

পেটের গ্যাস কমানোর উপায়

Disclaimer

As an affiliate, we may earn a commission from qualifying purchases. We get commissions for purchases made through links on this website from Amazon and other third parties.

পেটে গ্যাসের সমস্যা এখন দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে আমাদের বাঙালির মধ্যেই সমস্যা বেশি। সাধারণত শরীরে গ্যাস তৈরি হয় অন্ত্র থেকে। পায়ুপথ দিয়ে প্রতিদিন ১৫ বার গ্যাস বের হওয়া স্বাভাবিক। এটি অনেক সময় দুর্গন্ধযুক্ত হতে পারে, এতে ভয়ের কিছু নেই। 

খাওয়ার পর পেটের গ্যাসের সমস্যা অনেকের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় মানুষের  গ্যাসের সমস্যার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য, পাতলা পায়খানা, পেটে ব্যথা, পেটে বুট বুট ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকে। এজন্য প্রায় মানুষই খুব অস্বস্তিতে ভুগেন। খেতে চান না এবং ভয়ে কম খান। কিন্তু এসব মানুষের পেটের অন্ত্রের খেয়াল রাখা দরকার। প্রায় সময় দেখা যায় এই মানুষগুলো খাবার-দাবার সগময় আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগেন। ভালো-মন্দ দেখে লোভ না সামলাতে না পেরে ওগুলো খায়, আবার খাওয়ার পর পেটে গ্যাস নিয়ে ভাবতে শুরু করে। এই অভ্যাসটি একেবারে ঠিক নয়। তবে, পেটের গ্যাস কমানোর উপায় জেনে সহজেই এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

খাওয়ার আগে পরে এত দ্বিধা দ্বন্দ্বে থাকলে ও কোনো বিষয় নিয়ে ভাবলে শরীর ও মন দুটোই খারাপ হয়। মূলত আমরা যা খাই সেই খাবার পুরোটা হজম হয় না। এই হজম না হওয়া খাবার বৃহদন্ত্রে পৌঁছালে সেখানে বিপক্ষে চলতে থাকে, এর ফলে গ্যাস তৈরি হয়। সব মানুষেরই ক্ষেত্রে গ্যাস হয়।  কেউ কেউ বুঝতে পারে। আর কেউ কেউ হয়তো পাত্তা দেয় না। কিছু মানুষের বেশি গ্যাস হয়।

দুধ জাতীয় খাবার অনেকের সহ্য হয় না, এই সমস্যাটির নাম হল ল্যাকটোজ ইন্টারলারেন্স। এ কারণেও গ্যাস হয়। অনেকের আবার দেখা গেছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, বরবটি খাবার সহ্য হয় না। এ থেকেও সমস্যা হয়। মূলত খাবার থেকেই গ্যাসের সমস্যা বেশি হয় এবং এই গ্যাস নিয়ে মানুষ অনেক দুশ্চিন্তা করে। কিন্তু চিকিৎসা শাস্ত্রে পেটে গ্যাস দূর করার কিছু সহজ উপায় আছে, যার মাধ্যমে খুব সহজেই পেটে গ্যাস দূর হয়ে যায়। চলুন তাহলে আজ জেনে নেই পেটের গ্যাস দূর করার উপায়, পেটে গ্যাস হলে করণীয়, গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়:

পেটে গ্যাস হওয়ার কারণ

অনেক কারণে পেটে গ্যাস হতে পারে। বেশিরভাগ সময় পেটের গ্যাস হওয়ার অন্যতম কারণ হয় বাইরের খাবার। তবে বাহিরের খাবার ছাড়াও পেটে গ্যাস হওয়ার আরো কিছু কারণ রয়েছে সেগুলো হল:

১) অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাওয়া।

২) বাহিরের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া।

৩) অস্বাস্থ্যকর খাবার মেনু ফলো করলে।

৪) অতিরিক্ত তেলের জিনিস খেলে।

৫) ফাস্ট ফুড খেলে।

৬) ধূমপান করলে।

৭) বদহজমে সমস্যা থাকলে।

৮) কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ হলে।

৯) অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খেলে।

১০) মাত্রাতিরিক্ত খাওয়ার কারণে।

১১) খাবারে পানির পরিমাণ কম থাকা।

১২) খাওয়ার সাথে সাথেই ঘুমিয়ে পড়লে।

পেটে গ্যাস হওয়ার লক্ষণ

পেটে গ্যাস হওয়া একটা অস্বস্তিকর ব্যাপার। গ্যাস হওয়ার কারণে শরীরের বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। পেটে গ্যাস হলে যেসব লক্ষণ দেখা যায় সেগুলো হল:

১) পেট ফুলে যাওয়া।

২) পেটে ব্যথা করা।

৩) মলত্যাগ করতে সমস্যা হওয়া।

৪) গলা ও বুকে জ্বালাপোড়া হওয়া।

৫) অনিয়মিত মলত্যাগ হওয়া।

ঘরোয়াভাবে পেটের গ্যাস কমানোর উপায়

আমাদের শরীরের যেকোনো সমস্যা দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় অন্যতম। ঘরোয়া উপায়ে গ্যাসের সমস্যা দূর করলে কোন সাইড ইফেক্ট বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না। তাই গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্য সব সময় ঘরোয়া উপায় বেছে নিন। চলুন গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো জেনে নিই:

১) জিরা: গ্যাস ও এসিডিটির সমস্যা যদি হঠাৎ করে হয়ে থাকে অর্থাৎ আপনি প্রচন্ড গ্যাসের সমস্যায় ভুগছেন, খুব কষ্ট হচ্ছে; সাথে সাথে ওমিপ্রাজল বা কোন গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ না খেয়ে হাফ চা চামচ জিরার গুঁড়ো এক গ্লাস উষ্ণ পানিতে মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন।

মনে রাখবেন আপনি ওমিপ্রাজল খাবেন আপনার কিডনি নষ্ট হবে কিন্তু জিরার গুঁড়ো খাবেন আপনার এসিডিটি দূর হবে কিন্তু আপনার কিডনির কোন ক্ষতি হবে না। আবার যাদের দীর্ঘদিন যাবত গ্যাসের সমস্যা লেগেই রয়েছে, তারা সরাসরি এক চা চামচ কাঁচা জিরা এক গ্লাস নরমাল পানিতে রাতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে উষ্ণ পানি পান করার আধাঘন্টা পর এই জিরার পানি পান করুন। জিরা ছেকে খেয়ে নিতে পারেন অথবা পানিটুকু পান করে অবশিষ্ট জিরা চিবিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। আপনি যেভাবে খান না কেন জিরা খাওয়া মাত্র পেটের সকল গ্যাস, ডায়রিয়া অবশ্যই দূর হয়ে যাবে।

২) লবঙ্গ: হঠাৎ করে গ্যাস বা এসিডিটি হলে দুই থেকে তিনটি লবঙ্গ খুব ভালোভাবে চিবিয়ে খেয়ে এক গ্লাস উষ্ণ পানি পান করুন। অনেকে লবঙ্গ খেতে পারেন না খুব কষ্ট হয়। তারা জিরা খেতে পারেন কিন্তু লবঙ্গটা জিরা থেকে বেশি উপকার দেয়।

যাদের অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা তারা  প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুটি লবঙ্গ যদি নিয়মিত খুব ভালো করে চিবিয়ে খেয়ে এক গ্লাস হালকা উষ্ণ পানি পান করেন তারপর সকালে উঠে দেখবেন আপনার আর গ্যাসের সমস্যা থাকবে না। টানা ২১ দিন একই নিয়মে লবঙ্গ সেবন করুন। লবঙ্গ খাওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে লবঙ্গের ফুলটি অবশ্যই থাকে। লবঙ্গের মাথায় যে ছোট্ট ফুল রয়েছে এটি আপনাকে অবশ্যই খেতে হবে এটি ফেলে দিয়ে খেলে কিন্তু হবে না। কারণ এই ফুলের মধ্যেই রয়েছে 90 ভাগ গুণ। যা আপনার গ্যাসের সমস্যা মিটিয়ে দিবে ইনশাল্লাহ। কিন্তু এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে ছোট শিশুদের গ্যাসের সমস্যার জন্য লবঙ্গ খাওয়ানো যাবে না।

৩) গরম পানি দিয়ে গোসল করা: গরম পানি দিয়ে গোসল করলে পেটের গ্যাসের সমস্যা খুব দ্রুত চলে যায়। গবেষণায় এটা প্রমাণিত যে হালকা গরম পানি পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে এবং পেটে ব্যথা পর্যন্ত কমাতে সাহায্য করে ও শরীরে কোন গ্যাস জমতে দেয় না। তাই প্রতিদিন হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। এতে পেটের ওপর চাপ কমবে ও পেটের  নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

৪) ফাইবার যুক্ত খাবার: বর্তমানে মানুষকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও পেট ফাঁপা সহ নানা সমস্যা ভুগতে দেখা যায়। তাই আমাদের উচিত প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় ফাইবার বা আশ যুক্ত খাবার যোগ করা। তাই খাবারের তালিকায় সিম, ডাল, মোটর, অটো মিল, কমলা, আপেল, গাজর ইত্যাদি আঁশ যুক্ত খাবার যোগ করুন। আর আঁশযুক্ত খাবার আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রাও কম রাখে। এছাড়াও এসব খাবারে আরো অনেক উপকারিতা আছে ‌।

৫) মধু: গ্যাসের সমস্যা দূর করতে মধু বেশ কার্যকর। গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্য প্রতিদিন সকালে ও রাতে ২ চা চামচ করে মধু খাওয়া উচিত এবং চিরতরে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রতিদিন মধু খাওয়া প্রয়োজন।

৬) দারচিনি: পেটের সমস্যার দূর করতে দারচিনি বেশ উপকারী। দারুচিনি দিয়ে গ্যাসের সমস্যা দূর করতে হলে, একটি পাত্রে পরিমাণ মতো পানি নিয়ে সেই পানিতে দারুচিনি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ফুটানো অবস্থায় পানিতে দুই থেকে তিন চামচ মধু মিশিয়ে নিন এবং এই পানি কুসুম গরম অবস্থায় পান করুন। এভাবে পান করলে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

৭) আদা: কাঁচা আদা যদি আপনি চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা কাঁচা আদার রস এক চা চামচ পরিমাণ খেতে পারেন, তাহলে পেটের সব ধরনের রোগ দূর করা সম্ভব। হঠাৎ করে পেটে গ্যাস, এসিডিটি হচ্ছে সাথে সাথে এক ইঞ্চি আদা কেটে ভালোভাবে চিবিয়ে খেয়ে নিন। তাহলেই মুক্তি পেতে পারবেন পেটের গ্যাসের সমস্যা থেকে।

৮) জোয়ান :জোয়ান পেটের যেকোনো সমস্যা দূর করতে পারে। গ্যাস, এসিডিটি, পেট ব্যথা, বদহজম, টক ঢেকুর এই সকল সমস্যা দূর করতে এই উপাদানটি খুব দ্রুত কাজ করে।

গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়

পেটের গ্যাস কমানোর ঔষধ

পেটে গ্যাস আর বাঙালি যেন সমার্থক শব্দ। প্রায় প্রত্যেকেই গ্যাসের সমস্যায় ভুগছেন। আর এই পেটের গ্যাস কমানোর উপায় হিসেবে বাজারে একের পর এক মর্ডান মেডিসিন পেয়ে যাবেন। এই ঔষুধগুলো খাওয়ার সাথে সাথেই গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে। চলুন দেখে নেই গ্যাসের সমস্যা সমাধানের জন্য বাজারে কি কি ওষুধ পাওয়া যায়:

🟥 LANSOPRAZOLE

🟥 RABEPRAZOLE

🟥 LOSECTIL

🟥 MAXPRO

🟥 FINIX 20

🟥 OPTON 20

🟥 ACIFIX

🟥 ANTACID

🟥 OMERPRAZOLE

🟥 ESOMEPRAZOLE

🟥 PANTOPRAZOLE

🟥 ESORAL 20

🟥 PARICEL 20

🟥 PPI 20

🟥 MAXIMA 20

🟥 XELDRIN 20

🟥 DEXLAN 30

🟥 ZO-MUPS 20

🟥 REMMO 20

🟥 SERGEL 40

🟥 XOREL 20

🟥 RABE 20

🟥 EXIUM 20

🟥 PANTONIX 20

গ্যাসের ব্যথা কমানোর উপায়

খাওয়ার সময় বাতাস গ্রহণ হলে, কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া হলে বা কোন খাবার পেট সইতে না পারলে পেটে গ্যাস তৈরি হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অত্যাধিক গ্যাস জমতে পারে, যার কারণে পেট ফেটে যেতে পারে অথবা ব্যথা করতে পারে। ফলে এই পেটে ব্যথা জনিত সমস্যা থেকে দ্রুত নিস্তার পেতে কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারেন। চলুন এই উপায় গুলো সম্পর্কে জেনে নিই।

১) প্রোবায়োটিক: প্রোবায়োটিক খেলে অস্বস্তি ও পেটের গ্যাস কমে। টক দই প্রোবায়োটিকের অন্যতম উৎস। এতে থাকা ল্যাকটোব্যাসিলাস ও বিফিডোব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের জন্য খুবই ভালো। খাবারের পর টক দই খাওয়া বেশি কার্যকর।

২) শরীরচর্চা: শরীরচর্চা পেটের ফাপা অবস্থায়ও ব্যথা কমাতে পারে। পেটের গ্যাস কমানোর জন্য কার্যকরী কিছু শরীরচর্চা আছে। একটি কার্যকর শরীরচর্চা হল, পিঠের ওপর শুয়ে শূন্যে পা দুটিকে বাইসাইকেলের মত চালানো। এছাড়াও খাওয়ার পর অল্প হাঁটলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। কিছু ইয়োগা পোজ, চাইল্ডস পোজ, সিটেড টুইস্ট ইত্যাদিও পেটের গ্যাস ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

৩) পিপারমিন্ট অয়েল সাপ্লিমেন্ট: এটা গবেষণায় প্রমাণিত যে, পিপারমেন্টাল সাপ্লিমেন্ট গ্রহণে পেটের অত্যাধিক গ্যাস ও পেট ফাপা প্রশমিত হয়। খাবারের এক ঘন্টা আগে পিপারমিন্ট অয়েল সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন ‌।

৪) গরম সেক: হিটিং প্যাড গ্যাস জনিত পেট ব্যথা কমাতে পারে। এজন্য পেটের উপর ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের হিটিং প্যাড ১ ঘন্টা রাখতে হবে।

পেটের গ্যাস কমানোর ব্যায়াম

বর্তমানে পেটের গ্যাস দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ম্যাসাজ ও ব্যায়াম আছে। যার ফলে খুব সহজেই পেটের গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পেটের গ্যাস দূর করার ব্যায়াম সম্পর্কে অনেকেই অবগত নয়। চলুন পেটের গ্যাস কমানোর ব্যায়াম সম্পর্কে জেনে নিই:

১) পেট ম্যাসাজ করা: পেটে গ্যাস হলে পেটের উপর হালকা তেল দিয়ে ধীরে ধীরে ঘুরিয়ে পেট ম্যাসাজ করুন। এর ফলে পেটের গ্যাস অন্ত্রের নিচের দিকে আসবে ও পায়ুদারের মাধ্যমে বের হয়ে যাবে। এভাবে দিনে কয়েকবার ম্যাসাজ করতে হবে।

ম্যাসাজ করার নিয়ম হচ্ছে, ডান দিকের বুকের খাঁচার হারের নিচের দিকে ডান হাতটি দিয়ে ধরতে হবে। এরপর গোল গোল ভাবে ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করুন। এভাবে কয়েকবার করলে দ্রুত পেটের গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

২) যোগব্যায়াম: যোগব্যায়াম পেটে ফাঁপা বা পেটের গ্যাসের সমস্যা একদম কমিয়ে দিতে পারে। যোগ ব্যায়াম করার ফলে পেটের পেশির ব্যায়াম হয়। এছাড়াও অন্ত্র ঠিকমতো কাজ করতে পারে। এর জন্য পেট থেকে গ্যাস বেরিয়ে যেতে পারে। কিছুক্ষণ যোগব্যায়াম করলেই আপনার নিজেকে হালকা মনে হবে।

৩) হাঁটা: হাঁটলে আমাদের শরীর ভালো থাকে এটা আমরা প্রত্যেকেই জানি। কিন্তু হাঁটলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়ে যায় এটা আমরা জানি না। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ও রাতে ঘুমানোর আগে নিয়মিত হাঁটলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। হাঁটার কারণে আমাদের শরীরের সমস্ত গ্যাস পায়ুপথ দিয়ে বের হয়ে যায়। তাই গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিয়মিত হাঁটাচলা করুন।

শেষ কথা, আজ আমরা জেনেছি পেটের গ্যাস কমানোর উপায় সম্পর্কে। আশা করি দৈনন্দিন জীবনে আপনাদের এটি অনেক কাজে লাগবে। পেটে গ্যাস হলে ঔষুধ খাওয়ার আগে সব সময় চেষ্টা করবেন ঘরোয়া উপায়ে তা দূর করা। কারণ বাজারে যে গ্যাস্টিকের ঔষধ গুলি থাকে এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। এর পাশাপাশি গ্যাসের সমস্যা যদি খুব বেশি হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন এবং যে কোন ঔষুধ খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিবেন।

About the author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Latest Posts

  • সর্দি থেকে মুক্তির উপায়, নাকের এলার্জি দূর করার উপায় | দ্রুত উপশম পেতে ঘরোয়া চিকিৎসা

    সর্দি থেকে মুক্তির উপায়, নাকের এলার্জি দূর করার উপায় | দ্রুত উপশম পেতে ঘরোয়া চিকিৎসা

    নাকের এলার্জি হচ্ছে নাকের ঝিল্লি প্রদাহের কারণে নাকের একটি সমস্যা। এটি সারা বিশ্বব্যাপী একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ নাকের এই রোগে আক্রান্ত। নাকের এলার্জি কোন মারাত্মক ক্ষতিকর রোগ না হলেও এ রোগের কারণে দৈনন্দিন জীবন প্রবাহ ব্যাহত হয়। এলার্জিজনিত সর্দি এবং হাঁচি জীবনকে অতিষ্ট করে তোলে। এই রোগে হঠাৎ…

    Read more

  • কফ, কাশি দূর করার উপায় | সঠিক চিকিৎসাই হতে পারে কাশি দূরীকরণের মাধ্যম

    কফ, কাশি দূর করার উপায় | সঠিক চিকিৎসাই হতে পারে কাশি দূরীকরণের মাধ্যম

    গলায় বুকে কফ জমে থাকা বেশ বিরক্তিকর একটি সমস্যা। ঋতু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়। আর আবহাওয়ার এই দ্রুত পরিবর্তন আমাদের শরীর খাপ খাওয়াতে পারে না, যার কারণে সৃষ্টি হয় ঠান্ডা জ্বর ও সর্দি-কাশির। ঠান্ডা সর্দি কাশি এগুলো আমাদের কাছে খুব পরিচিত রোগ হলেও এই ঠান্ডা সর্দি কাশি থেকে আমাদের দেহে অনেক বড় বড় অসুখ…

    Read more

  • ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চার্ট | সুস্থ স্বাভাবিক জীবন

    ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চার্ট | সুস্থ স্বাভাবিক জীবন

    সুস্থ স্বাভাবিক এবং রোগমুক্ত জীবন আমরা কে না চাই। আর এই সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করার একমাত্র উপায় হচ্ছে শারীরিক ওজন ঠিক রাখা। কেননা ওজন বেড়ে গেলে যে কোন রোগের ঝুঁকি ও বেড়ে যায়। এজন্য বাড়তি ওজন অনেকের মানসিক অসুস্থির প্রধান কারণ। তাই রোগ প্রকোপ কমাতে এবং মানসিক শান্তির উদ্দেশ্যে আমাদের সকলের উচিত শারীরিক ওজন…

    Read more