বলুন তো আর্জেনিয়া ফুটবল ইতিহাসের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ গোলমেশিন বলা হয় কাকে?
নিশ্চয়ই এতক্ষণে ফুটবল প্রেমীরা উত্তরটি অনুমান করতে পেরেছেন। ২০১৬ সালে মেসির কাছে পিছিয়ে পড়ার আগ পর্যন্ত আর্জেন্টিনার মতো দলের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গোলদাতা ছিলেন তিনি। এখনও তিনি ফুটবল ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে পরিচিত।
দুটি ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বকাপে রয়েছে গোলের হ্যাটট্রিক। আর্জেন্টিনাকে মাত্র ২ বছরের মাঝে ৪টি আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতিয়েছিলেন তিনি। বলছিলাম আর্জেন্টাইন ফুটবল দলের সাবেক স্ট্রাইকার গাব্রিয়েল বাতিস্তুতার কথা। ছোট বেলায় ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন থেকে কীভাবে হয়ে উঠেছিলেন আর্জেনটিনার গোলমেশিন? চলুন আজ আমরা জানবো তার সফলতার গল্প।
গাব্রিয়েল বাতিস্তুতার জীবনী | আর্জেন্টিনা ফুটবলের গোলমেশিন
গাব্রিয়েল বাতিস্তুতা ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সালে আর্জেনটিনার সান্তা ফি প্রদেশের অ্যাভেলেনডা শহরে এক কসাইখানার কর্মীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম গাব্রিয়েল ওমার বাতিস্তুতা কিন্তু সবাই তাকে বাতিগোল বলেই ডাকতো। তার বেড়ে ওঠা এক ছোট শহর রেকোনকুয়িস্তাতে। ৪ ভাই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।
ছোটবেলা থেকেই বাতিস্তুতা খেলাধুলা খুব পছন্দ করতেন। তিনি প্রথমদিকে বাস্কেটবল খেলতেন। তবে ১৯৭৮ সালে বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট এবং গোল্ডেন বল বিজয়ী ম্যারিও কেম্পেসের নৈপুণ্য বাতিস্তুতাকে মুগ্ধ করে। তাঁর খেলায় বাতিস্তুতা এতটাই প্রভাবিত হলেন যে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছেড়ে ফুটবলার হওয়ার দিকে মনোনিবেশ করলেন তিনি।
স্কুল জীবনে নিজ শহরে ফুটবল খেলতে গিয়েই নজর কেড়েছিলেন স্কাউটদের। আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য রেকোনকুয়িস্তা টিমে সুযোগ পেলেন বাতিস্তুতা। ১৯ বছর বয়সে নিউওয়েলস ওল্ড বয়েসকে হারিয়ে বাতিস্তুতার দল চ্যাম্পিয়ন হলো। বাতিস্তুতার দুটি গোল বিপক্ষ টিম নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজের নজর কাড়ে। কয়েকদিন পরেই আর্জেন্টিনার চ্যাম্পিয়ন ক্লাব নিউয়েলস ওল্ড বয়েজ থেকে প্রস্তাব পেলেন।
পেশাদার ফুটবলের যাত্রা
তবে বাতিস্তুতাকে প্রস্তাব দিয়ে একটু ভড়কেই গেলেন তাঁরা। কারণ বাতিস্তুতা পড়াশুনায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে বলে পরিবার ছেড়ে আরেক শহরে যাবেন না। নিউওয়েলসও নতুন প্রস্তাবে বাতিস্তুতার পড়াশুনার খরচ বহন করার আশ্বাস দিয়ে তাকে দলে ভেড়ায়।
১৯৮৮ সালে তাঁরা তাকে তাদের দলের সাথে চুক্তি করিয়ে নেয়।
নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজে এসে তাকে প্রথমে অনেক কষ্ট করতে হলো। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে তাকে স্টেডিয়ামের একটি রুমে ঘুমাতে হত। এছাড়াও তার ওজন একটু বেশি ছিল যা তার ক্যারিয়ারে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বছর ঘুরতেই নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজ এই খেলোয়াড়কে বাতিলের খাতায় ফেলে দেয় এবং রোমে অনেক ছোট দল দেপোর্তিভো ইটালিয়ানোতে পাঠিয়ে দেয়।
এই দলের হয়ে বাতিস্তুতা একটু একটু করে নিজেকে খুঁজে পেতে থাকেন। ইটালির কার্নেভালে কাপে খেলে তিন গোল নিয়ে এই প্রতিযোগীতার সর্বোচ্চ গোলদাতা হন তিনি।
১৯৮৯ সালে নিউয়েলস থেকে তাকে কিনে নিল আর্জেন্টিনার সবচেয়ে ধনী ক্লাব রিভার প্লেট। কিন্তু মৌসুমের প্রথমার্ধটা বাতিস্তুতার জন্য ভালো গেলেও রিভারের জন্য যথেষ্ট ভালো হল না!
রিভার প্লেটে তিনি ১৭টি গোল করেন, কিন্তু দলের নতুন ম্যানেজার ড্যানিয়েল পাসারেল্লা তাকে সেরা একাদশ থেকে বের করে দেন। বাসিস্তুতাকে বেশির ভাগ ম্যাচেই সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হত।
তাই ১৯৯০ সালে তিনি নাম লেখালেন রিভারের চিরশত্রু, বোকা জুনিয়র্স দলে। কিন্তু এখানেও তাকে তার পছন্দমত পজিশনে খেলানো হচ্ছিলো না। মৌসুমের মাঝ পথে বোকা জুনিয়র্স নিজের ম্যানেজার পরিবর্তন করে এবং নতুন ম্যানেজার অস্কার তাবারেজ কে নিয়ে আসেন যিনি বর্তমানে উরুগুয়ে টিমের ম্যানেজারের দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
সাফল্যের জয়রথ
তিনি বোকা জুনিয়ার্সে যোগ দিয়েই বাসিস্তুতাকে দিলেন তার পছন্দের পজিশন সেন্টার অব অ্যাটাক এ খেলার সুযোগ। আর এতেই সাফল্য দেখতে শুরু করলো দলটি। বোকা জুনিয়র্স সেবার চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নেয় আর বাতিস্তুতা সিজন শেষ করলেন লীগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে। তিনি এই মৌসুমে বোকা জুনিয়র্সের হয়ে ৩৪ ম্যাচে ১৩টি গোল করেন। তারপরই তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয় নি।
ইতালির ফিওরেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট বাতিস্তুতার এই দক্ষতা দেখে মুগ্ধ হন আর তাকে ১৯৯১-৯২ মৌসুমে তাদের ফিওরেন্টিনা দলে সাইন করান। ১ম সিজনেই সিরি আ-তে তিনি ১৩টি গোল করেন। যদিও পরের সিজনে বাতিস্তুতার ১৬ গোলের পরেও ফিওরেন্টিনা রেলিগেশান এড়াতে পারেনি এবং সিরি বি-তে নেমে যায়। যদিও পরের সিজনেই বাতিস্তুতার ১৬ গোলের উপর ভর করে ফিওরেন্টিনা সিরি-বি এর টাইটেল জয় করে সিরি আ-তে উঠে আসে।
সিরি আ-তে ফিরে এসে পরের সিজন চমৎকার কাটালেন বাতিস্তুতা; করলেন একের পর এক গোল, আর ভাঙ্গলেন রেকর্ড। ১৯৯৪-৯৫ সিজনে ২৬ গোল করে লীগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেন তিনি।
পরের সিজনে বাতিস্তুতার দুর্দান্ত খেলায় ফিওরেন্টিনা টানা ১৫ ম্যাচ অপরাজিত ছিল। সিজন শেষে টেবিলের ৪ নম্বরে থেকে তারা সিজন শেষ করল, যা ফিওরেন্টিনার জন্য এক বিশেষ অর্জন ছিল। এছাড়াও এই সিজনে ফিওরেন্টিনা এসি মিলানকে হারিয়ে কোপা ইটালিয়া এবং সুপার কোপা ইটালিয়ানা জয় করে নেয়। ফিওরেন্টিনায় বাতিস্তুতার অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ১৯৯৬ সালে ফিওরেন্টিনার স্টেডিয়ামের বাইরে তার একটি মূর্তি স্থাপন করা হয়।
পরের সিজনে ইটালিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জিততে মাঠে নামে ফিওরেন্টিনা।
এবার সিজনের শুরুটাও হয় দুর্দান্ত। কিন্তু বাতিস্তুতা হঠাৎ ইঞ্জুরিতে পড়লে খেই হারিয়ে ফেলে ফিওরেন্টিনা। টেবিলের শীর্ষ থেকে নিচে নেমে যায় তারা। টেবিলের ৩ নম্বরে থেকে সিজন শেষ হয় তাদের। যদিও এই ফলাফল তাদের পরের সিজনে চ্যাম্পিয়নস লীগ খেলার সুযোগ করে দেয়। বাতিস্তুতা তার অতিমানবীয় খেলার জন্য সিরি আ ফরেন ফুটবলার অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯১-২০০০ সাল পর্যন্ত ফিউরেন্তিনার হয়ে মোট ২৬৯ ম্যাচে ১৬৭ গোল করেন।
পরের সিজনে অর্থাৎ ২০০০-২০০১ মৌসুমে বাতিস্তুতা প্রায় ৩৬ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে রোমাতে ট্রান্সফার হয়ে যান এবং ৩ বছরের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। বাতিস্তুতার জন্য যে ফি রোমা দিয়েছিল তা এখনো পর্যন্ত ৩০ বছর পেরোনো যেকোনো ফুটবলারের জন্য পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
রোমাতে এসেই বাতিস্তুতার স্বপ্ন পূরণ হল। ১ম সিজনেই বাতিস্তুতা সিরি-আ চ্যাম্পিয়ান হল। রোমাও বাতিস্তুতাকে নিয়ে ১৮ বছর পর সিরি আ জয়ের স্বাদ পেল। এই সিজনে বাতিস্তুতা ২০ গোল করেছিলেন।
৩৩ বছর বয়সে এসে ফর্ম হারিয়ে ফেলেন বাতিস্তুতা। তাকে রোমা ইন্টার মিলানের কাছে রোমে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে তিনি ১২ ম্যাচে ২ গোল করেন। গোল কম করলেও অনেকগুলো অ্যাসিস্ট করেছিলেন বাতিস্তুতা। এরপর তিনি ফ্রি ট্রান্সফারে ২০০৩ সালে ৮ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে কাতারের আল-আরাবিতে যোগদান করেন। সেখানে তিনি এক সিজনে ২৫ গোল করেন, যা ছিল কাতারী লীগের এক সিজনে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড।
জাতীয় দলের পারফর্মেন্স
এবার চলুন দেখে আসি জাতীয় দলের তাঁর পদচারনা কেমন ছিলো।
১৯৯১ সালে বোকা জুনিয়র্সের হয়ে আর্জেন্টাইন লীগের, সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ায় ডাক এলো আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে খেলার। চিলিতে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকা খেলার সুযোগ পেলেন তিনি। সেই টুর্নামেন্টে করলেন একের পর এক গোল। ৬ গোল করে হলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোল স্কোরার। তার কাঁধে ভর করে ব্রাজিলকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা হল কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ান।
১৯৯২ সালের ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে আর্জেন্টিনা অংশগ্রহন করে কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। সেখানেও দেখা গেল বাতিস্তুতা ম্যাজিক। আর্জেন্টিনা জিতে নিল কনফেডারেশন্স কাপ শিরোপা। বাতিস্তুতা হলেন সর্বোচ্চ গোল স্কোরার।
১৯৯৩ সালে আর্জেন্টিনা বাতিস্তুতাকে নিয়ে আরেকটি শিরোপা জেতে। শিরোপাটির নাম আর্তেমিও ফ্রেঞ্ছি ট্রফি। এই টুর্নামেন্ট এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এটি খেলা হত সাউথ আমেরিকা এবং ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন দুটি দলের মধ্যে।
১৯৯৩ সালেই বাতিস্তুতা তার ২য় কোপা আমেরিকা খেললেন আর্জেন্টিনার হয়ে। এবারও আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং কোপা আমেরিকার ২য় সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেন বাতিস্তুতা। আর্জেন্টিনা জিতল তাদের কোপা আমেরিকা। ফাইনালে মেক্সিকোকে ২-১ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা। দুই গোলের দুটিই আসে বাতিস্তুতার পা থেকে।
এরপর এল ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে বাতিস্তুতার ১ম বার বিশ্বকাপে অংশগ্রহন করে। খুব ভালো শুরুর পরও রাউন্ড অভ সিক্সটিনে রোমানিয়ার কাছে বাদ পড়ে যায় আর্জেন্টিনা। এই বিশ্বকাপেই মূলত ম্যারাডোনা ডোপিং কেলেঙ্কারির জন্য নিষিদ্ধ হন। আর তার পরপরই দলের মনোবল একদম ভেঙ্গে পরে। এই বিশ্বকাপে বাতিস্তুতা একটি হ্যাটট্রিকসহ মোট ৪ গোল করেন।
১৯৯৫ সালের কোপা আমেরিকাতে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ান হতে না পারলেও বাতিস্তুতা সেই আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন। এরপর ১৯৯৮ এর বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা কোয়ার্টার ফাইনালে বাদ পড়ে যায়। বাতিস্তুতা আবারো একটি হ্যাটট্রিক করেন। এবারের আসরে তিনি মোট ৫ গোল করেন। তিনি চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে দুটি হ্যাটট্রিক করেন এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র তিনিই ভিন্ন ভিন্ন দুটি বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করার গৌরব অর্জন করেছেন। ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপের আসরে তিনি ৫ গোল করে সিলভার বুট জিতে নেন। ৯৮ সালেই তিনি আর্জেন্টিনার প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হন।
১৯৯৯ সালে গত বিশ্বকাপে সিলভার বুট জয়ী বাতিস্তুতা ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ারে ব্রোঞ্জ অ্যাওয়ার্ড বা ৩য় সেরার পুরস্কার গ্রহণ করেন।
২০০২ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা টিম খুব শক্তিশালী ছিল। বাছাইপর্বে দাপট দেখিয়ে তারা বিশ্বকাপে উঠেছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো নাইজেরিয়া, ইংল্যান্ড আর সুইডেনকে নিয়ে গড়া গ্রুপ অভ ডেথে গ্রুপ পর্বেই বাদ পড়ে যায় আর্জেন্টিনা। গোটা টুর্নামেন্টে আর্জেন্টিনা করে মাত্র ২টি গোল, যার একটি আসে বাতিগোলের পা থেকে।
ক্যারিয়ারের শেষ বেলা
বাতিস্তুতা তাঁর পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে মাঝে মাঝেই ভুগেছেন ইনজুরি সমস্যায়। তিনি অত্যন্ত শক্তি দিয়ে খেলতেন এবং নিজের সামর্থের চেয়ে বেশি করার চেষ্টা করতেন। এটিই ছিল মূলত তার ইনজুরি সমস্যার মূল কারণ। এর ফলে ম্যাচে তার প্লেয়িং টাইম কমে যেতে থাকে। বিশেষ করে ক্যারিয়ারের শেষের দিকে এই সমস্যাগুলো তাকে বেশি ভুগিয়েছে এবং ফলাফলস্বরুপ তিনি তার খেলোয়াড়ি জীবন থেকে বেশ আগেই অবসর নিতে বাধ্য হন। তিনি ২০০৫ সালের মার্চ মাসে ৩৬ বছর বয়সে ফুটবল খেলা থেকে পরিপূর্ণভাবে অবসর নেন।
১৯৯০ সালের ২৮ ডিসেম্বর তিনি ইরিনা ফার্নান্দেজ নামে এক নারীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ এবং আর্জেন্টিনার জাতীয় দলে খুব ভালো খেলার কারণে খুব দ্রুতই বাতিস্তুতা সম্মান এবং খ্যাতির শিখরে পৌঁছে যান। বিভিন্ন টিভি শোতে তাঁর ডাক পড়তে থাকে। বিভিন্ন বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবেও তিনি কাজ করেন। কিন্তু এত কিছুর পরও বাতিগোল বেশ সাধারণ জীবন যাপন করতেন।
২০১৪ সালে আর্জেন্টিনার টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বাতিস্তুতা বলেন, ২০০৫ সালে অবসরের পর তাঁর গোড়ালিতে এত প্রচন্ড ব্যথা ছিল যে, কয়েক ধাপ দূরে টয়লেটেও তিনি জেতে পারতেন না । পরিচিত এক ডাক্তারের কাছে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, তিনি যাতে তার পা কেটে ফেলে দেন! কিন্তু ডাক্তার তার অনুরোধ রাখেন নি।
এই ছিলো গাব্রিয়েল বাতিস্তুতার সফলতার গল্প। চেষ্টা থাকলে জীবনে যেকোন পেশা থেকে সফলতা সম্ভব, তা দেখিয়ে দিয়েছেন বাতিস্তুতা। কেমন লেগেছে কমেন্ট করে জানাবেন। আর পরবর্তীতে কোন্ ফুটবলারের জীবনী নিয়ে ভিডিও দেখতে চান তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
Leave a Reply