আমাশয়কে সাধারণত পেটের এক ধরনের রোগ বলা যায়। বিশেষ করে খাবার এবং পানির মাধ্যমে আমাশয় রোগ সবচেয়ে বেশি ছড়ায়। দূষিত খাবার গ্রহণ এবং হজমের সমস্যার কারণে আমাশয় রোগ সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আমাশয় ডায়রিয়া রোগেরই একটি প্রজাতির মত। সঠিক সময় যদি আমাশয় রোগের চিকিৎসা করা না হয়, তবে এই রোগ থেকেও ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ ঘটনা।
বিশেষ করে প্রতিবছরই অসংখ্য শিশু আমাশয় রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে থাকে। যদি আপনার আমাশয় রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানা থাকে তবে দ্রুতই আপনি বিশেষ পদক্ষেপ নিতে পারবেন। আসুন আজই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নিন আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা।
আমাশয় কি
আমাশয়ের ফলে পরিপাকতন্ত্রে এক ধরনের ইনফেকশনের সৃষ্টি হয়, যার ফলে রক্ত এবং মিউকাস মিশ্রিত হয়ে পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। পায়খানার সাথে যে মিউকাস বের হয় তাকে আম বলে। শুরুর দিকে রক্ত আসে না শুধু মিউকাস আসে। কিন্তু রোগের মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে গেলে এক সময় রক্ত মিশ্রিত পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। শুরুতেই যদি এই রোগের সঠিক চিকিৎসা করা হয় তাহলে কয়েকদিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকা বা সিগেলা ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে আমাশয় রোগ হয়ে থাকে।
আমাশয় কয় প্রকার ও কি কি
সাধারণত আমাশয় দুই প্রকার। ব্যাসিলারি আমাশয় এবং অ্যামিবয়েড আমাশয়।
১)ব্যাসিলারি আমাশয়: শিগেলা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের ফলে ব্যাসিলারি আমাশয় হয়ে থাকে। এই ব্যাকটেরিয়া দেখতে দণ্ডাকার হয়। এদেরকে ব্যাসিলারি ব্যাকটেরিয়াও বলা হয়। এই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার কারণে এই ধরনের আমাশয় কে শিগেলোসিসও বলা হয়ে থাকে।
২)অ্যামিবয়েড আমাশয়: এককোষী অ্যামিবা দ্বারা আক্রমণের ফলে অ্যামিবয়েড আমাশয় হয়। এই এক কোষী অ্যামিবার নাম হল এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকা। অ্যামিবার মাধ্যমে আক্রান্ত হয় বলে এই আমাশয় কে অ্যামিবায়াসিসও বলা হয়।
আমাশয় রোগ হওয়ার কারণ
আমাশয় রোগ হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। কারণগুলো হচ্ছে:
১) অতিরিক্ত দূষিত পানি পান করার ফলে রোগ হতে পারে।
২) বাহিরের নোংরা খোলা খাবার খেলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে ।
৩) আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে ওরাল সেক্স বা পায়ু সঙ্গমের কারণেও এ রোগ হয়ে থাকে।
৪) অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে এ রোগ বেশি হয়।
৫) দুর্বল সেনিটেশনের কারণে এই রোগ হয়ে থাকে।
এছাড়াও, এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির মলের সাথে জীবাণু বের হয়ে আসে এবং অপরিচ্ছন্ন খাবার ও পানির সাথে মিশে অন্য সুস্থ ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করে। এভাবে আমাশয় রোগ এক ব্যক্তির কাছ থেকে অন্য ব্যক্তির কাছে ছড়ায়।
আমাশয় রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
প্রতিটা রোগের কিছু না কিছু লক্ষণ রোগীর দেহে প্রকাশ পায় এবং যখনই আপনি আমাশয় রোগের লক্ষণ, প্রতিকার ও এ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা জানতে পারবেন, তখনই আপনি সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন। সাধারণত আমাশয় রোগের লক্ষণ ১ থেকে ৩ দিনের মধ্যেই প্রকাশ পায়। যেহেতু আমাশয় রোগ দুই প্রকার এবং দুই ধরনের জীবাণুর মাধ্যমে আক্রান্ত হয়। তাই এই দুই ধরনের রোগের লক্ষণও কিছুটা আলাদা দেখা যায়।
ব্যাসিলারি আমাশয়ের লক্ষণ
এ আমাশয়ের লক্ষণ গুলো হল :
* মলের সাথে মিউকাস বের হয়।
* পেটে ব্যথা হয়।
* মলের সাথে রক্ত বের হয়।
* বমি বমি ভাব এবং বমি হয়।
* রোগীর জ্বর হয়।
* রোগীর ওজন কমে যায়।
* সারাদিন ক্লান্ত লাগতে থাকে।
* পেট ফাঁপা হয়ে থাকে যার ফলে কোন কিছু খেতে মন চায় না।
* তলপেটে ব্যথা হয়।
অ্যামিবিক আমাশয়ের লক্ষণ
এ আমাশয়ের লক্ষণ গুলো হল :
*রোগীর বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া।
*রোগীর তলপেটে ব্যথা থাকে ।
*রক্ত মিশ্রিত পাতলা পায়খানা হয়।
*পেট ফাঁপা হয়ে থাকে।
এ রোগের লক্ষণ ১-৩ দিনের মধ্যে প্রকাশ পেয়ে ৫ -৭ দিনের মতো থাকে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত লক্ষণগুলো থাকতে পারে। এ রোগ হলে সঠিক চিকিৎসা না নিলে রোগ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তবে সর্তক থাকলে আক্রান্ত রোগী দ্রুত সুস্থ্য হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
প্রতিকারঃ এই দুই ধরনের আমাশয় হলে খাওয়ার স্যালাইন খেতে হবে। রোগীর শরীর ক্লান্ত থাকার কারণে এ সময় যথেষ্ট পরিমাণ বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন। স্যালাইনের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার; যেমন – বিশুদ্ধ ঠাণ্ডা পানি, ডাবের পানি, চিনির শরবত, ফলের রস খেতে হবে। অতিরিক্ত পাতলা পায়খানা হতে থাকলে অবহেলা না করে দ্রুত নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করতে হবে।
আমাশয় রোগের কার্যকরী চিকিৎসা
যেহেতু আমাশয় রোগ ২ ধরনের। তাই ২ ধরনের রোগের জন্য ২ ধরনের চিকিৎসা রয়েছে। যেহেতু ডাক্তাররা আমাশয় রোগের লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে জানে, তাই ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নির্ধারণ করবেন রোগীর জন্য কোন ধরনের চিকিৎসা উপযুক্ত।
ব্যাসিলারি আমাশয়ের জন্য চিকিৎসা
মূলত শিগেলা ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ব্যাসিলারি আমাশয় হয়। কিছু নিয়ম মেনে চললে ৩-৭ দিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যাবে ব্যাসিলারি আমাশয়। চলুন নিয়ম গুলো সম্পর্কে জানা যাক:
১) এই রোগের সবচেয়ে বড় ওষুধ হচ্ছে স্যালাইন যুক্ত পানি। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। যতবারই মলত্যাগ করবে এরপর স্যালাইন খেতে হবে।
২) স্যালাইন ছাড়াও ডাবের পানি, চিনির শরবত, বিশুদ্ধ পানি, ফলের জুস ইত্যাদিও প্রচুর পরিমাণে পান করতে হবে।
উপরোক্ত নিয়ম মেনে চললে সাধারণত ৩-৭ দিনের মধ্যে আমাশয় ভালো হয়ে যায়। কিন্তু তিন দিনের মধ্যে যদি আমাশয় ভালো না হয় তাহলে অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
অ্যামিবিক আমাশয়ের জন্য চিকিৎসা:
এই আমাশয়ের জন্য সাধারনত ঔষধের প্রয়োজন পড়ে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হয়। ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে ডাক্তারের দেওয়া ঔষুধগুলো ঠিকমতো নিয়ম করে সাত দিন সেবন করলেই এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
জাদুকরী ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে আমাশয় রোগ থেকে মুক্তি সম্ভব। কিছু ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে ৩-৭ দিনের মধ্যেই এ রোগ থেকে মুক্তি সম্ভব। চলুন তাহলে আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জানা যাক:
১) পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া: এ রোগের কারণে ঘন ঘন মলত্যাগ হয়, যার জন্য স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে। এই জন্য উচ্চ পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরী। তাই বেশি বেশি সবুজ শাকসবজি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এই রোগীদের জন্য জনপ্রিয় একটি ডায়েট সিস্টেম হচ্ছে Banana, Rice, Apple sauce, Toast। এই নিয়মে আপনাকে কলা, ভাত, আপেল সস এবং টোস্ট খেতে হবে। এই খাবারগুলোতে আছে পটাশিয়াম ও পেকটিন। যা আমাশয় রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
২) প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন: আমাশয় রোগের প্রধান লক্ষণ হলো পাতলা পায়খানা হওয়া। দিনে অধিক পরিমাণে পাতলা পায়খানা হতে পারে। যার ফলে শরীর থেকে অনেক পানি বের হয়ে যায়। আমাদের শরীরের কার্যক্রমের জন্য পানির প্রয়োজন। তাই পানির অভাব পূরণের জন্য আমাশয় হলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
৩) পানীয় পান করুন: পানি আর স্যালাইন যথেষ্ট নয়। এর পাশাপাশি ডাবের পানি, ফলের রস, চিনির শরবত ইত্যাদি পান করুন।
৪) প্রোবায়োটিক যুক্ত খাবার খান: প্রোবায়োটিক হচ্ছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনুজীব, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। সাধারণত দইতে এই ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়। তাই আমাশয় হলে দই খেতে পারেন।
৫) মেথি: মেথি এই রোগের জন্য বেশ উপকারী। এক গ্লাস বাটার মিল্কের সাথে এক চা চামচ মেথি গুঁড়া মিশিয়ে নিন এবং দিনে দুইবার খেলে উপকার পাবেন।
৬) হরিতকি: এটি একটি ঔষধি গুণসম্পন্ন উপকারী গাছ। আমাশয় রোগের জন্য হরিতকি বেশ উপকারী। আমাদের দেশে এক সময়ে এ গাছ অনেক পাওয়া গেলেও এখন বিলুপ্তপ্রায়। এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে এক চা চামচ হরিতকির পাউডার মিশিয়ে খান। এতে বেশ উপকার পাবেন।
৭) লেবু: লেবুতে আছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা আমাশয় দূর করতে সহায়তা করে। তাই প্রতিদিন লেবুর শরবত খেতে হবে।
৮) রসুন: আমাশয় রোগের কারণে যে পেটে ব্যথা হয় তা দূর করতে রসুন খুবই কার্যকরী। এর জন্য এক চা চামচ সরিষার তেলের সাথে ২-৩ কোয়া রসুন ভেজে ওই তেল পেটে মালিশ করতে হবে ।
রক্ত আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত
নিয়ম করে কিছু খাবার খেলে খুব দ্রুত এ রোগ ভালো হয়ে যায়। রক্ত আমাশয় হলে যে সকল খাবার খেলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব তা হল:
১) ভাত: এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে ভাত খেতে হবে। কারণ ভাতে আছে প্রচুর পরিমাণে স্টার্স।
২) কলা: আমাশয় রোগীদের জন্য কলা বেশ উপকারী। তাই এ রোগ হলে কলা খেতে হবে।
৩) টোস্ট: লো ফাইবার থাকায় টোস্ট আমাশয় রোগীদের জন্য খুব উপকারী। তাই আমাশয় হলে টোস্ট খেতে হবে।
৪) আপেল: আমাশয় রোগীদের জন্য আপেল বেশ উপকারি খাবার। এই রোগ হলে বেশি বেশি আপেল খান।
৫) সবুজ শাকসবজি: এ রোগ হলে সিদ্ধ করে সবুজ শাকসবজি খেতে পারেন।
৬) লেবু: লেবুতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা আমাশয় রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। তাই এ রোগ হলে প্রচুর পরিমাণে লেবু খাবেন।
৭) গাজর: গাজরে আছে ভিটামিন ‘এ’, যা শরীরের জন্য বেশ উপকারী। তাই এ রোগ হলে বেশি বেশি গাজর খাবেন।
আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত নয়
নিয়ম করে কিছু খাবার খাওয়ার ফলে যেমন আমাশয় রোগ ভালো হয়, ঠিক তেমনি কিছু খাবার বর্জন করতে হবে এই রোগ হলে। খাবারগুলো হচ্ছে:
বাদাম, কাঁচা শাকসবজি, চর্বিযুক্ত মাংস, প্যাকেটজাত খাবার, দুধ, উচ্চ আঁশ বা ফাইবারযুক্ত খাবার, ভাজাপোড়া খাবার, ঝাল মসলাযুক্ত খাবার, অ্যালকোহল, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি, কফি ইত্যাদি খাবার আমাশয় হলে খাওয়া উচিত নয়।
বাচ্চাদের আমাশয় হয় হলে করণীয় ও বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত
সাধারণত বড়দের যেসব কারণে আমাশয় হয়ে থাকে শিশুদেরও ঠিক সেই কারণে আমাশয় হয়ে থাকে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে পাতলা পায়খানা খুব স্বাভাবিক একটি বিষয়। কিন্তু অতিরিক্ত পাতলা পায়খানা এবং পায়খানার সাথে ঘন ঘন রক্ত পড়া মোটেও স্বাভাবিক নয়। এসব ক্ষেত্রে খুব তাড়াতাড়ি ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষুধ খাওয়াবেন। শিশুদের ক্ষেত্রে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, ওরা না বুঝে অপরিষ্কার হাত বা অপরিষ্কার যে কোন জিনিস মুখে দিয়ে থাকে। যার ফলে খুব সহজেই আমাশয় হয়। চলুন জেনে নেই শিশুদের আমাশয় হলে করণীয় হিসেবে আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা :
১) কোনভাবেই বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করবেন না। এক্ষেত্রে শিশুর পানিশূন্যতা দেখা দিবে। তাই বুকের দুধ খাওয়াবেন।
২) শিশুকে বেশি বেশি স্যালাইন খাওয়াবেন।
৩) পর্যাপ্ত ঘুমের ব্যবস্থা করে দিন।
৪) এবং খুব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আমাশয় রোগের ট্যাবলেট খাওয়ান।
পরিশেষে, আমাশয় রোগ হলে ভীত হবেন না। আমাশয় রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই এই রোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে পারবেন। উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা করুন এ থেকেই দেখবেন ভালো হয়ে গেছে এবং কোন ঔষধ খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। তাছাড়া আমাশয় রোধে সব সময় সর্বক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। বাসি পচা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন এবং সব সময় বিশুদ্ধ পানি পান করার চেষ্টা করবেন। বসবাসের উপযুক্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বসবাস করবেন।
Leave a Reply