ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন | একজন ‘বলিউড রানী’র গল্প

Published:

Updated:

ঐশ্বরিয়া রায়ের জীবনী

Disclaimer

As an affiliate, we may earn a commission from qualifying purchases. We get commissions for purchases made through links on this website from Amazon and other third parties.

ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, বিশ্বকাঁপানো এক বিশ্বসুন্দরীর নাম। বচ্চন পরিবারের একমাত্র পুত্রবধু তিনি। বর্তমানে স্বামী-সন্তান নিয়েই বেশি ব্যস্ততা তাঁর।

তাই বলে বলিউডে ঐশ্বরিয়ার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়নি। তাঁর সর্বশেষ ছবি ‘ইয়ে দিল হ্যে মুশকিল’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বেশ কিছুদিন আলোচনার শীর্ষে ছিলেন প্রাক্তন এই বিশ্বসুন্দরী।

আজকের এই ঐশ্বরিয়া হয়ে উঠার পিছনে সংগ্রামের কাহিনী কখনোই মসৃণ ছিলনা। অভিযাত্রী ডট কম এর পক্ষ থেকে আজকের আয়োজনে থাকছে হাইস্কুল ছাত্রী ঐশ্বরিয়া রাই এর ‘বলিউডের রানী’ হয়ে উঠার গল্প।

 ঐশ্বরিয়া রায়ের জীবনী

ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের বেড়ে উঠা

১৯৭৩ সালের ১লা নভেম্বর ভারতের কর্ণাকট রাজ্যের মাঙ্গোলোরে জন্ম হয় ‘বলিউডের সম্রাজ্ঞী’ নামে খ্যাত ঐশ্বরিয়া রাইয়ের; ডাকনাম  আ্যাশ। বাবার নাম কৃষ্ণ রাজ রাই এবং মায়ের নাম ব্রিন্দা রাই। দুই ভাই বোনের মধ্যে আ্যাশ ছোট। একমাত্র বড় ভাই আদিত্য রাই সেনাবাহিনীতে আছেন।

ছোটবেলায় ঐশ্বরিয়ার বাবা-মা চলে আসেন মুম্বাই শহরে। ছোটবেলা থেকেই পড়ালেখায় বেশ মনোযোগী ছিলেন সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী। বিশেষ করে গণিতে তাঁর পান্ডিত্য ছিল চোখে পড়ার মতো।

ছোটবেলায় স্থপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। সেই লক্ষ্যেই আগাচ্ছিলেন সামনের দিকে। কিন্তু কলেজের গণ্ডি পেরোনোর সৌভাগ্য তাঁর হয় নি। স্থপতি হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে রচনা সান্সাদ একাডেমি অফ আর্কিটেকচারে ভর্তি হলেও মডেলিং এর জন্য পড়াশোনার ইতি টানেন।

কলেজে পড়াকালীন সময়ে প্রচুর মডেলিং ও সিনেমায় কাজের অফার পান। তাই পড়ালেখা ছেড়ে মিডিয়ায় কাজ করতে দুইবার ভাবতে হয়নি তাঁকে।

কিশোরী ঐশ্বরিয়া রাই

কিশোর বয়য়ে টানা পাঁচ বছর ধরে শাস্ত্রীয় নৃত্য এবং সংগীত চর্চা করতেন ঐশ্বরিয়া। তবে ক্যামেরার সামনে ঐশ্বরিয়া অনেক আগেই দাঁড়িয়েছেন। ক্লাস নাইনে পড়াকালীন সময়ে ‘Cameline’ পেন্সিলের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মডেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল ঐশ্বরিয়ার।

এরপর ১৯৯৩ সালে আমির খানের সাথে পেপসির বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে লাইমলাইটে আসেন। তাঁর কাজের দক্ষতার জন্য  CASIO, Phillips, Pamolive এর মতো নামিদামী কোম্পানি তাকে তাঁদের ব্র‍্যান্ড এম্বাসেডর করে।

 ঐশ্বরিয়া রায়ের জীবনী

 

‘বিশ্ব সুন্দরী’ ঐশ্বরিয়া রাই

বর্তমানে ঐশ্বরিয়া LUX, LOREAL, Diamond এর মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলোর ব্র‍্যান্ড এম্বাসেডর। ১৯৯৪ সালে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ‘বিশ্ব সুন্দরী’ নির্বাচিত হন ঐশ্বরিয়া রাই।

এভাবেই শুরু হয় তাঁর ‘বলিউডের রানী’ হওয়ার যাত্রা। এরই মধ্যে বিখ্যাত অভিনেত্রীদের নজরে আসেন তিনি। বলিউডের আরেক চিরতরুণী নায়িকা রেখা ম্যাডাম এক অনুষ্ঠানে নিজে থেকেই ঐশ্বরিয়ার সাথে আলাপচারিতার শুরু করেন। ঐশ্বরিয়ার কাঁধে হাত রেখে আশীর্বাদ করেন তিনি।

তাঁর এই আশীর্বাদ বিফলে যায়নি। বিশ্বের কোটি ভক্তের প্রিয় ঐশ্বরিয়ার সিনেমার ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৯৭ সালে মনি রত্নানের তামিল ছবি ‘ইরুভার’ এর মধ্য দিয়ে।  

একই বছরে তিনি তার ক্যারিয়ারে প্রথম বলিউড ছবি ‘অওর প্যেয়ার হো গায়া’ তে ববি দেওলের বিপরীতে অভিনয় করেন। ১৯৯৮ সালে আবারও তামিল ছবি ‘জিন্স’ এ দেখা যায় ঐশ্বরিয়াকে। এই ছবি তাকে যথেষ্ট খ্যাতি এনে দিয়েছিল।

বলিউডে ঐশ্বরিয়ার প্রথম সফল ছবি ছিল ১৯৯৯ সালে সালমান খান ও অজয় দেবগান এর বিপরীতে ‘হাম দিল দে চুকে সানাম’। এ ছবির বিশেষত নৃত্য ও বিপরীতধর্মী অভিনয়ের জন্য ঐশ্বরিয়া ব্যাপক প্রশংসা কুড়ান।

 ঐশ্বরিয়া রায়ের জীবনী

 

বলিউডের বাইরে ঐশ্বরিয়া রাই 

এরপর আস্তে আস্তে তামিল, হিন্দি অল্পকয়েক বাংলা ছবিতে অভিনয় করে সফলতার সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে থাকেন। হলিউডেও ঐশ্বরিয়া বেশ প্রিয় মুখ হিসেবে পরিচিত। তাঁর অভিনয় দক্ষতা বলিউডের আর দশটা নায়িকার থেকে তাঁকে আলাদা করেছে।  

পরিচালকদের কাছে ঐতিহাসিক চরিত্রের জন্য প্রথম পছন্দ ঐশ্বরিয়া। ‘যোধা আকবর’ এবং ‘উমরাও জান’ এর মতো ব্যবসা সফল ছবির জন্য ঐশ্বরিয়া বেশ প্রশংসনীয় হয়েছিলেন। ‘ধুম ২’ ছবিতে অনন্য উপস্থাপনার জন্য অনেক বার তিনি স্টাইল আইকনের তকমাও পেয়েছেন।

সালমান খান এবং ঐশ্বরিয়া রাইয়ের প্রেম কাহিনী 

বলিউড তারকাদের প্রেম ভালোবাসা নিয়ে বিভিন্ন খবর প্রায় সময়ই শোনা যায় । ঐশ্বরিয়া রাইয়ের জীবনেও ছিল কিছু এমন ঘটনা।

সালটা ছিল ২০০২ সাল। ইতিমধ্যে বলিউডের জনপ্রিয় জুটি সালমান খান-ঐশ্বরিয়া রাইয়ের ব্রেক- আপ হয়েছে। বিচ্ছেদের পর রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে ঐশ্বরিয়া জানায়, সালমানের সাথে তাঁর আর কোনো সম্পর্ক নাই।  

সালমান যেভাবে তার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালিয়েছে, বিচ্ছেদের মাধ্যমে তাঁর থেকে মুক্তি পেলেন তিনি। বলিউডের সব তারকাদের সাথেই তাঁর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তবুও অযথাই সব বিষয়ে সন্দেহ করতেন সালমান।

যার কারণেই মূলত এ শান্তির  সূত্রপাত ঘটে তাদের। ঘটনাক্রমে একদিন ছবির সেটে ঐশ্বরিয়ার গায়ে হাত তোলেন সালমান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে বিচ্ছেদের পথ বেছেন নেন ঐশ্বরিয়া।

 ঐশ্বরিয়া রায়ের জীবনী

এ ব্যাপারে সালমান খান ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ঐশ্বরিয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। সেদিন শুটিং স্পটে তিনি শুধু পরিচালকের গায়ে হাত তুলেছিলেন। পরবর্তীতে এর জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি। ঐশ্বরিয়া সালমানের এসব কথায় আর পাত্তা দেননি।

ঐশ্বরিয়া জানান, আত্মমসম্মান তাঁর কাছে অনেক বড় ব্যাপার। সালমানের সাথে তাঁর সম্পর্ককে এক ‘দুঃস্বপ্ন’ বলে মনে করেন তিনি।  শোনা যায় ২০০৪ সালে বিবেক আবরপ্য’র সাথে আবারও প্রেমে জড়ান ঐশ্বরিয়া।

সালমান খানের সাথে ছড়াছড়ি 

শেষমেশ সব অতীতকে পিছনে ছাপিয়ে ২০০৭ সালের ২০শে এপ্রিল বলিউডের আরেক অভিনেতা অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করেন ঐশ্বরিয়া। কিন্তু তাঁদের এই প্রেম পর্ব শুরু হয়েছিল আরো আগেই।

২০০৬ সালে ‘উমরাও জান’ ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন অভিষেক-ঐশ্বরিয়া। মূলত ছবির শুটিংয়ের সময় ঐশ্বরিয়ায় মুগ্ধ হয়েছিলেন অভিষেক।

রপর ২০০৭ সালের জানুয়ারীতে প্রিয়তমাকে মনের কথা জানান অভিষেক। ঐশ্বরিয়ার কাছ থেকে ইতিবাচক  সাড়া পেয়ে বেশিদিন লুকোচুরি করেননি তারা। ফেব্রুয়ারিতে অর্থাৎ পরের মাসেই অভিষেক বচ্চন মিডিয়ায় তাদের প্রণয়ের কথা স্বীকার করেন।

 ঐশ্বরিয়া রায়ের জীবনী

এর কিছুদিন পরই হিন্দু  রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে তারা বিবাহিত জীবনে পা রাখেন। বিয়ের পর ঐশ্বরিয়ার নামের সাথে বচ্চন যুক্ত হয়।  

ঐশ্বরিয়া তাঁর স্বামী, শ্বশুরবাড়ির সাথে নিজেকে মানিয়ে গুছিয়ে নিতে বলিউড থেকে অল্পকিছুদিনের বিরতি নেন। এরপর ২০১১ সালে অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার প্রথম মেয়ে সন্তান আরাধ্য বচ্চনের জন্ম হয়। এরপর মেয়েকে সময় দিতে ঐশ্বরিয়া আবারও মিডিয়া থেকে দূরে চলে যান।

অভিষেকের সাথে দাম্পত্য জীবন 

বলিউডের তারকাদের মধ্যে সুখী দাম্পত্যের উদাহরণ কমই আছে। পরকীয়া, মনের অমিল কিংবা আরো নানান তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে প্রায়ই বিচ্ছেদের ঘটনা নতুন নয়।

কিন্তু এইক্ষেত্রে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন অভিষেক-ঐশ্বরিয়া জুটি। বলিউডের অন্যতম সুখী দম্পতি হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছেন। পারস্পারিক সম্মানবোধ, বিশ্বাস এবং ভালোবাসায় এগিয়ে চলছে তাদের সুখী দাম্পত্য জীবন।

এখানে একটা কিন্তু থেকেই যায়। জীবনে সুখের সাথে দুঃখ আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকে সেটা তো সবারই জানা। ঐশ্বরিয়া অভিনীত ছবিতে সহ অভিনেতার সাথে তাঁর অন্তরঙ্গ মূহুর্তের দৃশ্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেনে নিতে পারেনি।

সেইজন্যই শ্বশুরবাড়ির সাথে ঝগড়াবিবাদের গুঞ্জন শোনা যায় মাঝেমাঝেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন আ্যাশ। তবে লোকজনের ভয়ে বচ্চন পরিবার পারিবারিক ডাক্তার দিয়ে বাড়িতেই  পুত্রবধুর চিকিৎসা করান বলে জানিয়েছেন সেই ডাক্তার।

এদিকে মেয়ে আরাধ্যকে ঘিরে অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার নতুন কহল সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয় এক গণ মাধ্যম থেকে জানা যায়, অভিষেক চান মেয়ে আরাধ্য শিশুশিল্পীহিসেবে এখন থেকেই বলিউডে অভিনয় করুক কিন্তু ঐশ্বরিয়া চান আরাধ্য বড় হওয়ার পর তার ইচ্ছামত ক্যারিয়ার বেছে নিবে সে।

তবে দুঃখ-আনন্দের মাঝে এখন পর্যন্ত বলিউডের অন্যতম পারফেক্ট দাম্পত্যের উদাহরণ অভিষেক-আ্যাশ।

ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সাথে ইমরান হাসমির রেষারেষি

ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সাথে ইমরান হাসমির রেষারেষির গুঞ্জন অনেক পুরোনো। বলিউডের ‘কিসিং কি’ ইমরান হাসমি ‘ Raaz Reboot’ এর প্রমোশনের সময় বলিউড ডিভা ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সাথে দ্বন্দ্বের রাজ খোলেন তিনি।

ইমরান জানান, বছর দুয়েক আগে আ্যাশের  সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছিলেন তার জন্য তিনি ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত। এখন প্রশ্ন হলো, কি এমন হয়েছিল আ্যাশের সাথে?

ক ইংরেজী দৈনিকে প্রকাশিত খবরানুযায়ী জানা গেছে যে, দুই বছর আগে ‘cofee With karan’ এর শো’তে ইমরান ঐশ্বরিয়াকে ‘প্লাস্টিক’ বলে সম্বোধন করেন।

তখন থেকেই গোপনে তাদের নীরব ঝগড়া চলে আসছে। ইমরান হাসমি তাঁর সম্পর্কে এমন মন্তব্য করায়  আ্যাশ বিরক্ত হলেও এ ব্যাপারে তিনি কোনো পাল্টা মন্তব্য করেননি। পরবর্তীতে ইমরান নিজেই তার এরূপ আচরণের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।


প্রিয়াংকা চোপড়ার সাথেও তেমন ভালো সম্পর্ক নেই  আ্যাশের। রোহান সিপ্পির ‘ব্লাফ মাস্টার’ এ ঐশ্বরিয়ার চরিত্র কেড়ে নেয় প্রিয়াঙ্কা। এই ঘটনার পর থেকেই দুজনার দূরত্বের শুরু। ওই সিনেমায় প্রিয়াংকার বিপরীতে অভিনয় করেন অভিষেক বচ্চন।


শিল্প, সাহিত্য বা সংস্কৃতিতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে  ফ্রান্সের অন্যতম সম্মানসূচক ‘লিজিয়ন অফ অনার’ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়েছে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনকে।

এশিয়ার অভিনেত্রীদের মধ্যে ঐশ্বরিয়াই প্রথম যিনি এই সম্মাননা পেলেন। ফিল্মফেয়ার ফেস্টিভেলে দুইবার ‘সেরা অভিনেত্রী’র পুরষ্কার পান তিনি। একটি ‘হাম দিল দে চুকে সানাম(১৯৯৯) এবং অন্যটি দেবদাস(২০০২) এর জন্য।  

এছাড়া ঐশ্বরিয়া ‘মোহাব্বাতে’ এর জন্য সেরা ‘সহকারী অভিনেত্রী’র পুরষ্কার পান ফিল্মফেয়ার থেকে। ২০০৯ সালে শিল্পে অবদানের জন্য ভারত সরকার তাকে ‘পদ্মশ্রী’ পুরষ্কার দিয়েছে।

 ঐশ্বরিয়া রায়ের জীবনী

 

সামাজিক কর্মকান্ডে ঐশ্বরিয়া রাই  

জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নারী ও শিশুর স্বাস্থ্য সচেতনতা প্রসারে জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মসূচিতে কাজ করেন। জাতিসংঘের ৬৭ তম সাধারণ  অধিবেধনে এইচ আইভি এইডস এর আন্তর্জাতিক শুভেচ্চাদূতের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

ভারতীয় নায়িকাদের মধ্যে একমাত্র ঐশ্বরিয়ার মোমের মূর্তি লন্ডনের মাদাম তুসো মিউজিয়ামে আছে।

এ তো গেল অফিসিয়াল পরিচয় পর্ব। ব্যক্তি ঐশ্বরিয়া রাই কেমন সে ব্যাপারে নিশ্চই আগ্রহ জন্মাচ্ছে? ৪৩ তম জন্মদিনে ঐশ্বরিয়া ভারতীয় গণ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান’ স্বামী অভিষেক, মেয়ে আরাধ্য এবং শাশুড়ি জয়া বচ্চনকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন।

প্রিয়জনের সাথে অবসর সময় কাটাতে পছন্দ করেন। অনেকেই হয়ত জানেনা যে ঐশ্বরিয়া ভালো অভিনেত্রীর পাশাপাশি একজন ভালো গায়িকাও।  

 ঐশ্বরিয়া রায়ের জীবনী

মেয়ে আরাধ্য এবং স্বামী অভিষেক বচ্চনকে প্রায়ই গান গেয়ে শোনান তিনি। কেনাকাটা খুব পছন্দ করেন। বিদেশে ঘুরতে গেলে বচ্চন পরিবারের জন্য কিছু না কিছু কিনে নিয়ে আসেন।

সম্প্রতি এক খবরে জানা গেছে, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন মরণোত্তর নিজের চোখ দান করেছেন। কিন্তু কাকে?

যে চোখে থেমে যায় গোটা পৃথিবী, পলক পড়লেই দিন হয়ে যায় রাত এমন মোহনীয় চোখের অধিকারী পৃথিবীতে হাতে গোনা কয়েকজন। তাদের মধ্যেই একজন হলেন বলিউডের ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।

ঐশ্বরিয়ার চোখের আকর্ষণীয় চাহনি, রংয়ে ভিন্নতা, চোখের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি, চোখের ভাষায় কোটি ভক্তের জীবন আটকে গেছে। এই চোখ জোড়া একবার নয়,বহুবার সিনেমা দর্শকদের মন কেড়েছে।

‘আই এসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া’কে নিজের চোখ দান করেছেন বলিউড ডিভা ঐশ্বরিয়া। দানের প্রসঙ্গ যখন এলো তখন এটাও জেনে রাখা ভালো বলিউডের দানবতীদের মধ্যে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন অন্যতম। নিজের একটা চ্যারিটি ফাউন্ডেশনও রয়েছে তাঁর।

ঐশ্বরিয়ার রাইয়ের জীবনের মজার একটা ঘটনার মাধ্যমে আজকের পর্ব শেষ করা যাক। আপনারা কি জানেন ঐশ্বরিয়া রাইয়ের প্রথম বিবাহ একটি গাছের সাথে হয়েছিল?

বিশ্বাস কর‍তে কষ্ট হচ্ছে হয়ত।  সনাতন হিন্দু মতে, যেসব মেয়েরা মাঙ্গোলিক হয় অর্থাৎ বিয়ের পরই যাদের স্বামী মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাদের প্রথমে গাছের সাথে বিবাহ দিয়ে সেই গাছ কেটে ফেলা হয়। এতে সেই মেয়ের স্বামীর উপর থেকে অভিষাপ দূর হয়। ঐশ্বরিয়া রাই একজন মাঙ্গোলিক ছিলেন বলে জানা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Latest Posts

  • সর্দি থেকে মুক্তির উপায়, নাকের এলার্জি দূর করার উপায় | দ্রুত উপশম পেতে ঘরোয়া চিকিৎসা

    সর্দি থেকে মুক্তির উপায়, নাকের এলার্জি দূর করার উপায় | দ্রুত উপশম পেতে ঘরোয়া চিকিৎসা

    নাকের এলার্জি হচ্ছে নাকের ঝিল্লি প্রদাহের কারণে নাকের একটি সমস্যা। এটি সারা বিশ্বব্যাপী একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ নাকের এই রোগে আক্রান্ত। নাকের এলার্জি কোন মারাত্মক ক্ষতিকর রোগ না হলেও এ রোগের কারণে দৈনন্দিন জীবন প্রবাহ ব্যাহত হয়। এলার্জিজনিত সর্দি এবং হাঁচি জীবনকে অতিষ্ট করে তোলে। এই রোগে হঠাৎ…

    Read more

  • কফ, কাশি দূর করার উপায় | সঠিক চিকিৎসাই হতে পারে কাশি দূরীকরণের মাধ্যম

    কফ, কাশি দূর করার উপায় | সঠিক চিকিৎসাই হতে পারে কাশি দূরীকরণের মাধ্যম

    গলায় বুকে কফ জমে থাকা বেশ বিরক্তিকর একটি সমস্যা। ঋতু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়। আর আবহাওয়ার এই দ্রুত পরিবর্তন আমাদের শরীর খাপ খাওয়াতে পারে না, যার কারণে সৃষ্টি হয় ঠান্ডা জ্বর ও সর্দি-কাশির। ঠান্ডা সর্দি কাশি এগুলো আমাদের কাছে খুব পরিচিত রোগ হলেও এই ঠান্ডা সর্দি কাশি থেকে আমাদের দেহে অনেক বড় বড় অসুখ…

    Read more

  • ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চার্ট | সুস্থ স্বাভাবিক জীবন

    ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চার্ট | সুস্থ স্বাভাবিক জীবন

    সুস্থ স্বাভাবিক এবং রোগমুক্ত জীবন আমরা কে না চাই। আর এই সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করার একমাত্র উপায় হচ্ছে শারীরিক ওজন ঠিক রাখা। কেননা ওজন বেড়ে গেলে যে কোন রোগের ঝুঁকি ও বেড়ে যায়। এজন্য বাড়তি ওজন অনেকের মানসিক অসুস্থির প্রধান কারণ। তাই রোগ প্রকোপ কমাতে এবং মানসিক শান্তির উদ্দেশ্যে আমাদের সকলের উচিত শারীরিক ওজন…

    Read more