এই পৃথিবীর সভ্যতা বিকাশের সাথে সাথে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং তার নতুন নতুন আবিষ্কার প্রতিনিয়তই পৃথিবীকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। গোটা বিশ্বের অভূতপূর্ব বিকাশ ও আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান অনস্বীকার্য।
মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য প্রতিটি বস্তু নিয়ে বিজ্ঞানীগণ গবেষণা করে নিত্য নতুন তথ্য আবিষ্কার করে যাচ্ছেন। গণিতশাস্ত্র,পদার্থবিদ্যা, রসায়নশাস্ত্র, উদ্ভিদবিদ্যা, জোর্তিবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, সাম্প্রতিককালের তথ্য-প্রযুক্তিসহ সকল ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের গবেষণা মূর্ত হয়ে উঠেছে।
এসব গবেষণার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন বিজ্ঞানীরা অবদান রেখেছেন যেমন, আলবার্ট আইন্সটাইন, স্যার আইজাক নিউটন, টমাস আলভা এডিসন, লুই পাস্তুর, জেমস ওয়াট, রবার্ট হুক আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল ছাড়াও এমন আরো অনেক বিজ্ঞানী আছেন যাদের নাম আমরা নির্দ্ধিধায় বলতে পারব। আজকের আয়োজনে থাকছে বিশ্বের সেরা মুসলিম বিজ্ঞানীর আবিষ্কার এবং তাদের সাথে ঘটা মজার কিছু ঘটনা।
সময়ের ধারাবাহিকতায় এবং আবিষ্কারের নেশায় মুসলিমবিজ্ঞানীরা কোনো অংশে পিছিয়ে ছিলেন না। তারা নিজ মেধা ও মননের দ্বারা বিশ্বদরবারে নিজেদেরকে উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।
সেরা মুসলিম বিজ্ঞানীদের জীবনী
রসায়নশাস্ত্রের ‘জনক’ জাবির ইবনে হাইয়ান
১. জাবির ইবনে হাইয়ান
প্রাচীনকালে কিমিয়া, তারপর আলকেমি আর বর্তমানে রসায়নশাস্ত্র। দুনিয়ার যত বিজ্ঞানী রসায়নশাস্ত্র নিয়ে গবেষণা করেছেন তাদের অন্যতম পুরধা হলেন জাবির ইবনে হাইয়ান।
৭২০ খ্রিস্টাব্দে ইরাকের কুফা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কিমিয়া তথা রসায়নকে যারা প্রকৃত বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস পেয়েছেন জাবির ইবনে হাইয়ান হলেন তাদের স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনি নানা বিষয় নিয়ে গবেষণা করলেও রসায়নবিজ্ঞান নিয়ে তার অবদানই সর্বাধিক।
তিনি রসায়নের বিভিন্ন বিষয়ের উপর গবেষণা করে অনেক বই-পুস্তক লিখেছেন। ‘বুক অফ কম্পজিশন অফ আল-কেমি’ তাদের অন্যতম। এছাড়া জাবির ইবনে হাইয়ান অন্যান্য বিষয়ের উপর প্রায় পাঁচশো’রও অধিক বই রচনা করেছেন।
রসায়নবিজ্ঞনের কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র যথা পরিস্রবণ,দ্রবণ, ভস্মীকরণ,বাষ্পীকরণ, প্রভৃতি তাঁরই আবিষ্কার। তিনি তাঁর গ্রন্থে ধাতুর শোধন, তরলীকরণ,লোহা মরিচা রোধক বার্ণিশ,লেখার কালি ও কাঁচ ইত্যাদি দ্রব্য প্রস্ততের প্রণালি ও বিধি সম্পর্কে বর্ণনা করেন।
তিনি কুফায় একটি বিজ্ঞানাগার প্রতিষ্ঠা করে মৃত্যু পর্যন্ত সেখানেই গবেষণারত ছিলেন। জাবির ইবনে হাইয়ান রসায়নশাস্থের পরিপূর্ণতা দান করেন বিধায় তাকে রসায়নশাস্ত্রের ‘জনক’ বলা হয়। তিনি ৮১৫ খ্রিস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন।
২. আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে মুসা আল খোয়ারিজমি
ঋনাত্মক রাশির চিহ্ন বদল করে সমীকরণের একপাশ থেকে অন্যপাশে নেওয়ার পদ্ধতি যিনি প্রবর্তন করেছিলেন তিনি হলেন মুসা আর খারিজমি। ৭৮০ খ্রিস্টাব্দে পারস্যের (বর্তমানে ইরান) খিভা প্রদেশের খোয়ারিজমি নামক জায়গাতে তিনি জন্মগ্রহন করেছেন।
তাঁকে গণিতশাস্ত্রের ‘জনক’ বলা হয়। মূলত বীজগণিতের আবিষ্কারক হলেন তিনি। এ বিষয়ে তাঁর রচিত ‘হিসাব আল জাবর ওয়াল মুকাবালাহ’ গ্রন্থের নামানুসারে বীজগণিত শাস্ত্রকে পরবর্তীকালে ইউরোপীয়রা আল-জেবরা নামকরণ করেন।
তিনি এ গ্রন্থে আট শতাধিক উদাহরণ সন্নিবেশিত করেন। সমীকরণ সমাধান করার ছয়টি নিয়ম তিনি আবিষ্কার করেন। গণিত বিষয়ের উপর তাঁর আরো অনেক বই রয়েছে। ‘কিতাবুল হিসাব আল আদাদ আল হিন্দী’ তাঁর পাটিগণিত বিষয়ক গ্রন্থ। এছাড়াও জ্যামিতি বিষয়ক তিনি অনেক বই লিখেছেন। তাঁর গণিতশাস্ত্র দ্বারা উমর খৈয়াম, লিওনার্দো, ফিরোনাসসি এবং মাস্টার জ্যাকবসহ আরও অনেকেই প্রভাবান্বিত হয়েছেন। আনুমানিক ৮৫০ খ্রিস্টাব্দে তিনি মৃত্যবরণ করেন।
৩. হাসান ইবনে হাইসাম
ইউক্লিড আর টলেমি যেখানে বলেছিলেন যে, আলো চোখ থেকে বস্তুতে পড়ে বলেই আমরা দেখতে পাই; সেখানে একজন মুসলিম চক্ষুবিজ্ঞানী তাদের থিওরি হাতে কলমে ভুল প্রমাণ করলেন। সেই বিজ্ঞানীর নাম হলো হাসান ইবনে হাইসাম।
তিনি প্রমাণ করলেন,বাহ্যবস্তু থেকেই আলো আমাদের চোখে প্রতফলিত হয় বলে বস্তু দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি ৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। দর্শন, জ্যোতির্বিদ্যা, চিকিৎসাশাস্ত্র,গণিত প্রভৃতি বিষয়ে তিনি শতাধিক গ্রন্থ রচনা করেন।
চক্ষুবিজ্ঞান বিষয়ক মৌলিক গ্রন্থ ‘কিতাবুল মানাযির’ তাঁকে ইতিহাসে অমর করে রেখেছে। আধুনিক কালের বিজ্ঞানীরা গতিবিজ্ঞানকে তাদের আবিষ্কার বলে দাবি করলেও ইবনে হাইসাম এ বিষয়ে বহু পূর্বেই বিস্তারিত বর্ণনা করেছিলেন। মাধ্যাকর্ষণ বিষয়ে তিনি তাঁর গ্রন্থসমূহে বর্ণনা করেছেন।
স্যার আইজ্যাক নিউটনকে (১৬৪২-১৭১৭ খ্রি) মাধ্যাকর্ষণ সম্পর্কিত শক্তির আবিষ্কারক মনে করা হলেও ইবনে হাইসাম এ বিষয়ে প্রথম ধারণা দিয়েছিলেন বলে মনে করা হয়। তিনি ১০৪৪ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
৪. জাবির ইবনে সিনান আল বাত্তানী
পৃথিবীর এক বছর সমান যে ৩৬৫ দিন, ৫ ঘণ্টা, ৪৬ মিনিট,২৪ সেকেন্ড তা প্রথম হিসাব করেন জোর্তিবিজ্ঞানের জ্যোতি জাবির ইবনে সিনান আল বাত্তানী। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, তাঁর এই হিসাবের সাথে বর্তমান আন্তর্জাতিক হিসাবের পার্থক্য মাত্র ২৭ মিনিটের।
জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ে প্রভূত জ্ঞানের অধিকারী জাবির ইবনে সিনান আল বাত্তানী ৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে মেসোপোটেমিয়ার অন্তগর্ত মিশরের বাত্তান নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। জ্যোতির্বিজ্ঞান এর উপর তিনি চারটি বই রচনা করেছেন যেগুলো জ্যোতির্বিদ্যার জ্ঞান লাভের ক্ষেত্রে আলোর দিশারী হিসেবে খ্যাত। মুসলিম এই মনীষী ৯২৯ খ্রিস্টাব্দে ইহলোক ত্যাগ করেন।
৫. ইবনে সিনা
পুরো নাম আবু আলি আল হুসাইন ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে সিনা। তিনি বুখারার নিকটবর্তী আফশানা নামক গ্রামে ৯৮০ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র দশ বছর বয়সে পবিত্র কুরআন হিফজ করেন।
তিনি দার্শনিক,চিকিৎসক, গণিতজ্ঞ, জ্যোতির্বিদ এবং মুসলিম জগতের একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও সর্ববিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন। চিকিৎসায় তাঁর অসাধারণ অবদানের জন্য তাঁকে আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্র ও চিকিৎসা প্রণালি এবং শল্যচিকিৎসার দিশারী মনে করা হয়।
তাঁর রচিত অসংখ্য গ্রন্থ রয়েছে। তবে চিকিৎসাশাস্ত্রে ‘আল- কানুন ফিত-তিবব’ একটি অমর গ্রন্থ। ড. ওসলার এ গ্রন্থটিকে চিকিৎসাশাস্ত্রের বাইবেল বলে উল্লেখ করেন।
ধারণা করা হয়, চিকিৎসাশাস্ত্রে এর সমপর্যায়ের কোনো গ্রন্থ আজও দেখা যায় না। আধুনিক বিশ্বেও তাঁর গ্রন্থটি বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে চিকিৎসাবিজ্ঞানে পাঠদান করা হচ্ছে।
চিকিৎসা সমন্ধীয় যাবতীয় তথ্যের আশ্চর্য রকম সমাবেশ থাকার কারণে গ্রন্থটিকে চিকিৎসাশাস্ত্রের বৃহৎ সংগ্রহ বলা চলে। তিনি ১০৩৭ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
৬. আবু বকর মুহাম্মদ ইবনে যাকারিয়া আল রাযি
তাঁর নাম মুহাম্মদ, উপনাম আবু বকর, পিতার নাম যাকারিয়া। তিনি আল-রাজি নামে অধিক পরিচিত। ৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
জানা যায়, সেই সময়কার সর্বশ্রেষ্ঠ চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও শল্যচিকিৎসাবিদ ছিলেন তিনি। তৎকালে তাঁর সুনাম ও সুখ্যাতি চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লে পশ্চিম এশিয়া ও পূর্ব ইউরোপ থেকে অনেক রোগী তাঁর নিকট আসতেন। তাঁর অস্ত্রোপচার পদ্ধতি ছিল গ্রীকদের থেকেও উন্নত।
তিনি মোট দুই শতাধিক গ্রন্থ রচনা করেন। তন্মধ্যে শতাধিক হলো চিকিৎসা বিষয়ক। ‘আল জুদাইরি ওয়াল হাসবাহ’ এবং ‘আল- মানসুরি’ বই দুইটি আল রাযিকে চিকিৎসাশাস্ত্রে অমর করে রেখেছে।
তিনি হাম, শিশু চিকিৎসা, নিউরোসাইকিয়াট্রিক ইত্যাদি চিকিৎসা সম্পর্কে নতুন মতবাদ প্রবর্তন করেন। ৯২৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি হইলোক ত্যাগ করেন।
৭. আল বিরুনি
বুরহানুল হক আবু রায়হান মুহাম্মদ ইবনে আহমাদ আল বিরুনি; যিনি সংক্ষেপে আল বিরুনক নামে পরিচিত। ৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে খাওয়ারিযমের নিকটবর্তী আল বিরুন নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন।
আল বিরুনি ছিলেন মধ্যযুগীয় শ্রেষ্ঠ মুসলিম পন্ডিত, মহাজ্ঞানী ও নিষ্ঠাবান গবেষক। তিনি অত্যন্ত মৌলিক ও গভীর চিন্তাধারার অধিকারী বড় দার্শনিক ছিলেন। গণিত, জ্যোতিষশাস্ত্র, পদার্থ, রসায়ন ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে তিনি পারদর্শী ছিলেন।
এছাড়া তিনি প্রসিদ্ধ ভূগোলবিদ, ঐতিহাসিক পঞ্জিকাবিদ,চিকিৎসাবিজ্ঞানী,ভাষাতত্ত্ববিদ ও ধর্মতত্ত্বের নিরপেক্ষ বিশ্লেষক ছিলেন। স্বাধীন চিন্তা, মুক্ত বুদ্ধি,সাহসিকতা,নির্ভীক সমালোচনা ও সঠিক মতামতের জন্য তিনি যুগশ্রেষ্ঠ মনীষী হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন।
পৃথিবীখ্যাত ৮জন সফল ব্যক্তির অনুপ্রেরণার গল্প | পড়তে ক্লিক করুন
তিনি ভূগোলের অক্ষরেখার পরিমাপ নির্ণয় করেন। তাঁর লিখিত অনেক গ্রন্থ রয়েছে৷ তন্মধ্যে ‘আল আছারুল বাকিয়্যাহ- আনিল কুরুন খালিয়্যাহ’ গ্রন্থটি প্রসিদ্ধ। এ গ্রন্থে তিনি বর্ষপঞ্জি, গণিত,ভূগোল, আবহাওয়াবিজ্ঞান ও চিকিৎসাসহ নানা বিষয় নিয়ে বর্ণনা করে।
তিনিই প্রথম প্রমান করেন যে,পৃথিবী গোলাকার। পৃথিবীর গোলাকার মানচিত্র তাঁর রচিত। তিনি ১০৪৮ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
৮. ওমর খৈয়াম
উমর খৈয়াম; পুরো নাম উমর ইবনে ইবরাহীম আল খৈয়াম। ১০৪৮ খ্রিস্টাব্দে পারস্যে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তিনি ছিলেন প্রথম শ্রেণির গণিতবিদ।
তাঁর ‘কিতাবুল জিবার ওয়াল মুকাবালা’ গণিতশাস্ত্রের একখানি অমর গ্রন্থ। ঘণ সমীকরণ এবং অন্যান্য উন্নতশ্রেণির সমীকরণের পদ্ধতির বিশ্লেষণ এবং সংজ্ঞানুসারে এগুলোকে শ্রেণিভুক্ত করে উমর খৈয়াম বীজগণিতের অসাধারন অগ্রগতি সাধন করেন।
এ ব্যাপারে তিনি গ্রিকদের থেকেও বেশি পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। পাটিগণিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের উপরও তিনি বহু গ্রন্থ রচনা করেন। তিনি ১১২২ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ
করেন।
৯. ডাঃ এ পি যে আবুল কালাম আজাদ
এই উপমহাদেশের ‘মিসাইলম্যান’ খ্যাত ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী ডাঃ এ পি যে আব্দুল কালাম; যিনি ত্রিশটিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন বিষয়ে ডিগ্রি লাভ করেছেন।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নে এবং পদার্থবিদ্যায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ জীবনের শেষকালে গোটা ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। তিনি জ্ঞান সাধনায় নিজেকে এমন ভাবে আত্মনিয়োগ করেছিলেন যে মৃত্যুর পূর্বকাল অব্ধি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন।
‘’উইং অফ ফায়ার’ তাঁর লেখা অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি বই। তাঁর একটি বিখ্যাত উক্তি সবারই জানা- ‘Dream is not what you see in sleep, is the thing that doesn’t let you sleep’.
তিনি অনেকগুলা গ্রন্থ রচনা করেছেন। তিনি ১৯৩১ সালে ভারতের তামিলনাড়ুতে জন্মগ্রহণ করেন। ২০১৫ সালে এই মনীষীর মৃত্যু হয়।
১০. ডাঃ কুদরত-ই খুদা
ব্রিটিশ ভারতে বিজ্ঞানচর্চার অগ্রভাগে যে ক’জন মনীষী রয়েছেন তাঁদের মধ্যে ডাঃ কুদরত-ই খুদা অন্যতম। তাঁর গবেষণার মূল বিষয় ছিল রসায়নশাস্ত্র। তিনি বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা এবং তাদের গুণাগুণ নিয়ে গবেষণা করতেন।
এগুলার ঔষধি গুণ খুঁজে বের করেছেন বহুলাংশে। সেসময়ের ‘ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ কেমিস্ট্রি’তে তাঁর কেমিস্ট্রি বিষয়ক চৌদ্দটি গবেষণা প্রবন্ধ তুলে ধরেন তিনি।
তিনি একাধারে ‘বিজ্ঞানসাধক’ এবং মাতৃভাষার সেবক’ খেতাবে ভূষিত হয়েছেন। ১৯০০ সালে ভারতের বীরভূমে জন্মগ্রহণ করেন এই গুনী বিজ্ঞানী। এবং ১৯৭৭ সালে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
Leave a Reply