অভিযাত্রী সাহিত্য পাতায় কবি সাদী শাশ্বতের কবিতা
ক্ষতিপূরণ
এমন কোন যোদ্ধা নেই নিজের সাথে পেরেছে
এমন কোন বোদ্ধা নেই নিজেকে চিনেছে
আমাকে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে দাও।
হেসে খেলে যে কারো হতে পারত এ জীবন
পাহাড়ের গা বেয়ে আঁকাবাঁকা সর্পিল পথ
বয়ে যেতে পারত যে কারো বুকেই, একতরফা নদী।
কেন আমি আগ বাড়িয়ে বাড়াতে গেলাম
রাজহাঁসের গলা? অভাজনে ফুল ও উপহার?
হায় আমার অবাধ্যতার লাগাম ছাড়া ঘোড়া
আততায়ী সঙের ধারণা- গন্ধমে ভুলিয়ে কোথায়
কোন অন্ধকারে নিক্ষেপ করছো আমায়?
এমন কোন গাছ নেই নিজের জন্য বাড়ে
এমন কোন লাশ নেই কবরে চাপা পড়ে থাকে
আমাকে আমার উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাও।
ঠোঁটের পেয়ালায়
তোমার ঠোঁটের পেয়ালায়
আমি চা ঢেলে খাই।
চোখ থেকে চিনি
স্তন নিংড়ে দুধ
সেরা স্বাদের চা বানাই।
তোমার দেহ মঞ্জরীর
আশ্চর্য সৌরভ, কঁচি পাতার
উজ্জ্বল লিকার
চুমুকে তাজা হয়ে যাই।
তোমার ঠোঁটের পেয়ালায়
আমি অমরত্ম চাই।
সত্যের বাতিঘর
(আলোকচিত্রী শহীদুল আলমকে)
দূর্বল হতে হতে অত্যাচারীর আত্মা
গৃহ কোনে চুপসে যাওয়া চড়ুইয়ে
পরিনত হয়।
অস্বস্তির ঘুমে সে দেখতে থাকে বোবায় ধরা স্বপ্ন
ঠাস ঠাস গালে থাপড়াতে থাকে
ক্যামেরার ফ্ল্যাশ।
এরই ধারাবাহিকতায় আপনি ডেইলি সোপ শহীদুল
এরই প্রতিক্রিয়ায় আপনি ধারালো কুঠার।
জুজুর ভয়ে
তারা আপনাকে আটকে রাখে অন্ধকার কুঠুরিতে
নাগরিক অধিকার, বাক স্বাধীনতার বিপরীতে।
কিন্তু আমরা দেখি, জনতার জোয়ারই
ডেকে আনে জয়। ভোর হলেই প্রকৃতিতে
খেলে যায় আলোর বিচ্ছুরন।
সত্যের পথে
আপনি আমাদের বাতিঘর শহীদুল
আকাশের উজ্জ্বল আলোকিত তারা।
কবি সাদী শাশ্বতের কবিতা
কেমন লেগেছে তা কমেন্ট করে জানান।
আরও কবিতা পড়ুন:
নুসরাত নুসিনের কবিতা আমরা দুজনে রক্তমর্মর ভাঁটফুল
মাহমুদুল হাসান ফেরদৌসের তিনটি কবিতা