ঘরোয়াভাবে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় | চিরতরে গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধানে

Published:

Updated:

গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়

Disclaimer

As an affiliate, we may earn a commission from qualifying purchases. We get commissions for purchases made through links on this website from Amazon and other third parties.

এখন গ্যাস্ট্রিক শব্দটির সাথে ছোট থেকে বড় সবাই পরিচিত। সাধারণত আমাদের খাদ্যভ্যাসের পরিবর্তনের কারণে এখন প্রায় সকলেই এই গ্যাস্ট্রিক নামক রোগে আক্রান্ত। গ্যাস্ট্রিক সহজে কমানোর অনেক ওষুধ থাকলেও ঘরোয়া উপায়ে গ্যাস্ট্রিক কমানোর চেষ্টা করা সবচেয়ে উত্তম। এবং প্রয়োজন আমাদের খাদ্যভ্যাসের দিকে নজর দেওয়া। সাধারণত গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত। 

বদহজম, বমি করা, ক্ষুধাহ্রাস পাওয়া, পেট ভরা ভরা অনুভূত হওয়া, গলা এবং বুকে তীব্র জ্বালাপোড়া অনুভব হওয়া আরও নানাবিদ লক্ষণ রয়েছে। মূলত আমরা ঘরের বাইরে এত বেশি জাঙ্ক ফুড ও অস্বাস্থ্যকর ভাজাপোড়া খাবার খেয়ে থাকি, যার ফলে দ্রুতই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগতে হয়। তবে গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাওয়ারও কিছু অনবদ্য ঘরোয়া উপায় রয়েছে। 

আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো ঘরোয়াভাবে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়, গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির উপায়। আশা করি আমার আর্টিকেল থেকে আপনারা উপকৃত হবেন। তাই আর দেরি না করে পুরো আর্টিকেলটি পড়া শুরু করুন:

গ্যাস্ট্রিক দূর করার ব্যায়াম

ঘরোয়া উপায়ে গ্যাস্ট্রিক দূর করতে কার্যকরী উপায় হল যোগাসন বা ব্যায়াম। পেট ফাঁপা ও গ্যাস জনিত ব্যথা থেকে দ্রুত নিস্তার পেতে যে ব্যায়ামটি সর্বপ্রথম করবেন সেটি হচ্ছে পিঠের উপর শুয়ে শূন্যে পা দুটিকে বাইসাইকেলের মতো চালানো। গবেষণা বলছে এই ব্যায়ামটি 5 মিনিট কন্টিনিউ করলে পেটের গ্যাস অতি দ্রুত নির্মূল হয়ে যাবে। এমন আরো কিছু ব্যায়াম রয়েছে যা গ্যাস্ট্রিক দূর করতে কার্যকরী। অনুসরণ করতে পারেন চাইল্ডস পোজ ও সিটেট  টুইস্ট; এই দুটো বেশ কার্যকর।

চাইল্ড পোজ হচ্ছে নামাজের সেজদার মত করে বসে হাত দুটোকে টানটান করে সামনে দিয়ে রাখা। তবে অবশ্যই হাঁটু – হাত এবং নাক – কপাল সবগুলোই মাটির সাথে লাগতে হবে। এভাবে সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় মিনিট করতে থাকুন। চাইলে এটি তিন থেকে চারবার রিপিট করতে পারেন। আর সিটেট টুইস্ট হচ্ছে দুই পা উঁচু করে মাজা গেরে বসে হাত দুটি একের উপরে আরেকটি রেখে একবার ডানে মোচড় দেওয়া ও একবার বামে মোচড় দেওয়া।

আর একটি সহজ উপায় হচ্ছে খাবার খাওয়ার পর সাথে সাথে বসে না থেকে অথবা শুয়ে না গিয়ে অল্প কিছুক্ষণ ধীর এবং স্থির গতিতে হাঁটলেও পেটের গ্যাস অধিকাংশই কমে যায়।

পেটের গ্যাস বের করার ব্যায়াম

যথাযথ ব্যায়ামের মাধ্যমেও যে পেটের গ্যাস বের করা যায় তা অনেকেই জানেনা। পেটের গ্যাস বের করার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম পদ্ধতি অনুসরণ করা। কোন ওষুধ গ্রহণ ছাড়াই আপনি পেটের গ্যাস বের করতে সক্ষম হবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক পেটের গ্যাস বের করার ব্যায়াম সম্পর্কে।

পেট ম্যাসাজ করা: পেটের গ্যাস বের করার একটি চমৎকার উপায় হচ্ছে পেট ম্যাসেজ করা। হাতের তালুতে অল্প পরিমাণ তেল নিয়ে নিন এবার পেটের চারপাশে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ম্যাসেজ করুন। এর ফলে আপনার পেটে জমে থাকা গ্যাস অন্ত্রের নিচের দিকে চলে যাবে এবং আপনার পায়ুদ্বার এর মাধ্যমে বের হয়ে যাবে। পেটে অতিরিক্ত গ্যাস জমা হলে দিনে কয়েকবার এ পদ্ধতি অবলম্বন করুন।

যোগব্যায়াম: পেটের গ্যাস বের করতে আরও একটি কার্যকরী উপায় হচ্ছে যোগ ব্যায়াম এবং এটি চিকিৎসা শাস্ত্রের গবেষণায় প্রমাণিত। যোগ ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনার পেটের পেশীর ব্যায়াম হয়, যার ফলে আপনার অন্ত্রের কার্য পদ্ধতির সচলতা বৃদ্ধি পায়। এবং পেট থেকে সহজেই গ্যাস বেরিয়ে যেতে পারে। তাছাড়া আমরা সকলেই জানি যোগব্যায়াম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।

হাঁটা: সবচেয়ে সহজ এবং নিরাপদ পদ্ধতি হচ্ছে নিয়মিত হাঁটা। তবে এটি যে পেটের গ্যাস বের করতে পারে তা অনেকেই জানেনা। দুপুরে বা রাতে খাওয়ার পর অবশ্যই প্রতিদিন কিছু সময় হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে করে পেটের ভেতর জমে থাকা গ্যাস সহজেই বের হয়ে যাবে।

গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়

অনেক সময় খাদ্য রসিক আমরাই শখের বসে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি খাবার খেয়ে ফেলি। হতে পারে সেই খাবার স্বাস্থ্যকর কিংবা অস্বাস্থ্যকর। বাঙালি মানেই খাদ্য রসিক। আর প্রয়োজনের তুলনায় এই বেশি খাদ্য খেয়ে ফেলার পরেই আমাদের পড়তে হয় বিপাকে। দেখা দেয় পেটে নানা ধরনের সমস্যা। তবে জানেন কি ঘরোয়া উপায়ে গ্যাসের সমস্যা দূর করা সম্ভব। আপনার হাতের নাগালেই রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা দিয়ে আপনি সহজেই গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধ করতে পারেন। যেমন

আলুর রস: আলুর রসে অ্যালকালাইন নামক উপস্থিত উপাদান গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে বেশ কার্যকরী। মাঝারি সাইজের এক বা দুটো আলু নিয়ে গ্রেট করে আলুর রস বের করে নিন। এবার আলুর রসের সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণ গরম পানি মিশিয়ে দিনে তিনবার পান করার চেষ্টা করুন। গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের মতোই খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে এই পানীয় পান করার চেষ্টা করুন। আশা করি আপনি উপকৃত হবেন।

আদা: গ্যাস্ট্রিক কমাতে সবচেয়ে কার্যকরী উপাদান হচ্ছে আদার রস। গ্যাস্ট্রিকে বুক জ্বালাপোড়া করা একটি মোক্ষম সমস্যা। আদার রসের সাথে মধু মিশিয়ে দিনে দুই থেকে তিন বার পান করুন। অবশ্যই চেষ্টা করবেন খাবার খাওয়ার তিরিশ মিনিট আগে পানীয়টি পান করার। এছাড়া আপনি এমনিতেও আদা চিবিয়ে রস খেতে পারেন। এটিও গ্যাস্ট্রিক কমাতে বেশি উপকারী ‌।

দই: দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন দুই থেকে তিন চামচ দই খেলে গ্যাস্টিকের সমস্যা অনেকাংশেই দূর হয়ে যায়। তাই প্রতিদিন অন্যান্য খাবারের সাথে চেষ্টা করুন দই খাওয়ার।

জিরা: গ্যাস ও এসিডিটির সমস্যা যদি হঠাৎ করে হয়ে থাকে ,অর্থাৎ আপনি প্রচন্ড গ্যাসের সমস্যায় ভুগছেন খুব কষ্ট হচ্ছে। সাথে সাথে ওমিপ্রাজল বা কোন গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ না খেয়ে হাফ চা চামচ জিরার গুঁড়ো এক গ্লাস উষ্ণ পানিতে মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। মনে রাখবেন আপনি ওমিপ্রাজল খাবেন আপনার কিডনি নষ্ট হবে কিন্তু জিরার গুঁড়ো  খাবেন আপনার এসিডিটি দূর হবে কিন্তু আপনার কিডনির কোন ক্ষতি হবে না।

আবার যাদের দীর্ঘদিন যাবত গ্যাসের সমস্যা লেগেই রয়েছে, তারা সরাসরি এক চা চামচ কাঁচা জিরা এক গ্লাস নরমাল পানিতে রাতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে উষ্ণ পানি পান করার আধাঘন্টা পর, এই জিরার পানি পান করুন। জিরা ছেকে খেয়ে নিতে পারেন অথবা পানিটুকু পান করে অবশিষ্ট জিরা চিবিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। আপনি যেভাবে খান না কেন জিরা খাওয়া মাত্র পেটের সকল গ্যাস, ডায়রিয়া অবশ্যই দূর হয়ে যাবে।

লবঙ্গ: হঠাৎ করে গ্যাস এসিডিটি হলে দুই থেকে তিনটি লবঙ্গ খুব ভালোভাবে চিবিয়ে খেয়ে এক গ্লাস উষ্ণ পানি পান করুন। অনেকে লবঙ্গ খেতে পারেন না খুব কষ্ট হয়। তারা জিরা খেতে পারেন কিন্তু লবঙ্গটা জিরা থেকে বেশি উপকার দেয়। যাদের অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা তারা  প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুটি লবঙ্গ যদি নিয়মিত খুব ভালো করে চিবিয়ে খেয়ে এক গ্লাস হালকা উষ্ণ পানি পান করুন। সকালে উঠে দেখবেন আপনার আর গ্যাসের সমস্যা থাকবে না। টানা ২১ দিন একই নিয়মে লবঙ্গ সেবন করুন। 

জোয়ান :জোয়ান পেটের যেকোনো সমস্যা দূর করতে পারে। গ্যাস, এসিডিটি, পেট ব্যথা বদহজম, টক ঢেকুর; এই সকল সমস্যা দূর করতে এই উপাদানটি খুব দ্রুত কাজ করে।

গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা দূর করার উপায়

গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা দূর করার উপায়

গ্যাস্ট্রিকের কারণে বুকে, গলায় জ্বালাপোড়া এবং ব্যথা হওয়া খুব সাধারণ একটি বিষয়। তবে অনেক সময় দেখা যায় অফিসে কিংবা বাইরে যাওয়ার পরপরই হঠাৎ এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয় এবং বুক জ্বালাপোড়া শুরু হয়। তখন আমরা খুবই অস্বস্তিতে ভুগি। এই সময় কিভাবে গ্যাস্টিকের ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া দূর করবেন তা জেনে রাখা একান্ত প্রয়োজন। আপনাদের সুবিধার্থে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা দূর করার উপায় গুলো তুলে ধরা হলোঃ

গুড়: গুড় বুক জ্বালাপোড়া এসিডিটি থেকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। হঠাৎ করে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা শুরু হলে এক টুকরো গুড় মুখের মধ্যে নিয়ে চুষতে থাকুন যতক্ষণ না পর্যন্ত এটা গলে যায়। এতে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা অনেকাংশে কমে যাবে।

আদা: গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রতিবার খাবার পরে এক টুকরো আদা ঔষধের মত করে চিবিয়ে খান। এতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে।

পুদিনা পাতা: পুদিনা পাতার রস গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য অনেক উপকারী। প্রতিদিন পুদিনা পাতার রস বা পাতা খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। প্রাচীনকাল থেকেই পুদিনা পাতাকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য ব্যবহার করা হয়।

লবঙ্গ: হঠাৎ করে গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা শুরু হলে দুই একটি লবঙ্গ মুখের মধ্যে নিয়ে চিবোতে থাকুন। দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমে গিয়েছে।

টক দই: খাবারের পর টক দই খাওয়ার অভ্যাস করুন। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার জন্য টক দই অনেক উপকারে আসে। তাই টক দই খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়

চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করতে হলে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কিছুটা পরিবর্তন তো আনা প্রয়োজনই, তার সাথে আরও কিছু বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখা প্রয়োজন। উপকার পাওয়া যাবে এমন কিছু নিয়ম মেনে চললে আমরা এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির উপায়ও পেতে পারি। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক সম্পূর্ণরূপে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়, গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়:

নিয়মিত খাবার খাওয়া: গ্যাসের সমস্যার সবচাইতে বড় কারণ গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে অনিয়মিত খাবার খাওয়া । অনেকে আছে সকালবেলা কিছু না খেয়ে দুপুর ১২ টা ১ টা পর্যন্ত অভুক্ত থাকে, এরপর কিছু খেয়ে আবার তিনটা চারটার দিকে দুপুরের খাবার খায়, আবার রাতের খাবার খায় ঘুমানোর ঠিক আগে। এই ভাবে অনিয়মিত খাবার খাওয়া যাবেনা। সময়ের খাবার সময়ে খেয়ে নিতে হবে। তিন বেলা সঠিক সময় মত খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা না হওয়ার সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি থাকে।

পানি বেশি বেশি পান করা: অনেকেই দেখা যায় শুধু খাবারের সাথে আর পিপাসা পেলেই পানি পান করে। কিন্তু এভাবে পানি পান করা ঠিক না। পানি আমাদের শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত এক থেকে দেড় ঘন্টা পর পর পানি খাওয়া উচিত। এতে করে শরীর ভালো থাকে, সতেজতা ফিরে পাওয়া যায় এবং এসিডিটি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

অতিরিক্ত ফাস্টফুড না খাওয়া: অনেকেই দেখা যায়, বাইরের তেলে ভাজা খাবার রাতে খেয়ে আসে এবং ঘরের খাবার না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু এমনটা করা উচিত নয়। অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়ার ফলে পেটে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয় যার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, অতিরিক্ত মোটা হওয়া বা চর্বি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। আমাদের উচিত যতটা সম্ভব ফাস্টফুড এড়িয়ে চলা, তাহলে এসব সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যাবে।

রাতের খাবার খেয়ে জেগে থাকা: রাতের খাবার অত্যন্ত তিন থেকে চার ঘণ্টা আগে খাওয়া উচিত। তিন থেকে চার ঘন্টা না পারলেও অত্যন্ত এক থেকে দুই ঘন্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নেয়াই ভালো।

টক দই, কলা এবং মধু এই তিনটি উপাদানকে একসাথে মিক্স করে যাদের বেশি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তারা তিন বেলা এবং যাদের একটু কম সমস্যা তারা অত্যন্ত একবেলা নিয়মিত খেতে থাকুন। আস্তে আস্তে গ্যাস্ট্রিকের এই সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেয়ে যাবে।

শেষ কথা, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার যুক্ত করুন এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলুন। তেল ও চর্বি জাতীয় খাবার না খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস জারি রাখুন। পর্যাপ্ত পানি খান এবং পর্যাপ্ত ঘুমান। গ্যাস্ট্রিক থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে এবং নিজেকে সুস্থ রাখতে অবশ্যই প্রতিনিয়ত এই গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় অনুসরণ করুন। আশা করি আমাদের আর্টিকেল থেকে আপনি উপকৃত হবেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

About the author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Latest Posts

  • সর্দি থেকে মুক্তির উপায়, নাকের এলার্জি দূর করার উপায় | দ্রুত উপশম পেতে ঘরোয়া চিকিৎসা

    সর্দি থেকে মুক্তির উপায়, নাকের এলার্জি দূর করার উপায় | দ্রুত উপশম পেতে ঘরোয়া চিকিৎসা

    নাকের এলার্জি হচ্ছে নাকের ঝিল্লি প্রদাহের কারণে নাকের একটি সমস্যা। এটি সারা বিশ্বব্যাপী একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ নাকের এই রোগে আক্রান্ত। নাকের এলার্জি কোন মারাত্মক ক্ষতিকর রোগ না হলেও এ রোগের কারণে দৈনন্দিন জীবন প্রবাহ ব্যাহত হয়। এলার্জিজনিত সর্দি এবং হাঁচি জীবনকে অতিষ্ট করে তোলে। এই রোগে হঠাৎ…

    Read more

  • কফ, কাশি দূর করার উপায় | সঠিক চিকিৎসাই হতে পারে কাশি দূরীকরণের মাধ্যম

    কফ, কাশি দূর করার উপায় | সঠিক চিকিৎসাই হতে পারে কাশি দূরীকরণের মাধ্যম

    গলায় বুকে কফ জমে থাকা বেশ বিরক্তিকর একটি সমস্যা। ঋতু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়। আর আবহাওয়ার এই দ্রুত পরিবর্তন আমাদের শরীর খাপ খাওয়াতে পারে না, যার কারণে সৃষ্টি হয় ঠান্ডা জ্বর ও সর্দি-কাশির। ঠান্ডা সর্দি কাশি এগুলো আমাদের কাছে খুব পরিচিত রোগ হলেও এই ঠান্ডা সর্দি কাশি থেকে আমাদের দেহে অনেক বড় বড় অসুখ…

    Read more

  • ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চার্ট | সুস্থ স্বাভাবিক জীবন

    ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চার্ট | সুস্থ স্বাভাবিক জীবন

    সুস্থ স্বাভাবিক এবং রোগমুক্ত জীবন আমরা কে না চাই। আর এই সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করার একমাত্র উপায় হচ্ছে শারীরিক ওজন ঠিক রাখা। কেননা ওজন বেড়ে গেলে যে কোন রোগের ঝুঁকি ও বেড়ে যায়। এজন্য বাড়তি ওজন অনেকের মানসিক অসুস্থির প্রধান কারণ। তাই রোগ প্রকোপ কমাতে এবং মানসিক শান্তির উদ্দেশ্যে আমাদের সকলের উচিত শারীরিক ওজন…

    Read more