প্রতিটি মানুষের মাঝে এক ধরনের শিশুসত্ত্বা বিরাজমান। যা বয়সের এবং ব্যস্ততার কারণে ঢাকা পড়ে যায়। বয়স মানুষকে আরো বেশি গম্ভীর করে তোলে। ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক কিছুই করা হয়ে ওঠে না।
কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে এই ধরনের প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকা সত্ত্বেও কোনো কাজ না করতে পারার ফলাফল মানুষের জীবনের জন্য বেশ ক্ষতিকর। আর তাই আপনি আপনার জীবন নিয়ে ভাবনা শুরু করেছেন তো!!!
এটা ধীরে ধীরে মানুষকে অসুস্থ করে তোলে। তাই সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করার জন্য আপনার ভেতরের শিশুসত্ত্বাটিকে জাগ্রত করা প্রয়োজন।
জীবন একটাই। আর ছোট্ট এই জীবনকে ঘিরে আমাদের সবারই কত না আয়োজন। ছোট থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত যা কিছু করা হয়, সব কিছুই এই জীবনের জন্য। ছোট এই জীবনটাকে উপভোগ করা খুব কঠিন কোনো কাজ নয়।
নিজেকে অসাধারণ করে তুলুন। জীবনের প্রত্যেক মুহুর্ত উপভোগ করুন। কোনো কিছু বা কাউকে ছোট করে দেখবেন না।
একবার ভাবুন তো এই জীবনটাকে যদি উপভোগ না করেই পৃথিবী থেকে চলে যেতে হয়?
নিশ্চয় আফসোস থেকে যাবে। তাই নয় কি?
আপনি কি আপনার এই মূল্যবান জীবনটা আফসোস করেই কাটিয়ে দিতে চান?
যদি উত্তর না হয়, তাহলে আশা করি এই ভিডিওটি আপনাকে অনুপ্রাণিত করবে আপনার জীবনকে আরো অর্থপূর্ণ করে তুলতে। ভিডিওটি নিচে আছে।
একদিন আপনার জীবনের ছবিগুলো আপনার চোখের সামনে ভেসে উঠবে। তাই তখন যেন আপনি আপনার জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারেন তা এখনই নিশ্চিত করুন। নতুবা আফসোসের সীমা থাকবে না।
তখন মনে হবে, আমি যদি জীবনটাকে এত গম্ভীরভাবে না নিতাম! আমি যদি জীবনটাকে আরো উপভোগ করতে পারতাম! আমি যদি আমার পরিবারকে আরো সুখী রাখতে পারতাম!
আমি যদি জানতাম জীবনটা কত মূল্যবান, কত ক্ষণস্থায়ী, কত বিশেষ এবং একই সাথে কতটা নশ্বর আর অর্থহীন! আমি যদি এত সহজে হার মেনে না নিতাম! আমি যদি আমার স্বপ্ন পূরণ না করেই পিছিয়ে না আসতাম!
কখনো কি আপনার জীবনের দিকে ফিরে তাকিয়ে দেখেছেন? এটি যদি আপনার জীবনের শেষ মুহুর্ত হয়, তবে ভেবে দেখুন তো আপনি কি আপনার জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট?
নিজেকে প্রশ্ন করুন।
আপনার জীবন কি সত্যিই অর্থপূর্ণ? আপনি চলে গেলে এই পৃথিবী আপনাকে মনে রাখবে এমন কোনো কাজ কি আপনি করেছেন? আপনি কি যথেষ্ট ভালোবাসা পেয়েছেন? অন্য কারো জীবনে আপনার গুরুত্ব কতটুকু?
আপনার জীবনের শেষ মুহুর্তে পৌঁছানোর আগে, আজকেই হয়ত সেই সময় পরিবর্তন আনার। আপনার জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তুলুন।
আপনি কি সহজেই নার্ভাস হয়ে পড়েন? নার্ভাসনেস কিভাবে জয় করবেন- জানতে ক্লিক করুন
একদিন এই জীবন শেষ হয়ে যাবে। তাই জীবনকে উপভোগ করুন। নিশ্চিত করুন, যেন আফসোসের সাথে এই জীবনের ইতি না ঘটে।
অস্কার ওয়াইল্ড একবার বলেছিলেন, বেঁচে থাকাটা পৃথিবীর দুর্লভ জিনিসগুলোর একটি। বেশিরভাগ মানুষ কেবল তাদের অস্থিত্ব টিকিয়ে রাখতে ব্যস্ত। তাদের কাছে সেটাই গুরুত্বপূর্ন।
তিনি ঠিকই বলেছেন। নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা আর জীবনকে উপভোগ করে বেঁচে থাকা দুটোই ভিন্ন কথা। তাই অন্যদের মত শুধু অস্তিত্ব ধরে রাখতে ব্যস্ত হয়ে পরবেন না।
জীবন নিয়ে ভাবনা
নিজেকে অসাধারণ করে তুলুন। জীবনের প্রত্যেক মুহুর্ত উপভোগ করুন। কোনো কিছুকে বা কাউকে ছোট করে দেখবেন না। আপনার কাছে কি গুরুত্বপূর্ণ? আপনার কি কি স্বপ্ন আছে?
সেই স্বপ্নগুলো পূরণ করার চেষ্টা করুন। আপনি কিসের জন্য অপেক্ষা করছেন? আপনার কেবল একটি ই সুযোগ। যদি আপনি লক্ষ্য অর্জন করতে নাও পারেন, অন্তত আপনি গর্বের সাথে নিজেকে বলতে পারবেন আপনি যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন।
এটা ভেবে সন্তুষ্ট থাকতে পারবেন যে, আপনার জীবনে কোনো আফসোস নেই।
আপনি কাদের ভালোবাসেন? কারা আপনাকে ভালোবাসে? তাদের জানিয়ে দিন। তাদের এখনই বলুন। কারণ আপনি কখনোই জানেন না কখন এটা আপনার শেষ সুযোগ হবে। আপনার এই মূল্যবান জীবনকে তুচ্ছ মনে করবেন না।
অন্যরা তাদের লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে আসলেও, আপনি আপনার লক্ষ্যে স্থির থাকুন। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন যখন অন্য সবাই আপনার যোগ্যতাকে সন্দেহ করবে।
অন্যরা যেখানে তাদের স্বপ্ন পূরণ না করেই হার মেনে নিচ্ছে, সেখানে আপনি আপনার স্বপ্ন পূরণ করুন। সবাই দলের সদস্য হয়েই সন্তুষ্ট থাকলে, আপনি সেই দলের ক্যাপ্টেন হন।
যখন সবাই ভয়ে জীবন কাটিয়ে দিচ্ছে, আপনি তখন সিংহের মত নির্ভীক হয়ে বাঁচুন। অন্যরা যেখানে অনুসরণ করে, সেখানে আপনি নেতা হন।
হতেই পারে আজ আপনার জীবনের শেষ দিন। তাই প্রত্যেক দিন এমনভাবে বাঁচুন, যেন আজই এই পৃথিবীতে আপনার শেষ দিন।
Leave a Reply