জন্মের পর থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রত্যেকেরই জীবনে একবার হলেও জ্বর নামক অসুস্থতায় ভুগতে হয়েছে। শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করলে, এই উচ্চ তাপমাত্রা কে আমরা জ্বর বলে থাকি। জ্বর আসলে কোন রোগ নয়, এটি হচ্ছে অন্য একটি রোগের লক্ষণ বা উপসর্গ। জ্বরকে বলা যেতে পারে শরীরের ভেতর কোন রোগের সতর্কবার্তা। তা অনেক সময় সর্দি-কাশির মত সাধারন কোন কারনেও হতে পারে বা বড় কোন রোগের উপসর্গ হতে পারে।
অনেকগুলো কারণেই জ্বর হতে পারে কিন্তু সবচেয়ে কমন হচ্ছে সর্দি-কাশির কারণে জ্বর হওয়া বা ঠান্ডা লেগে জ্বর হওয়া। জ্বর যেকোনো কারণেই হতে পারে; মানসিক আঘাত পেলে অথবা আকস্মিক ভয় পেলেও জ্বর হতে পারে। এছাড়া পিরিয়ডের কারণে, ফোড়া বা টিউমার হলে এবং স্বাভাবিক টিকা নিলেও জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু ভয়ের কিছু নেই. জ্বর আমাদের শরীরের খুবই স্বাভাবিক একটি রোগ। তাহলে চলুন জেনে নিই দ্রুত জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়, জ্বর হলে করণীয় কি:
দ্রুত জ্বর কমানোর উপায়
আমরা অনেকেই জ্বর হলে সাথে সাথেই ওষুধ খেয়ে ফেলি। কিন্তু তা কখনোই করা উচিত নয়। অনেক সময় সামান্য জ্বরেও আমরা এন্টিবায়োটিক খেয়ে ফেলি। আমরা সকলেই জানি ওষুধ যেমন আমাদের অসুখ সারাতে সাহায্য করে তেমনি অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়াও নিরাপদ নয়। তাই জ্বর হলে অবশ্যই আগে ঘরোয়া উপায়ে চিকিৎসা করা প্রয়োজন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়। ওষুধ ছাড়াই সেরে যাবে তীব্র জ্বর এমন কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বনের মাধ্যমে আপনিও দ্রুত আপনার জ্বর সারাতে পারেন:
১) আপনার জামা যদি অনেক টাইট থাকে সেক্ষেত্রে জামাটা খুলে ফেলবেন। এবং হালকা পাতলা; যেটার মধ্য দিয়ে বাতাস প্রবেশ করতে পারে, বের হতে পারে সেই রকম একটি জামা পরিধান করুন। এতে করে শরীর রিল্যাক্স থাকবে এবং শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হতে থাকবে।
২) পর্যাপ্ত আলো বাতাস সম্পূর্ণ রুমে থাকবেন । কারণ রুমের মধ্যে বেশি গরম হলে শরীরের তাপমাত্রা অটোমেটিক গরম হয়ে যাবে, যার ফলে জ্বর আরো বাড়বে। তাই পর্যাপ্ত আলো প্রবেশ করে এমন রুমে থাকবেন আর প্রয়োজন হলে জানালা দরজা খুলে দিন এবং রুমে ফ্যান ছেড়ে রাখুন।
৩) পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নেবেন। কারণ, জ্বরের সময় শরীর এমনিতেই দুর্বল থাকে। দুর্বল শরীরে কাজ করলে শরীর আরো দুর্বল হয়ে যাবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারাবে। তাই জ্বরের সময় চেষ্টা করুন বেশি বেশি শুয়ে থাকা এবং ঘুমানোর চেষ্টা করা।
৪) শরীরের জ্বর অনুভব করা মাত্রই একটি শুকনো কাপড় নিয়ে নরমাল পানিতে ভিজিয়ে সম্পূর্ণ সেকে কপাল বগলের নিচে সহ সারা শরীর মুছে ফেলুন। কিন্তু সাবধান থাকতে হবে এক্ষেত্রে কোনোভাবেই বরফ ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা যাবে না। তাহলে তৎক্ষণাৎ শরীরে কাঁপুনি উঠতে পারে।
৫) অনেকের দেখা যায় ঠান্ডার কারণে জ্বর লেগে যায়। ঠান্ডার কারণে জ্বর লাগলে অবশ্যই নাক পরিষ্কার রাখবেন। এবং ডিপ ব্রিথিং এক্সারসাইজ ট্রাই করবেন। নাক দিয়ে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে ছাড়বেন।
৬) জ্বরের সময় অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করবেন। শরীরকে কোনভাবেই ড্রিহাইডেট হতে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে স্যালাইনযুক্ত পানি খান। পানি,জুস ইত্যাদি বেশি বেশি খেতে হবে ।
৭) স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাবেন। চা-কফি ইত্যাদি খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভালো। ধূমপান করবেন না, কারণ এতে করে আপনার শরীর যে জীবাণুর বিরুদ্ধে ফাইট করছে তা বাধাগ্রস্ত হতে পারে এবং আরো বেশি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।
জ্বর হলে করণীয়
জ্বর হলে করণীয় কিছু বিষয় সম্পর্কে আপনার অবশ্যই জেনে রাখা প্রয়োজন। এতে করে যে কোন পরিস্থিতিতেই আপনি আপনার রোগ সারাতে কার্যকরী কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারবেন। যেকোনো কারণেই জ্বর আসতে পারে। অনেক সময় সর্দি কাশি হওয়ার পূর্ববর্তী লক্ষণ হিসেবেও জ্বর হতে পারে। উপরে ইতিমধ্যেই আপনারা জেনে গেছেন দ্রুত জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়। ওষুধ ছাড়াই সেরে যাবে তীব্র জ্বর এমন কিছু ঘরোয়া টেকনিক জেনে নিন। জ্বর হলে সর্বপ্রথম করণীয় বিষয় কি:
১) শরীরের জ্বর অনুভব হলে প্রথম কাজ হচ্ছে একটি থার্মোমিটার নিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মাপা। শরীরের তাপমাত্রা যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে তাহলে বুঝতে হবে জ্বর হয়েছে।
২) যদি তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি দেখা দেয় তাহলে শরীরের তাপমাত্রা কমানোর উপায় হিসেবে মাথায় পানি ঢালতে পারেন। পানি দিয়ে সারা শরীর মুছে নিতে হবে। পানি হালকা কুসুম গরম পানি হলে ভাল হয়। এবং খেয়াল রাখতে হবে পানি ঢালার সময় পানি যাতে কানের ভেতর প্রবেশ না করে।
৩) একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যদি জ্বর আসে এবং জ্বর যদি ১০২° ফারেনহাইট এর উপরে হয় সেক্ষেত্রে শুধু ওষুধ গ্রহণ করবেন, অন্যথায় না।
৪) জ্বর আসলে বেশি বেশি লবণযুক্ত পানি খাবেন। এ ক্ষেত্রে আপনি ওরস্যালাইন খেতে পারেন। শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয়ে যায়, যার ফলে স্বাভাবিক পানি খেলে লবণের অভাব পূরণ হয় না। এইজন্য ওরস্যালাইন যুক্ত পানি পান করতে পারেন।
৫) ১০২° ফারেনহাইটের উপরে জ্বর আসলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। অনেকে আছে শুধুমাত্র নাপা এবং প্যারাসিটামলকেই জ্বরের ঔষধ মনে করেন কিন্তু না; জ্বর আসলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ করবেন।
দ্রুত জ্বর কমানোর সহজ উপায়
অনেক সময় দেখা যায় আমাদের পরীক্ষা বা জরুরী কোন কাজের আগে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। সেই সময়ে আমাদের পড়তে হয় বিপাকে। অসুস্থতার কারণে আমরা পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে পারি না সেই সাথে কোন কাজও ঠিকভাবে হয়ে ওঠে না। তাই তখন প্রয়োজন দ্রুত জ্বর কমানোর উপায় অবলম্বন করা। তাই আপনাদের সুবিধার্থে তুলে ধরছি অতিরিক্ত জ্বর কমানোর উপায়:
১) শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে শরীরে জ্বর অনুভব হয়। এক্ষেত্রে আপনি প্রথমেই হালকা কুসুম গরম পানি নিয়ে গোসল করে নিতে পারেন। তাহলে আপনার শরীরে দ্রুতই স্বাভাবিক তাপমাত্রা ফিরে আসবে। অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে কোনভাবেই ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা যাবে না। তাহলে শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গের রক্ত ছুটে যাবে এবং তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
২) শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে গেলে একটি নরম কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রেখে চিপে পানি ফেলে দিন এবং কাপড়টি দিয়ে সারা শরীর মুছে ফেলুন। বিশেষ করে কপাল, বুক ও বগলের নিচে মুছুন। একবার মোছার পরে পুনরায় আবার কাপড় ভিজিয়ে নিন। এভাবে কয়েকবার মুছলে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমে যাবে।
৩) শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমাতে মোজা ব্যবহার করতে পারেন। ভেজা মোজা ইমিউন সিস্টেমকে উদ্দীপ করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে যা জ্বর কমাতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।
৪) জ্বর আসলে বেশি বেশি ঝাল যুক্ত খাবার খান। যে কোন খাবারে বেশি বেশি মরিচের গুঁড়া এবং ঝাল যুক্ত মরিচের ব্যবহার করুন। কারণ এতে আছে ক্যাপসাইসিন, যা আপনার শরীর থেকে ঘাম ঝড়িয়ে দ্রুত জ্বর কমাতে অনেকটাই সাহায্য করবে।
৫) জ্বর আসলেই দুই কুঁচি আদা চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন।দ্রুত জ্বর কমানোর জন্য আদা খাবেন, কারণ আদাতে আছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেক গুণ সাহায্য করে। সেই সাথে শরীরের তাপমাত্রাও কমায়।
৬) তুলসী পাতা খান। তুলসী পাতাতে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান, যা শরীরের মাত্রাতিরিক্ত তাপ কমাতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত পরিমাণ তুলসীপাতা নিয়ে তার সঙ্গে পানি মিশিয়ে সেটি গরম করে পানি খেয়ে ফেলুন। এতে দ্রুত শরীরে তাপমাত্রা কমে যাবে।
ঠান্ডা জ্বরের জাদুকরী ঘরোয়া চিকিৎসা
আমরা সাধারণত সবচেয়ে বেশি ভুগে থাকি ঠান্ডা জ্বরে। অনেক সময় ধুলোবালি থেকেও এলার্জির কারণে আমাদের ঠান্ডা জ্বর হয়ে থাকে। এছাড়াও বেশি সময় গোসল করার ফলে বা শরীর ঘেমে ঠান্ডা জ্বর হতে পারে। এবার আসুন জেনে নিন ঠান্ডা জ্বরের ঘরোয়া চিকিৎসা:
১) ঠান্ডা জ্বরের চিকিৎসায় লবঙ্গ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। লবঙ্গতে রয়েছে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিংক, ভিটামিন সি ইত্যাদি প্রয়োজনীয় উপাদান। এসব উপাদান আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। তাহলে চলুন জানা যাক কিভাবে লবঙ্গ খেতে হবেঃ
প্রথমে দুই কাপ পানি নিন দুই কাপ পানিতে ৭-৮ টি লবঙ্গ একটু থেঁতো করে দিয়ে নিন। তারপর এক কাপ পানিতে দিয়ে ফুটিয়ে নিন এবং পানি হালকা কুসুম কুসুম গরম থাকতে খেয়ে নিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করার পরে, দুপুরের খাবারের পর এবং রাতে ঘুমানোর আগে একদিন নিয়মিত খেলেই ঠান্ডা জ্বর থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
২) পেঁয়াজ দিয়ে ঠান্ডা জ্বরের খুব ভালো চিকিৎসা করা যায়। পেঁয়াজের মধ্যে আছে অ্যান্টিসেপটিক, এন্টিবায়োটিক গুণ। এছাড়াও রয়েছে ক্যালসিয়াম, সালফার, পটাশিয়াম ,মিনারেল, ভিটামিন বি এবং সি, এবং ফাইবার। তাই পেঁয়াজ খেলে আপনার ঠান্ডা জ্বর সর্দি থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চলুন কিভাবে পেঁয়াজ খাবেন সে সম্পর্কে জানা যাকঃ
প্রথমে পেঁয়াজ ভালো করে ধুয়ে নিন তারপর খোসা ছাড়িয়ে কেটে এবার পেঁয়াজের রস বের করে নিন। ব্লেন্ড বা পাঠায় বেটে রস বের করতে পারেন। এক টেবিল চামচ পেঁয়াজের রসের সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে সেবন করুন। এইভাবে আপনি দিনে দুইবার সেবন করুন। সকালবেলা নাস্তা করার আধা ঘন্টা পরে, এবং রাতে ঘুমানোর আগে।
৩) রসুনে রয়েছে এলিসিং ও অন্যান্য অর্গানও সালফার উপাদান, যা সংক্রমণ বিরোধী এবং ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াকে সহজেই নিধন করতে পারে। তাই সংক্রমণজনিত জ্বর ,সর্দি ,কাশি এবং ঠান্ডা জ্বর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রসুন খুব দ্রুত কাজ করে।
প্রথমে তিন চার কোয়া রসুন খুব ভালো করেছে থেতো করে নিন। তারপর এক গ্লাস গরম পানিতে এই থেতো করা রসুন ভিজিয়ে রাখুন যতক্ষণ না পানি কুসুম কুসুম গরম অবস্থায় আসে। কুসুম গরম অবস্থায় পানি সেকে ধীরে ধীরে পান করুন। অথবা রসুনসহ সেবন করতে পারেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে আধা ঘন্টা পরে রসুন মেশানো এই পানি সেবন করতে পারেন এবং রাতে ঘুমানোর আধাঘন্টা আগে প্রস্তুত করে সেবন করতে পারেন। তাহলে খুব সহজে ঠান্ডা জ্বর থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। কিন্তু গর্ভবতী নারী এবং রসুন খাওয়া মাত্র যাদের রেশ এলার্জি হয় তারা এটা সেবন করবেন না।
৪) লেবুতে আছে প্রচুর পরিমাণে ইলেকট্রোলাইটস এবং ভিটামিন সি, যা আপনাকে ঠান্ডা জ্বর থেকে সহজেই মুক্তি দিতে পারবে। চলুন জেনে নেয়া যাক লেবু খাওয়ার নিয়মঃ
একটি লেবুর রস অথবা দুই টেবিল চামচ রসের সাথে এক কাপ উষ্ণ পানি মিশিয়ে নিন। যদি আপনার ডায়াবেটিস না থাকে এবং মধুতে কোন সমস্যা না থাকে তাহলে অবশ্যই এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। কারণ লেবুর সাথে মধু মেশালে দ্রুত ঠান্ডা, সর্দি, কাশি ভালো হবে। তাড়াতাড়ি ঠান্ডা জ্বর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনি দিনে তিন থেকে চার বার এটা সেবন করতে পারেন।
৫) আদাতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ঠান্ডা জনিত সকল রোগ থেকে দ্রুত মুক্তি দিতে পারে। এর জন্য আদা রস করে খেতে হবে। রান্না করলে বা আদা ফুটালে, আদার অধিকাংশ গুণাবলী নষ্ট হয়ে যায়। তাই আদা চিবিয়ে চিবিয়ে অথবা আদার রস করে খেতে হবে। এক টেবিল চামচ আদার রস অথবা এক ইঞ্চি পরিমাণ আদা সকালবেলা নাস্তা করার আধা ঘন্টা আগে অথবা আধা ঘন্টা পরে সেবন করুন। দ্রুত মুক্তি পেতে হলে দিনে দুই থেকে তিনবার সেবন করুন ।
পরিশেষে, জ্বর আসলে প্রাথমিক অবস্থায় অবশ্যই ঘরোয়া উপায়ে তা সারানোর চেষ্টা করবেন। যদি এতে কাজ না হয় তবে একজন ভালো ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। সঠিক চিকিৎসা এবং বিশ্রামের মাধ্যমে দ্রুতই সুস্থ হওয়া সম্ভব।
দ্রুত জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়, ওষুধ ছাড়াই সেরে যাবে তীব্র জ্বর; এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে জ্বর হলে করণীয় গুলো জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনি উপকৃত হবেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য একান্ত ধন্যবাদ।
Leave a Reply