মিডিয়া মডেলে ব্যর্থ কিন্তু জীবন মডেলে সফল সন্দীপ মহেশ্বরীর জীবনী

সন্দীপ মহেশ্বরীরের সফলতা

সন্দীপ মহেশ্বরীর জীবনী

সময়টা ১৯৯৬ সাল। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই চেইন স্মোকার হয়ে পড়ে ছেলেটি। তিনি তখন কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। বন্ধুদের সাথে আড্ডা, জিমে যাওয়া আর স্মোক করা হয়ে পড়ে তার নিত্যদিনের রুটিন।

তবে তার সাথে বন্ধুদের পারিবারিক অবস্থা ছিলো তার তুলনায় অনেক ভালো। সবার বাবা যখন বড় বড় বিজনেসম্যান তখন তার পরিবার এক বিশাল ব্যবসায়িক মন্দায় পড়ে আছে।

আগামীকাল দিনটি কেমন যাবে সে হিসেব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবারের কর্তা। কিন্তু সেসব যেন কোনভাবেই স্পর্শ করছে না ছেলেটিকে।

সিগারেট উপর চলতে থাকা জীবনে একদিন একটু অন্যরকম কিছু ঘটে। এলাকার নির্দিষ্ট পান-বিড়ির দোকানে বসে সিগারেট খাচ্ছেন তিনি ও তার দুজন বেস্ট ফ্রেন্ড।

ইতোমধ্যে তখন তিনি টুয়েলভে উঠে গিয়েছেন, আর সামনে বোর্ড এক্সাম। বোর্ড এক্সাম কেমন হবে কিংবা প্রিপারেশন নিয়ে কথা বাদ দিয়ে তারা এক্সাম পরবর্তী জীবন নিয়ে আলোচনায় বসে পড়লেন।

তার দুজন বন্ধুর মধ্যে একজন নিজের পরিকল্পনা বলা শুরু করলেন। তার বন্ধু বললেন বোর্ড এক্সামে কোন মতে একটা রেজাল্ট করে যেকোন বিষয়ে গ্রাজুয়েশন করবেন আর তারপর বাবার বড় ব্যবসা দেখাশোনা করে বাকী জীবনটা কাটিয়ে দিবেন।

বন্ধুর এমন কথা শুনে তিনি নিজেকে বন্ধুর জায়গায় বসালেন। কিন্তু তিনি তার বন্ধুর মত করে চিন্তা করতে পারলেন না। তার চোখের সামনে ভেসে উঠল অ্যালুমিনিয়ামের ব্যর্থ ব্যবসা করা তার বাবার চেহারা, নিজের ছোটবোনের দায়িত্ব।

সিগারেট খেয়ে খেয়ে যে জীবনটা চলবে না বুঝে গেলেন। সেই উপলন্ধি থেকে সিগারেটকে সেই মুহূর্ত থেকে “গুড বাই” করে দিলেন; ভালো রেজাল্ট করবেন বলে প্রতিজ্ঞা করলেন।

মাত্র ১০ ঘন্টা ৪৫ মিনিটে ১২২ মডেলের ১০ হাজার ছবি তুলে লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা করে নেন।

কিন্তু সময় তো বেশি নেই। তবুও তিনি তো থেমে থাকবেন না। রাতকে দিন করে পড়তে শুরু করলেন। তারপর বোর্ড এক্সামে পেলেন ৮৫% মার্ক। সে সুবাদে নিজের স্কুলের মধ্যে চতুর্থ স্থানটি অর্জন করে নিলেন।

নিজের ঘুরে দাঁড়ানোর এই গল্পে নতুন একটি মন্ত্র পেয়ে গেলেন। আর তা হলো যে কোন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব। নিজের এই আত্মবিশ্বাসটিকে কাজে লাগিয়ে পরবর্তীতে খুললেন ইন্ডিয়ান ইমেজের এক বিরাট স্টক ইমেজ সংকলনের ওয়েবসাইট “ইমেজ বাজার”। আর তার পরের গল্পটাই তাকে তৈরী করল, একজন সন্দীপ মহেশ্বরী। 

নিজেকে ইন্ডিয়ান ইয়ুথের কাজে একজন স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে পরিচিত করে তুললেন। ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের অধিকারী হয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন পুরো বিশ্বকে।

কিন্তু কি ছিলো সেই অনন্য রেকর্ড? আর কেমনই বা ছিলো ক্লাসের ব্যাকবেঞ্চার আর চেইন স্মোকারের ইন্ডিয়ার ইতিহাসে নাম লেখানোর গল্প।

সন্দীপ মহেশ্বরীর দীর্ঘ পথচলার উত্থান-পতনের সেই গল্পটাই আজ আপনাকে জানাবো অভিযাত্রীর পক্ষ হতে। শেষ অব্দি পড়ুন, হয়তো আপনিও ঘুরে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা পাবেন।

সন্দীপ মহেশ্বরীরের সফলতা
সন্দীপ মহেশ্বরী

 

কি ছিলো সেই গল্পটি যা সন্দীপ মহেশ্বরী’কে আজকের জায়গায় নিয়ে এসেছে? 

সময়কাল ১৯৮০। তারিখ সেপ্টেম্বর ২৮। দিল্লির মধ্যবিত্ত পরিবারের শিকলের ভেতর সন্দীপের জন্ম। বাবা রূপ কিশোর মহেশ্বরীর অ্যালুমিনিয়ামের ছোট একটি ব্যবসা দিয়ে চালান চার সদস্যের পরিবার।

সন্দীপের মা শকুনতলা মহেশ্বরী পরিবার সামলান আর পরিবারে আছে সন্দীপের ছোট বোন। অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবসা খুব একটা ভালো চলছিলো না ব্যস্ত দিল্লীতে।

অংশীদারী ব্যবসা থেকে নিজেকে সরিয়ে ফেলেন রূপ কিশোরের পার্টনার। শেষমেষ একা আর সামলাতে পারলেন না। অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেল।

পরিবার চালাতে সন্দীপের বাবা কনভেয়ার বেল্টের বিজনেসে নামলেন। কিন্তু শনির দশ কাটতেই যেন চায় না। সেই শনির দশা তার পরের STD-PCO ব্যবসাতেও চলমান থাকলো।

এইদিকে সন্দীপ ক্লাস টেনে পড়ছেন। মোটামুটি মানের ছাত্র সন্দীপ কলেজে উঠে অসৎ সঙ্গের কবলে পড়ে গেলেন। সিগারেট আর আড্ডাতে তার দিনকাল চলতে থাকলো। মাধ্যমিকের বোর্ড পরীক্ষার কয়েকমাস আগে ভ্রম ভাঙলো তার।

বোর্ড পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করলেন। কিন্তু পরিবারের অবস্থা ভালো না। তাই দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কিরোরি মাল কলেজে বি কমে ভর্তি হলেন।

কিন্তু পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ল।  এদিকে লেখাপড়ার পাশাপাশি পরিবারের হাল ধরার দায়িত্বও সামলাতে হচ্ছে। কেননা পরিবারের সার্বিক অবস্থা তাকে খুব ব্যথিত করত। 

পড়তে ক্লিক করুন- সন্দীপ মহেশ্বরীর ২১টি অনুপ্রেরণামূলক উক্তি

এমএলএম কোম্পানিতে সন্দীপ 

ইন্ডিয়ায় তখন এমএলএম ব্যবসার খুব চল শুরু হয়ে গিয়েছে। একদিন বন্ধুর সাথে একটি এমএলএম কোম্পানির সেমিনারে গেলেন। সেখানে গিয়ে দেখলেন ২১ বছরের একজন যুবক প্রতিমাসে দেড় থেকে দুই লাখ রুপি ইনকাম করছে।

তার মনে হলো তিনি যদি অন্তত বিশ হাজার রুপিও ইনকাম করতে পারেন তাহলে পরিবারের অভাব অনটন আর থাকবে না। সেই কোম্পানির সদস্য হয়ে গেলেন।

তারপর থেকে বাসায় বাসায় গৃহস্থলির বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতে আরম্ভ করলেন। মার্কেটিংয়ের এই বিজনেস করতে গিয়ে তিনি অনেক কিছুই শিখতে শুরু করলেন।

তিনি দেখলেন, বাজারে মানুষের জন্য কোন কিভহুর চাহিদা তৈরী করতে পারলে মানুষ সেটিকে লুফে নিবে। মোটামুটি রকমের সফল হওয়া সত্ত্বেও মানুষের বাসায় বাসায় গিয়ে এই কাজ খুব বেশিদিন করতে পারলেন না।

অন্যদিকে, সংসারের হাল তার উপর এসে পড়েছে ইতোমধ্যে। গ্রাজুয়েশন নামক উচ্চশিক্ষা তার জন্যে না এটি তিনি বুঝে গেলেন।

তার ভালো রেজাল্ট সত্ত্বেও তিনি লেখাপড়ার থেকে অন্যদিকে বেশি আকর্ষণ অনুভব করলেন। তাই কলেজ ছেড়ে দিলেন। নিজের জীবন যুদ্ধ একটু অন্যভাবে জয় করার চেষ্টা চালিয়ে গেলেন। 

বয়সটা তার তখন ১৯। মডেলিংয়ের দিকে আকৃষ্ট হতে থাকলেন। একে তো ফেম অন্যদিকে মডেলিং ক্যারিয়ারের প্রচুর পয়সা তাকে এদিকে টানলো।

কিন্তু মিডিয়া সমাজকে বুঝতে না বুঝতেই মডেলিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন। তিনি দেখলেন, মিডিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হতে হলে অনেক কাঠকয়লা পোড়াতে হবে আর একইসাথে নিজের সত্ত্বাকে বিসর্জন করতে হবে।

নিজের নীতিগত দিকে থেকে সরে আসলেন মডেলিং করার সিদ্ধান্ত থেকে। মডেলিংকে নেশা থেকে ছেটে ফেললেন না।

 

মাশ অডিও ভিজুয়্যাল প্রাইভেট লিমিটেড

নতুন মডেলদের সাহায্য করার প্রত্যয় নিয়ে নিজের মডেল এজেন্সি খুললেন। এজেন্সির নাম দিলেন “মাশ অডিও ভিজুয়্যাল প্রাইভেট লিমিটেড”। তার এজেন্সির মূল কাজ ছিলো নতুন মডেলদের জন্যে পোর্টফলিও ক্রিয়েট করা।

একইসাথে তার মূল লক্ষ্য ছিলো মডেল দুনিয়াতে একজন নতুন মডেল আসতে চাইলে যেসকল প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয় তা থেকে নিজের এজেন্সিকে দূরে রাখা।

দুই সপ্তাহের একটি ফটোগ্রাফি কোর্সও করলেন ক্যামেরা হাতে নতুনদের পরিচয় করে দেবার জন্যে। সাথে আরো কয়েকজন ফটোগ্রাফারকে নিয়ে শুরু করলেন মডেল এজেন্সির ব্যবসা।

মুলধন স্বল্পতার কারণে নিজের কোন স্টুডিও ছিলো না। তাই স্টুডিও ভাড়া করে ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফি বেজড এই বিজনেসটি পরিচালনা করতে থাকলেন। ধীরে ধীরে সফল হতে থাকলেন। ঘটনাটি ছিলো ২০০০ এর।

২০০১ সালে এসে নিজের ক্যামেরা বিক্রি করে দিলেন। তারপর জাপান লাইফ নামের একটি এমএলএম কোম্পানিতে চাকুরি শুরু করেন।

২০০২ সালে তিনি ও তার তিনজন বন্ধু মিলে শুরু করলেন নতুন আরেকটি কোম্পানি। কিন্তু এবারও ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলো না। শুরুর মাত্র ছয় মাসের মাথায় বন্ধ হয়ে গেল প্রতিষ্ঠানটি।

কিন্তু নিজের উপর বিশ্বাস হারালেন না। সামনে এগিয়ে গেলেন। নিজের ভুলগুলোকে সাথে নিয়ে ২০০৩ এ শুরু করলেন কনসালটেন্সি ফার্ম। কিন্তু এবারও তিনি ক্ষতির মুখ দেখলেন।

এই দুই ব্যবসার অভিজ্ঞতাকে সাথে নিয়ে মার্কেটিংয়ের উপরে একটি বই লিখলেন। এই বছর আবার তিনি ক্যামেরা কিনলেন। চাকুরি ছেড়ে আবার ফটোগ্রাফিতে মনোযোগ দিলেন।

নতুন এক জগতে সন্দীপ মহেশ্বরী 

কাম ব্যাক ইয়ারেই করে ফেললেন বিশ্বের ফ্যাশন ফটোগ্রাফির জগতে নতুন এক রেকর্ড। মাত্র ১০ ঘন্টা ৪৫ মিনিটে ১২২ মডেলের ১০ হাজার ছবি তুলে লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা করে নেন।

মূলত এটিই সন্দীপের জীবনের আত্মবিশ্বাসের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। আত্নবিশ্বাস আর ২০০০ সালের  “মাশ অডিও ভিজুয়্যাল প্রাইভেট লিমিটেড” কে সঙ্গী করে চার বছর পর আবার পোর্টফলিও মেকিং বিজনেস শুরু করলেন। এবার আর ভাড়ায় স্টুডিও নয়, নিজের স্টুডিও সেটাপ করে কাজ শুরু করলেন।

২০০৫ সালে এসে ঘটল এক অবাক ঘটনা। একদিন তার এজেন্সিতে একজন ক্লায়েন্ট আসলেন কিছু ছবি তুলে দেওয়ার চুক্তি নিয়ে। সন্দীপের টেবিলে থাকা ছবিগুলো দেখে তিনি খুব জোড়াজোড়ি করতে থাকলেন।

চুক্তিবাবদ ২৫০০ রুপিও দিতে চাইলেন। কিন্তু সন্দীপের হাতে একদম সময় নেই। কিন্তু ক্লায়েন্ট নাছোড়বান্দা হলে তিনি সম্মতি জানালেন।

এসময় তার মাথায় আসলো, তিনি যদি এই ছবিগুলো অন্য কাউকে দিয়ে তুলিয়ে নেন তাহলে থার্ড পার্টি হিসেবে তিনি কিছু রুপি রেখে দিতে পারবেন। তিনি আরেকটি এজেন্সির সাথে কন্টাক্ট করে সবগুলো ছবি ১২৫০ টাকায় তুলে দেওয়ার জন্যে রাজি করালেন।

সন্দীপ দেখলেন, কোন কাজ না করে, শুধু মিডল ম্যান হিসেবে ৫০% রুপি তিনি পাচ্ছেন।

ইমেজবাজার ডট কম এর যাত্রা শুরু 

নিজের এই আইডিয়া কাজে লাগিয়ে ২০০৬ সালে ৮ হাজার ছবি নিয়ে “ইমেজবাজার ডট কম” নামের অনলাইন ক্লায়েন্ট ভিত্তিক ফটোগ্রাফি ওয়েবসাইট চালু করেন। ৮ হাজার থেকে শুরু করা ইমেজের বর্তমান সংখ্যা প্রায় এক মিলিয়নেরও বেশি।

এছাড়াও বিশ্বের ৪৫ দেশে তাদের ৭ হাজারের উপরে ক্লায়েন্ট রয়েছে। মূলত যেসব অ্যাডভারটাইজিং এজেন্সির বাজেট কম থাকে ইমেজ বাজার তাদের জন্যে কাজ করে। এতে ইমেজ বাজার একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ নেয়। এমনকি নির্দিষ্ট ইমেজকে ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী তারা কাস্টমাইজ করে দেয়।

সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইমেজ বাজার ভারতভিত্তিক ছবির কালেকশন এবং বর্তমানে ইন্ডিয়ান ইমেজের এর থেকে বড় কোন ইমেজ কালেশন ওয়েবসাইট এখন পর্যন্ত অনলাইনে আসতে পারেনি।

ইন্ডিয়ান কালচারকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে এই ওয়েবসাইটটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ইমেজ বাজারের বদৌলতে সন্দীপ মহেশ্বরী ভারতের সফল তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে একজন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। বর্তমানে তার নিট মুল্য দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

মাত্র ২৯ বয়সে নিজেকে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার মধ্যে দিয়ে শূন্য থেকে শিখরে উঠে আসেন মধ্যবিত্তের শিকলের মাঝে বেড়ে উঠা সন্দীপ মহেশ্বরী।

সন্দীপ মহেশ্বরীরের সফলতা
সন্দীপ মহেশ্বরী এবং তাঁর স্ত্রী

 

মেনটর এবং মোটিভেশনাল স্পিকার হিশেবে নতুন সন্দীপ মহেশ্বরী 

নিজের পুরো জীবনে অভিজ্ঞতা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন সেমিনারে নিজের অভিজ্ঞতাকে শেয়ার করেন। ধীরে ধীরে হয়ে উঠেন মেনটর, মোটিভেশনাল স্পিকার।

Sandeep Maheshwari’ এবং ‘Sandeep Maheshwari Spirituality’ দুটি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে নিজের এসব অভিজ্ঞতাকে পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি।

Life is easy স্লোগানকে সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে মোটিভেশনাল স্পিকার হিসেবে তার যাত্রা। ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে “ইয়ং ক্রিয়েটিভ এন্টারপ্রেনার অ্যাওয়ার্ড” এবং গ্লোবাল মার্কেটিং ফোরাম থেকে “স্টার ইয়ুথ অ্যাচিভার আওয়ার্ড” পেয়েছেন।

এছাড়াও ‘India Today,’ ‘The Economic Times,’ ‘ET Now,’ ‘CNBC-TV18,’ এবং  ‘NewsX’ এর মত গণমাধ্যমেও ফিচারড হয়েছেন। বিজনেস ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিন তাকে ভারতের সবচেয়ে উদীয়মান উদ্যোক্তা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।

“Never Give Up” মত জনপ্রিয় মোটিভেশন কোট সন্দীপ মহেশ্বরীর কাছ থেকে আসা। হাল না ছাড়া এই মানুষ ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রেও একই রকম।

মাধ্যমিকে পড়ার সময় নেহাকে প্রথম দেখে ভালোলাগে তার। তারপর বান্ধবী নেহাকে একদিন স্কুল পালিয়ে বেড়ানোর কথা বলেন। কিন্তু নিজে ঠিকই ক্লাসে উপস্থিত হন।

অন্যদিকে নেহা সন্দীপের আশায় একই স্থানে অপেক্ষা করতে থাকেন। এমন একাগ্রতা দেখে বান্ধবী নেহাকে জীবন সঙ্গিনী করার আশা ব্যক্ত করেন। নেহাও সন্দীপের সকল উত্থান পতনে সাথে থাকার অঙ্গীকার করেন।

অবশেষে, পারস্পারিক বিশ্বস্ততায় সাত পাকে বাধা পড়ে যান দুজন। এই দম্পতির ঘরে এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে।

মানুষের বাড়ি বাড়ি পণ্য বিক্রি থেকে নিজেকে ভারতের অন্যতম সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচয় করানো সন্দীপ মহেশ্বরীর জন্যে অভিযাত্রীর পক্ষ থেকে শুভকামনা। 

Share this

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top