পৃথিবীর শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু কেন তারা প্রথম জীবনে সফল হতে পারেন না? কারণ হল, জীবনের লক্ষ্য ঠিক না রাখা। ফলে সফলতার মুখ দেখতে হলে তাদের অনেক কঠিন সময় পার করতে হয়।
তাই আপনি জীবনে কি অর্জন করতে চান তার একটি পরিস্কার ধারণা পেতে চাইলে, প্রথমেই আপনাকে আপনার জীবনের লক্ষ্য ঠিক করতে হবে।
সাফল্যের পূর্বে ব্যর্থতা আসবে এটাই স্বাভাবিক। তাই সাফল্যের মিষ্টতা উপভোগ করার আগে আপনার ব্যর্থতাকে জয় করতে শিখতে হবে। আপনি কি জানেন?
পৃথিবীর অধিকাংশ সফল ব্যক্তিরা কখনোই একবারে সফল হন নি। তারা জীবনে বহুবার ব্যর্থতার সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু এই ব্যর্থতা তাদের স্বপ্ন পূরণ করার লক্ষ্যে কখনোই বাঁধা হতে পারেনি।
কেন মানুষ প্রথম জীবনে ব্যর্থ হয়, সেই কারণগুলোই আজ আমরা আপনাদের কাছে তুলে ধরব। অনেক কারণেই মানুষ ব্যর্থ হচ্ছে, তার মধ্য থেকে ব্যর্থ হওয়ার ১০টি কারণ নিয়ে আজকের আলোচনা।
বিল গেটস বিশ্বের অন্যতম সফল একজন ব্যক্তি। তিনি বলেন, জীবনের সাফল্যে আনন্দ করা ভালো। কিন্তু ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেওয়া অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি কোন কারণগুলোর জন্য সফল হতে পারছেন না তা অবশ্যই কমেন্ট করে আমাদের জানাবেন।
আর যদি আপনি আপনার সফল হওয়ার পথে বাঁধা হয়ে থাকা এই কারণ গুলো কাটিয়ে উঠতে পারেন, তবে আপনার সফলতার গল্পটিও আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।
ব্যর্থ হওয়ার ১০টি কারণ
কিছু কারণে জীবনের চলার পথে ব্যর্থতা নেমে আসে। তাই বলে হতাশ হওয়া যাবে না বা চুপ থেকে হাল ছেড়ে দিলে চলবে না। এজন্য প্রয়োজন ব্যর্থতার কারণ জেনে সফলতার হাতকে আঁকড়ে ধরা। ব্যর্থ হওয়ার মূল কারণগুলো আজকের আলোচ্য বিষয়,
১. নেতিবাচক চিন্তাভাবনা
বেশিরভাগ মানুষের প্রথম জীবনে সফল না হওয়ার প্রধান কারণগুলোর একটি হল মনের ভেতর নেতিবাচক চিন্তা রাখা। এই চিন্তা ভাবনাগুলো অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করতে মনকে বাঁধা দেয়। ফলে আপনার দৈনন্দিন রুটিন ব্যাহত হয়। তাই আপনাকে অবশ্যই এই নেতিবাচক চিন্তাগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কারণ ব্যর্থ জীবন নিয়ে কখনও সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
একজন হতাশাগ্রস্থ মানুষ কখনো সফল হতে পারে না। কারণ তারা নিজেও হতাশ থাকে এবং তাদের চারপাশের মানুষের জন্যও একটি নেতিবাচক ও বিব্রতকর পরিবেশ সৃষ্টি করে তোলে।
তবে মনে আশা এবং বিশ্বাস থাকলে প্রত্যেকের জীবনেই চমৎকার কিছু ঘটতে পারে। এই বিশ্বাস আপনাকে প্রত্যেক পরিস্থিতিতে একটি পরিস্কার এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে সাহায্য করে। পজিটিভ ধারণাগুলো আপনার জন্য কেবল নতুন সম্ভাবনার পথই খুঁজে দিবে না, বরং আপনাকে সাফল্যের চূড়ায় উঠতেও সাহায্য করবে।
২. শক্তি এবং দুর্বলতা সম্পর্কে অজ্ঞতা
বেশির ভাগ মানুষ এটা বুঝতে ভুল করে যে, তারা প্রত্যেকেই অন্যের থেকে আলাদা ও ইউনিক। তাদের ব্যক্তিত্ব তাদেরকে অন্যদের থেকে ইউনিক করে তোলে। ফলে তাদের কাজ করার পদ্ধতিও আলাদা হয়ে থাকে।
প্রথম জীবনে ব্যর্থ হওয়ার আরেকটি কারণ হল নিজের সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকা। আপনি জীবনে কি কি করতে সক্ষম সে সম্পর্কে একটি পরিস্কার ধারণা থাকা প্রয়োজন। আপনার ভেতরের শক্তি ও ক্ষমতা আপনি যে ক্ষেত্রে দক্ষ এবং আপনি অন্যের থেকে ভালো উপায়ে কাজ করার যোগ্যতা কে নির্দেশ করে।
আপনার দুর্বলতা আপনার অক্ষমতা নয়। আসলে আপনি পারেন আপনার এই দুর্বলতা কাটিয়ে সে কাজে আরো দক্ষ হয়ে উঠতে। আপনার দুর্বলতা জীবনে ভালো জিনিসগুলো অর্জন করা থেকে আপনাকে বিরত রাখে।
৩. অনিশ্চিত লক্ষ্য
লক্ষ্যের অনিশ্চয়তা একজন ব্যক্তিকে সাফল্য অর্জন করতে বাঁধা দেয়। অনেকেই জীবনের লক্ষ্য ঠিক না করেই কাজে নামতে চান। কিন্তু আপনি জীবনে যে লক্ষ্য অর্জন করতে চান তার জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিশ্রম, দৃঢ়তা এবং ইচ্ছাশক্তি।
জীবনের লক্ষ্য ঠিক না থাকলে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়। আর এই অনিশ্চয়তা আপনার সাফল্যে বাঁধা সৃষ্টি করে। তাই প্রথমেই জীবনের লক্ষ্য বেছে নিন।
আপনি কেন এই লক্ষ্য অর্জন করতে চান তার কারণ খুঁজে বের করুন। এরপর কিভাবে লক্ষ্যে পৌঁছানোর স্ট্র্যাটেজি উন্নত করা যায়, তা নিয়ে একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন। লক্ষ্যহীন মানুষ খুব কম ই সফলতা অর্জন করতে পারে।
আপনি হয়ত জানেন না, পদার্থবিজ্ঞানে জটিল সব তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করে বিখ্যাত হওয়ার পূর্বে, স্যার আইজ্যাক নিউটন তার বাবার মত তাদের পরিবারের একটি খামারে কাজ করতেন। কিন্তু যখনই তিনি তার নিজস্ব শক্তি ও যোগ্যতার খোঁজ পেলেন, তখন তিনি তার জীবনের লক্ষ্য ঠিক করেন।
তিনি বলেন, আমার শক্তিগুলো সাধারণ। কেবল আমার শক্তির প্রয়োগ ই আমাকে সাফল্য এনে দিয়েছে।
৪. অগোছালো জীবন যাপনঃ
ব্যর্থ হওয়ার ১০টি কারণের মধ্যে আরেকটি কারণ হল অগোছালো জীবন যাপন। জীবনে সফল হতে হলে গোছানো থাকা গুরুত্বপূর্ণ। সাফল্য অর্জন করতে হলে আপনার জীবন, চিন্তাভাবনা এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক রাখা প্রয়োজন। এটা ঠিক যে, সবার মধ্যে গোছানো জীবনযাপন করার ক্ষমতা থাকে না।
প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ মানুষের এই ক্ষমতার অভাব আছে। তাই তারা জীবনে সাম্যতা আনতে পারেন না। যা তাদের ব্যর্থতার আরো একটি কারণ।
যারা অগোছালো তারা কখনোই পরিকল্পনা করে কাজ করে না। তাই তারা বুঝতে পারে না যে, জীবন তাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। ফলে তারা সহজেই তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েন।
তারা সবসময়ই কম পরিশ্রম করেন এবং সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগেন। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তারা অন্যের উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে ওঠেন।
৫. স্থির মনোভাব
আপনি আপনার জীবনে দুই ধরনের মানুষের দেখা পাবেন। যার মধ্যে একজনের একটি সৃজনশীল মন থাকবে। অন্যদিকে, অন্যজনের একটি নির্দিষ্ট বা স্থির মন থাকবে।
এদের প্রতিভা, শক্তি এবং বৈশিষ্ট্য সবকিছুই স্থির থাকে। তারা তাদের বুদ্ধিমত্তা ও প্রতিভাকে কখনোই নতুন রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেন না। এই মানুষগুলো সবসময় নিজেকে অন্যদের থেকে ছোট মনে করে এবং নিজেকে মুল্যায়ন করতে পারে না।
একটি স্থির মন আপনাকে নতুন অভ্যাস তৈরি করতে এবং অভিজ্ঞতার বৃদ্ধি ও উন্নয়ন থেকে বিরত রাখে। ফলে এটি সাফল্য অর্জনের পথ বন্ধ করে দেয় এবং জীবনের প্রথম ধাপেই আপনাকে ব্যর্থতার দিকে নিয়ে যায়।
৬. সহজেই হার মেনে নেওয়া
সাধারণত বেশির ভাগ মানুষ তাদের লক্ষ্য অর্জন না করেই হার মেনে নেয়। কারণ কাজটি থেকে বের হয়ে আসার এটাই সহজ উপায়। আবার ব্যর্থ হওয়ার ভয় থেকেও তারা তাদের লক্ষ্য থেকে দূরে সরে আসে, যা তাদেরকে ব্যর্থতার দিকে নিয়ে যায়।
যেহেতু জীবনে এগিয়ে যেতে হবে তাই আপনাকে কঠোর পরিশ্রম, বিভিন্ন সমস্যা এবং ব্যর্থতার মুখোমুখি হতে হবে। কিন্তু হার মেনে নেওয়া কখনোই কোনো সমাধান হতে পারে না।
সাফল্য কেবল তার কাছেই আসবে যে লড়াই করতে, শিখতে, চর্চা করতে এবং তাদের স্বপ্ন পূরণ করার ইচ্ছাশক্তি রাখে।
সফল ব্যক্তিদের সাফল্যের পেছনে রহস্য হল, তারা কখনো হার মানেন না। তারা বারবার ব্যর্থ হন কিন্তু কখনো তাদের লক্ষ্য থেকে পিছু হটেন না। বরং সংগ্রাম চালিয়ে যান।
ডিজনি প্রোডাকশন বিখ্যাত হওয়ার আগে, ওয়াল্ট ডিজনি বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন কারণ তার সৃজনশীলতার অভাব ছিল। কিন্তু এতেও তিনি কখনো হার মানেন নি।
৭.পরিশ্রমের অভাবঃ
সাফল্যের পথ কখনোই সহজ হয় না। অধিকাংশ সফল গল্পের মধ্যে কিছু গল্প সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং হয় এবং অনেক পরিশ্রম আর চেষ্টা করার প্রয়োজন হয়। কেউই পরিশ্রম ছাড়া রাতারাতি সফল হওয়ার আশা করতে পারে না।
আপনার লক্ষ্য পূরণ হতে মাস এমনকি বছর ও লেগে যেতে পারে। এর জন্য আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, দিনে রাতে সবসময় লক্ষ্য ঠিক রাখতে হবে এবং পুরো সময়টিতে ধৈর্য রাখতে হবে।
কঠিন কাজগুলো প্রায় মানুষকে নিরুৎসাহিত করে। ফলে তারা আবার চেষ্টা না করেই হার মেনে নেয়।
জ্যাক মা বলেন, আজ হয়ত দিনটি খারাপ যাচ্ছে। কাল আরো খারাপ যাবে, কিন্তু কালকের পরের দিনটি অবশ্যই ভাল যাবে ।
কিন্তু মনে রাখবেন, সফলতা তাদের কাছেই আসে যারা অপেক্ষা করতে জানে। একটি কঠিন বিষয়কে জয় করার রহস্য হল সেটি আরো বেশি চর্চা করা। আপনি যত চর্চা করবে, তত কাজটিতে ভালো করতে পারবেন। তাই সবসময় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকুন এবং আপনার পথ থেকে কখনো বিচ্যুত হবেন না।
কনফিউয়াস বলেন, যদি আপনার মনে হয় যে, আপনি আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারবেন না, তখন লক্ষ্যের সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা বন্ধ করুন। আর নিজের কাজের ধাপগুলোর সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
৮.সন্দেহের প্রবণতা
ব্যর্থতার তুলনায় মানুষের সন্দেহপ্রবণতা তার স্বপ্নকে সহজে নিঃশেষ করে দেয়। তাই সফল হতে হলে নিজের প্রতি বা অন্যের সাথে আপনার সম্পর্ক বা আপনার জীবনের লক্ষ্য নিয়ে মনে কোনো সংশয় রাখা যাবে না।
জীবনের শুরুতেই ব্যর্থ হওয়ার আরেকটি কারণ হল, সন্দেহের কারণে তারা তাদের যোগ্যতার ওপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। আমাদের চিন্তাভাবনা আমাদের কর্মকান্ডের ওপর প্রভাব ফেলে।
আমরা দুঃশ্চিন্তা করলে মনে ভয়েরও সৃষ্টি হয়। আর মনে ভয় থাকলে মানুষের কঠোর পরিশ্রম না করার এবং ব্যর্থতার প্রবণতা বেড়ে যায়।
জীবনের লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন কিনা এ নিয়ে আপনার মনে সংশয় থাকলে, আপনার মনও আপনাকে এটাই বিশ্বাস করাবে যে আপনি পারবেন না।
ফলে আপনি ব্যর্থতার দিকে এগিয়ে যাবেন। আর ব্যর্থ মানুষ কখনও সফল হতে পারেন না এটা সবাই জানে। তাই মন থেকে সন্দেহ ও ভয় দূর করতে হলে, আপনার মনে পজিটিভ চিন্তা রাখতে হবে। পাশাপাশি প্রত্যেক পরিস্থিতিরই যেকোনো ফলাফল মেনে নেওয়ার মানসিকতা রাখতে হবে।
৯. আত্মবিশ্বাসের অভাব
আপনি নিজেকে কিভাবে বিচার করবেন, এটা নির্ভর করে আপনার আত্মবিশ্বাসের লেভেল কতটুকু তার উপর। আপনার জীবনের সাফল্য ও ব্যর্থতার ওপর অন্যের সাথে আপনার সম্পর্ক এবং আপনার যোগ্যতা ও জ্ঞান সরাসরি প্রভাব ফেলে।
নিজের কাজ, সম্পর্ক ও জীবনের ওপর যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস থাকলে তা আপনাকে একটি সফল জীবনের দিকে নিয়ে যাবে। অপরদিকে, যাদের নিজের ওপর আত্মবিশ্বাসের অভাব আছে তারাই এক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েন। আপনার আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকার কারণ হল, আপনার নিজের কাজ ও লক্ষ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকা।
সফল ব্যক্তিদের সাফল্যের পেছনে রহস্য হল, তারা কখনো হার মানেন না
আপনার লক্ষ্য কি? এবং সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কি করতে হবে, তার একটি পরিস্কার ধারণা রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
এরপর লক্ষ্য অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিকল্পনায় বিশ্বাস রাখতে হবে। অধিক আত্মবিশ্বাসীরা যেকোনো কাজে কম লজ্জা পায়। তারা ব্যর্থতাকে ভয় পায় না। তারা তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী যেকোনো কাজ করতে সবসময় নিজেকে তৈরি রাখে।
১০. অনুপ্রেরণার অভাব
অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ যেকোনো কাজের প্রতি আপনার ইচ্ছাকে জাগিয়ে তোলে। ফলে আপনি সয়ংক্রিয়ভাবে আগের তুলনায় আরো ভালো কাজ করতে পারবেন। এই অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ আপনাকে নতুন করে নিজেকে চ্যালেঞ্জ করতে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে সাহায্য করে।
অনেকেই এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হন, যেখানে তাদের কাজ করার আগ্রহ ও যোগ্যতা থাকলেও অনুপ্রেরণার অভাব থাকে। লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণার অভাব আপনার কাজকে বিরক্তিকর এবং স্ট্রেসফুল করে তোলে।
ব্যর্থ জীবনের গল্প
কোন সফল ব্যক্তি জীবনের শুরুতেই সফলতার মুখ দেখেন নি। অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্যে দিয়ে তাঁরা সফল হয়েছেন। অনেকবার ব্যর্থ হয়েছেন কিন্তু হতাশ না হয়ে আবার উঠে দাঁড়িয়েছন। বার বার হোঁচট খাওয়ার পরেই এখন তাঁরা সফলতার উচ্চ শিখরে অবস্থান করতে পেরেছেন। এমনই কয়েকজন ব্যক্তি হলেনঃ আব্রাহাম লিংকন, বিল গেটস, কনোনেল স্যান্ডার্স, আলবার্ট আইনস্টাইন, জ্যাক মা, টমাস আলভা এডিসন।
আবার, অলসতা, কাজে ঢিলেমি বা শারীরিক ও মানসিক চাপ লক্ষ্য অর্জন করতে না পারার একটি কারণ। এটি আপনার জীবনের লক্ষ্য অর্জনের পথে একটি বড় বাঁধা হতে পারে এবং আপনার মনে হতাশা ও অসন্তুষ্টির সৃষ্টি করে। উপরের আলোচ্য ব্যর্থ হওয়ার ১০টি কারণ জেনে জীবনকে সফলতার চাদরে জড়িয়ে নিয়ে এগিয়ে যান। দেখবেন, জীবনের চলার পথ অনেকটা আনন্দদায়ক।
Leave a Reply