সঠিক সঙ্গী বেছে নেওয়া জীবনের জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সঠিক জীবনসঙ্গী বাছাই করা বা খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। সেক্ষেত্রে আপনি যদি সেই মানুষটিকে ইতোমধ্যে পেয়ে যান, তাহলে বলতে হবে আপনি অনেক ভাগ্যবান।
আপনি কি পেয়েছেন সেই মানুষটির দেখা? পেয়ে থাকলে কমেন্টে তার ব্যাপারে জানাতে পারেন আমাদেরকে।
আর যারা এখনো জীবনসঙ্গীকে খুঁজে যাচ্ছেন তাদের জন্য আমাদের আজকের আলোচনা। কেমন সঙ্গী আপনার জন্যে পারফেক্ট, এটি জানতে আপনাকে কেবল ১০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নে চারটি করে অপশন থাকবে। প্রতিটি অপশনের জন্য থাকবে আলাদা আলাদা মার্কস।
একেকটি প্রশ্নের উত্তর করার জন্যে সর্বোচ্চ পাঁচ সেকেন্ড করে সময় পাবেন। ১০টি প্রশ্নের উত্তর থেকে পাওয়া মোট মার্কস থেকে জেনে নিতে পারবেন কেমন সঙ্গী আপনার প্রয়োজন।
তবে আর দেরী কেন? চলুন শুরু করা যাক। আর কত স্ক্রোর করলেন, তা কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু।
সঠিক জীবনসঙ্গী বাছাই – জেনে নিন কিছু টেকনিক
জীবন সঙ্গী কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে সবাই নিজেদের মাঝে একটা ছক এঁকে রাখেন। সঠিক জীবনসঙ্গী চেনার উপায় নিয়ে নিচে কিছু বিষয় তুলে ধরা হলঃ
প্রশ্ন ০১. আমরা সবাই সঙ্গীর মধ্যে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য চাই। এই বিশেষ বৈশিষ্ট্য হিসেবে জীবন সঙ্গীর মধ্যে কোন ধরণের প্রতিভা আপনি দেখতে চান?
ক) আপনার প্রতি তার প্রবল ভালোবাসা ও যত্ন নেওয়ার মনোভাব থাকতে হবে।
খ) বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে আপনাকে সাহায্য করার সামর্থ্য থাকতে হবে।
গ) তাকে সৃজনশীল প্রতিভার অধিকারী হতে হবে। যেমনঃ গান গাওয়া, কবিতা আবৃত্তি কিংবা ছবি আঁকার মত সৃজনশীল কাজে তার অংশগ্রহণ থাকতে হবে।
ঘ) তাকে বিদেশি কোন ভাষায় দক্ষ হতে হবে এবং সাথে সাথে রসরোধের ব্যাপারে তার যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে।
নম্বরঃ
ক) ৩০
খ) ২০
গ) ৪০
ঘ) ১০
প্রশ্ন ০২. সঙ্গীর সাথে কোন কাজটি করতে আপনি সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?
ক) সঙ্গীকে পরিবারের সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে, সঙ্গী ও পরিবারের মানুষকে নিয়ে একসাথে সময় কাটানো।
খ) সামাজিক বিভিন্ন কাজে দুজন একসাথে অংশগ্রহণ করা।
গ) সঙ্গীকে নিয়ে বিভিন্ন ধরণের অ্যাডভেঞ্চারে অংশ নেওয়া। যেমনঃ স্কাই ড্রাইভিং, বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করা ইত্যাদি।
ঘ) সঙ্গীকে নিয়ে একান্ত কিছু মধুর সময় পার করা। যেমনঃ একসাথে সূর্যাস্ত দেখা, নির্জনে হাত ধরে পিচঢালা রাস্তায় হেটে যাওয়া, একসাথে জ্যোৎস্না দেখা ইত্যাদি।
নম্বরঃ
ক) ৩০
খ) ২০
গ) ১০
ঘ) ৪০
প্রশ্ন ০৩. ধরুন, দুজনের একসাথে সিনেমা দেখার সুযোগ হলো। তার উপর প্রভাব ফেলবে এমন একটি সিনেমা তাকে দেখাতে চান। তাহলে কোন সিনেমাটি আপনি তাকে দেখাবেন?
ক) মনপুরা কিংবা এই ধরণের কোন রোমান্টিক সিনেমা
খ) সত্যজিৎ রায়ের “অপরাজিত” কিংবা পুরোনো কোন ক্লাসিক সিনেমা
গ) ঢাকা অ্যাটাক কিংবা কোন অ্যাকশন সিনেমা
ঘ) মনের মানুষ কিংবা কোন বায়োগ্রাফি সিনেমা
নম্বরঃ
ক) ৩০
খ) ৪০
গ) ১০
ঘ) ২০
প্রশ্ন ০৪. আমাদের সবার জীবনের উত্থান-পতন থাকে। আপনার দুর্সময়ের কথাগুলো যখন আপনি তার সাথে ভাগাভাগি করছেন, তখন তার থেকে কেমন প্রতিক্রিয়া আশা করেন?
ক) সে আপনার কথাগুলো মাথা নাড়িয়ে নাড়িয়ে শুনবে। তারপর আপনাকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিবে।
খ) সমস্যা শোনা মাত্রই সমাধানের জন্যে আপনাকে অসাধারণ কোন পরিকল্পনা দিবে।
গ) আপনাকে খুশি করতে একটা গান শোনাবে কিংবা কোন কবিতা শোনাবে।
ঘ) আপনার সমস্যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করবে। তারপর একটি গঠনগত ও বাস্তবসম্মত সমাধান দিবে।
নম্বরঃ
ক) ৩০
খ) ১০
গ) ৪০
ঘ) ২০
প্রশ্ন ০৫. সঙ্গীর জন্য কোন বিষয়টিতে আপনি আপোস করতে পারবেন?
ক) পৃথিবীর যেকোন স্থানে ভ্রমণ করা বিরত থাকা।
খ) নিজের ক্যারিয়ারের লক্ষ্যকে পরিবর্তন করা।
গ) নিজের শিল্প চেতনা কিংবা চিন্তা-ভাবনাকে পরিবর্তন করা।
ঘ) অথবা আপনি সঙ্গীর জন্য কোন বিষয়েই আপস করতে পারবেন না।
নম্বরঃ
ক) ১০
খ) ২০
গ) ৪০
ঘ) ৩০
সঙ্গীর কোন কারণে আপস করার কারণ থাকলেও এই খেলায় আপস করার কোন কারণ হয়ত নেই। তাহলে চলুন এগিয়ে যাওয়া যাক।
প্রশ্ন ০৬. সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনার ভূমিকা চিন্তা-ভাবনা করে আপনার সঙ্গীর বন্ধু-বান্ধব আপনাকে বিভিন্ন ডাকনাম দিতে পারে। তাহলে কোন ধরণের নামটি আপনার কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য হবে?
ক) বাকের ভাই।
খ) মজনু।
গ) বোমকেশ বক্সী।
ঘ) হিমু।
নম্বরঃ
ক) ৩০
খ) ৪০
গ) ২০
ঘ) ১০
প্রশ্ন ৭. সঙ্গীর কাছে থেকে কোন বক্তব্য শোনার পরে তা আপনার মন ভাঙার কারণ হতে পারে?
ক) “টাকা পৃথিবীর সবচেয়ে দামী জিনিস”।
খ) “সারাজীবন তোমার সাথে কাটাতে আমি এখনই প্রস্তুত নই”।
গ) “এখন আমাদের সম্পর্কের একটা স্থায়ী অবস্থা প্রয়োজন এবং তোমাকে আরো বেশি গুরুত্বের সাথে বিষয়টি দেখা উচিৎ”।
ঘ) “তুমি কোন অবস্থার মধ্যে আছো এটা আমার কাছে কোন বিষয় না। কারণ আমিও বাজে সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি’।
নম্বরঃ
ক) ২০
খ) ৩০
গ) ১০
ঘ) ৪০
প্রশ্ন ০৮. ধরুন, আপনি আপনার সঙ্গীকে খুঁজে পেলেন। এরপর আপনার বন্ধুরা আপনাকে একটিমাত্র Emoji দিয়ে আপনার সম্পর্ককে বর্ণণা করতে বলল। তখন আপনি কোন Emoji টি বেছে নেবেন?
ক) Two Hearts
খ) Fireworks
গ) Heart Eyes
ঘ) Romantic Sunset
নম্বরঃ
ক) ৩০
খ) ১০
গ) ২০
ঘ) ৪০
প্রশ্ন ০৯. মনে করুন, আপনাদের সম্পর্ক শেষমেশ একটি পরিণতি পেল। তারপর আপনাদের হানিমুন হিসেবে আপনি কোনটিকে বেছে নিবেন?
ক) কোন স্থানে কিংবা পাহাড়ে ট্রেকিং
খ) ডিজনি ওয়ার্ল্ডের মত মজাদার কোন স্থানে ভ্রমণ
গ) সমুদ্রভ্রমণ
ঘ) ইউরোপের জাদুঘর কিংবা ঐতিহ্যবাহী কোন স্থানে ভ্রমণ।
নম্বরঃ
ক) ১০
খ) ৩০
গ) ২০
ঘ) ৪০
প্রশ্ন ১০. আপনার বিবাহবার্ষিকীতে আপনি কি ধরণের উপহার তার থেকে আশা করেন?
ক) একটা ভিন্ন অনুভূতি তৈরী করে এমন কোন উপহার। যেমনঃ তার তৈরী কোন ছবির অ্যালবাম।
খ) নতুন কোন স্থানে ভ্রমণ করার টিকেট
গ) আপনার পছন্দের কোন খাবার তৈরী করে একসাথে ডিনার করা।
ঘ) দামী কোন উপহার।
নম্বরঃ
ক) ৪০
খ) ১০
গ) ৩০
ঘ) ২০
আপনাকে অভিনন্দন। ১০টি প্রশ্নের উত্তর দেয়া শেষ করেছেন।
এখন নিজের স্কোর মিলিয়ে নেওয়ার সময়।
যদি আপনার স্কোর ১০০ থেকে ১৫০-র মধ্যে হয়, তাহলে আপনি একজন অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষ।
সুতরাং আপনাকে অ্যাডভেঞ্চার দিতে পারবে এমন কোন মানুষকে খুঁজে নিতে হবে। আপনার জীবনে এমন একজনকে প্রয়োজন যার সাথে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন, বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করতে পারবেন, সাধারণের মধ্যে যার মাঝে বিশেষ কিছু খুঁজতে পারবেন এবং যে আপনার কাছে অনেক স্পষ্টবাদী ও স্বতস্ফূর্ত হতে পারবে।
আমরা আশা করি আপনি তেমন কাউকে খুব শীঘ্রই খুঁজে পাবেন।
যদি আপনার স্কোর ১৬০ থেকে ২২০-র মধ্যে হয়, তাহলে আপনি একজন বাস্তববাদী মানুষ।
সুতরাং, বাস্তববাদী কাউকে প্রয়োজন আপনার জীবনে। আপনার সঙ্গী হিসেবে ক্যারিয়ারে সফল এমন কেউ আসা উচিৎ। তাহলে আপনারা দুজন একসাথে ভবিষ্যত পরিকল্পনাগুলো সহজে সাজাতে পারবেন এবং জীবনে লক্ষ্য পূরণ করতে পারবেন। একইসাথে, একজন আরেকজনের কাজ-ব্যস্ততা-পরিকল্পনাকে সম্মান করার মাধ্যমে সম্পর্ককে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।
যারা ২৩০ থেকে ৩০০-র মধ্যে স্কোর করেছেন, তারা পরিবার প্রিয় মানুষ।
বিশ্বস্ত, দৃঢ় মনোবল এবং অন্যের উপকারে এগিয়ে যায় এমন একজন সঙ্গী আপনার একান্ত প্রয়োজন। কেবল এমন একজন মানুষই পারে আপনাকে মূল্য দিতে এবং আপনার বিশ্বাসের মর্যাদা ধরে রাখতে। সুতরাং এমন একটি মানুষের সাথে জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া আপনার জন্য সুখকর হতে পারে।
যদি আপনার স্কোর ৩১০ থেকে ৪০০-র মধ্যে হয়ে থাকে, তাহলে আপনি প্রচন্ড রোমান্টিক একজন মানুষ। তাই আপনার সঙ্গীটিও রোমান্টিক হওয়া উচিৎ বলে মনে হয়। কারণ এমন একজন মানুষের সাথে আপনি জ্যোৎস্না বিলাসে অংশ নিতে পারবেন, রাত জেগে তারা গুনতে পারবেন, নিজের সকল অনুভূতির যথাযথ প্রতিক্রিয়া এবং অনুরূপ অভিব্যক্তিও পেয়ে যেতে পারেন তার কাছ থেকে। এছাড়াও নিজের অনুভূতির প্রশংসা পাবার বিষয় তো আছেই।
সঠিক জীবনসঙ্গী বাছাই কিভাবে করবেন, তা তো জেনে গেলেন। এখন আপনার সাথে মানানসই মানুষটির সম্পর্কে জড়িয়ে যেতে আর দেরী কেন? আপনার ও ভবিষ্যৎ সঙ্গীর জন্যে শুভকামনা রইল।
Leave a Reply