রহস্যজনক অমিমাংসিত ৫টি খুন | অভিযাত্রী.কম

ভয়ঙ্কর রহস্যজনক ৫ টি খুন

“জন্মিলে মরিতে হবে অমর কে কোথা কবে

চিরস্থির করে নীর হায়রে জীবন-নদে?”

জন্ম নিলে মৃত্যুর দিন এগিয়ে আসা শুরু হয়ে যায়। পৃথিবীতে একটা গোষ্ঠী  অমরত্ব নিয়ে ভীষণ রকম টানা-হ্যাচড়া করলেও অমরত্ব যেন অদেখা এক অধ্যায়। এমনকি শিবের নিকট বহুল সাধনা আর দশবার নিজের মস্তক কাটলেও রাবণ অমরত্ব লাভ করতে পারেননি। আবার অমরত্বের অধিকারী হলে মানুষ শ শ বছর পরে কিভাবে বেঁচে থাকবে, তাদের শরীরের অবস্থা কি হবে সেটাও একটা বিরাট প্রশ্ন বটে।

তাই অমরত্ব নয়, আজকাল খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকাটাই মানুষের জন্যে সবচেয়ে কাঙ্খিত একটি বিষয় হিসেবে ধরা দিয়েছে। সুতরাং দুদিনের জীবনে চার্বাক দর্শন মতে বলতে হয়, “ঋণ করে হলেও ঘি খাও”।

পার্থিব জীবনে সুখ-দুঃখের এই আলো-ছায়ায় সবচেয়ে সুখী মনে হয় অট্টালিকায় বসবাসরত কিছু মানুষকে। যাদের জীবনে খ্যাতি-যশ-টাকা পয়সা কোন কিছুর অভাববোধটুকু নেই বলে মনে হয়। কিন্তু কূপির নিচেও তো অন্ধকার থাকে। তাদের জীবনে হয়ত তাই। কিছু অপ্রাপ্তি আর শূন্যতা হয়তো তাদের অভিধা্নেও আছে।

উদাহরণ দিতে গিয়ে বলা যায়, প্রিয় মানুষটিকে হারানোর বেদনা। তার উপর যদি সেই বেদনা হয় অমিমাংসিত আর রহস্যময় তাহলে কষ্টের আগুনে তেল পড়ার মত। আজ আপনাদের জানাচ্ছি এমন কিছু খুনের আদ্যপান্ত।

১) স্কট রুফালো হত্যাকাণ্ড

স্কট রুফালোকে চেনে এমন মানুষ কম। কিন্ত তার ভাই মার্ক রুফালোকে চেনে না এমন মানুষ খুঁজে পেতে একটু বেগ পেতে হবে। অ্যাভেঞ্জার সিরিজের জনপ্রিয় এই অভিনেতা তার ভাইকে হারান ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথম দিনে।

মাথায় ঠাসা বুলেটসহ স্কটের দেহ ব্রেভারী হিলে অবস্থিত তার নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করা হয়। তার বাম হাতে বুলেট ছোড়া পিস্তলটিও পাওয়া যায়। এই ঘটনার পর তার দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এক সপ্তাহ পর তিনি মারা যান।

ঘটনার এতটুকুতে এটিকে “আত্মহত্যা” মনে হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু বিপত্তি ঘটে ঠিক লাশের ময়না তদন্তের পর। ময়না তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়- এটি কোন আত্নহত্যা নয়, বরং হত্যাকান্ড। মুলত এমনটি ভাবার মূল কারণ ছিলো– মাথা ছাড়াও স্কটের দেহে আরো একটি বুলেটের দাগ পাওয়া যায়। এই বুলেট শরীরে প্রবেশের পরেই তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়েন।

ভয়ঙ্কর রহস্যজনক ৫ টি খুন

অন্যদিকে, মাথার বুলেট কেবল তার নির্ঘাত মৃত্যু নিশ্চিত করেছে! এখানে সন্দেহের কথা– প্রথম যে বুলেটটি তার শরীরের ছোড়া হয় তা অন্য একটি পিস্তলের ছিলো!  

এরপর পুলিশ এটিকে হত্যাকান্ড হিসেবে কেস ফাইলড করে। হত্যাকান্ডের এই কেসে প্রথমে নাম আসে স্কটের ক্লায়েন্ট সাহা মিশাল অ্যাডাম ও তার প্রেমিক ব্রায়ান স্কফিল্ড।

হত্যাকান্ডের সময় তারা সেই অ্যাপার্টমেন্টের মধ্যেই ছিলেন। তাদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় “রাশিয়ান রউলেট” খেলতে গিয়ে স্কট নিজের মাথায় বন্দুক রেখে গুলি করেন। কিন্তু পুলিশ তাদের বক্তব্যে খুব একটা সন্তুষ্ট হতে পারছিলেন না।

অন্যদিকে, উপযুক্ত প্রমাণও নেই। তাই কেসটি থমকে যায়। পরবর্তীতে ২০১২ সালে ঘটে নতুন মোড়। কেসের প্রধান ব্যক্তি মিশাল অ্যাডাম ড্রাগের ওভারডোজের কারণে মারা যান। সুতরাং সকল প্রমাণ বিলুপ্ত হয়ে যায়। এরপর এই কেস অমিমাংসিত থেকে বন্ধ হয়ে যায়।

২) জো কোল হত্যাকাণ্ডঃ  

জো কোল ষাট ও সত্তর দশকের বিখ্যাত টিভি ও সিনেমা অভিনেতা ড্যানিশ কোলের ছেলে। ১৯৯২ সালের ১৯ ডিসেম্বর ডাকাতদের আক্রমণে তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার দিন রাতে জো এবং ব্ল্যাক ফ্যাগ প্রতিষ্ঠাতা হেনরি রোলিনস একটি দোকান থেকে বের হতেই কয়েকজন তাদেরকে ঘিরে ধরে। তারা তাদের দুজনের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে। জো তাদের ৫০ ডলার দেন। কিন্তু ডাকাতদলের সদস্যরা তাদের দুজনকে বাড়ি থেকে আরো অর্থ এনে দেওয়ার জন্যে বলেন। এরপর ডাকাত দল তাদের মাথায় বন্দুক ধরে বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়ির ঠিক সামনে আসতেই ডাকাতরা জোকে গুলি করে।

এসময় রোলিনস বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে মুখোশধারী এসব ডাকাতদের মুখোশ আর উন্মোচন করা সম্ভব হয় নি। অন্যদিকে, রোলিনস জোয়ের রক্তভেজা মাটি একটি কন্টেইনারে স্মৃতিসরূপ দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে রাখেন। পরবর্তীতে তিনি তার অ্যালবামে অনেক গানও জোকে উৎসর্গ করেন।

 ভয়ঙ্কর রহস্যজনক ৫ টি খুন

৩) রাফেল জোস ভার্গারা হত্যাকাণ্ডঃ

আমাদের মধ্যে অনেকেই বিখ্যাত আমেরিকান টিভি শো “মর্ডাণ ফ্যামিলি স্টার” সোফিয়া ভার্গারাকে চিনে থাকবেন। জনপ্রিয় এই সেলিব্রেটি তার ভাইকে হারান আজ থেকে প্রায় ২২ বছর আগে ১৯৯৬ সালের ১২ই আগস্ট। জো কোলের মত রাফেলও আততায়ীর হাতে খুন হন।

পুলিশ যখন হন্যে হয়ে হত্যাকারীদের খুঁজছে তখন সে তদন্তে জল ঢেলে দিলেন স্বয়ং সোফিয়াই। তিনি বললেন, কয়েকজন লোক ভুলে করে তার ভাইকে অপহরণ করেছিলো।

পরবর্তীতে মুক্তিপণ না পেয়ে হত্যা করেছে। অ্যাডিশনাল ইনফরমেশন হিসেবে তিনি বলেন, দুই বছর আগেও রাফেলের সাথে এমন অপহরণের ঘটনা ঘটেছিলো। তখন তিনি ভালো পরিমাণ মুক্তিপন দিয়েছিলেন এবং এটা হয়ত সেই ঘটনার সাথেই যুক্ত।

পর্দার আড়ালে থাকা ক্রিস্টোফার কলম্বাসের বর্বরতা- পড়তে ক্লিক করুন

কিন্তু “সোফিয়া কিভাবে এতটা নিশ্চিত হলেন?” – পুলিশের এমন প্রশ্নের জবাবে কোন সদুত্তর না পেলেও এই কেসটি ক্লোজ করা হয়। ঘটনাতে নতুন মোড় আসে ১৭ বছর পর, ২০১৩ সালে।

একজন ব্যক্তিগত গোয়েন্দা দাবি করেন, এই হত্যাকান্ডের সাথে নিবিড় যোগসূত্র রয়েছে কলম্বিয়ান নেতা নরতে ডেন ভ্যালের ড্রাগ ডিলার ডিয়েগো মনটয়া সানচেজের সাথে। কিন্তু এই খবর মিডিয়াতে আসার কিছুদিন পরেই সোফিয়া একটি টুইট দিয়ে এমন খবর অস্বীকার করেন! ভাই হত্যায় সোফিয়ার এমন সব কাণ্ডে রহস্যের গন্ধকে আরো তীব্র করে দিয়েছে।  

৪) কেইটলান আর্কুটে হত্যাকাণ্ডঃ

কেইটলান আর্কুটে বিখ্যাত ইয়ং অ্যাডাল্ট আমেরিকান সাহিত্যিক লুইস ডানক্যানের কন্যা। ১৯৮৯ সালের ১৬ই জুলাই রাতে বন্ধুদের সাথে ডিনার শেষে বাড়ি ফিরছিলেন কেইট। হুট করেই রাস্তার মধ্যে তার ড্রাইভারের লুকিং গ্লাস দিয়ে দুটি বুলেট তার মাথায় আঘাত করে।

এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি কোমাতে পড়ে যান। পরবর্তী দিন, তার ব্রেইন ড্যামেজ হয়। এরপর তিনি মারা যান।

এর কিছুদিন পরেই পুলিশ প্রমাণ ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে খোঁজা শুরু করে। প্রথমে, পুলিশের সন্দেহের তালিকায় আসে কেইট প্রেমিক “ডুন গুয়েন”-এর নাম। পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত পিস্তলের সাথে তার হাতের ছাপ পরীক্ষা করে। কিন্তু ফলাফল নেগেটিভ আসে।

অন্যদিকে, কেট এবং গুয়েনের শেয়ার করে থাকা অ্যাপার্টমেন্টেও কোন জোরালো প্রমাণ পাওয়া যায় নি। তবে ঘটনার পাঁচ দিন পরে, গুয়েন আলোচনায় আসার মত কিছু করে ফেললেন। নিজের পাকস্থলীতে নিজেই ছুরি চালিয়ে আত্নহত্যা করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু সে যাত্রায় বেঁচে গেলেন। অন্যদিকে, পুলিশ পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে বেশিদূর অগ্রসর হতে পারল না।  

এরপর মা লুইস এবং কেইটের বড় বোন রবিন নিজের হাতে এই কেসের দায়িত্ব নিলেন। তারপর তারা কেটের বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতজনদের কাছ থেকে জানতে পারলেন, গুয়েন কিছুটা গোমর রেখে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। ভালো মানুষের আড়ালে অন্য এক মানুষ ছিলেন তিনি।

অভিশপ্ত এক কোহিনুর হীরার আত্মকাহিনী- পড়তে ক্লিক করুন

গুয়েন একটি মাল্টি-মিলিয়ন ডলারের ভুয়া ইন্সুরেন্স কোম্পানির সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি ভুয়া গাড়ি পুড়িয়ে টাকা উপার্জন করতেন। অন্যদিকে, তিনি জানতেন তাকে কেট হত্যাকাণ্ডে কোন না কোন সময় শূলে চড়ানো হতে পারে। তাই তিনি পাকস্থলীতে আঘাত করে আত্নহত্যার ঘটনা সাজিয়েছিলেন।

তবে মজার ব্যাপার হলো- এই ঘটনায় তার পাকস্থলীতে আঘাত লাগেই নি। যাই হোক, পুলিশের কাছে এসব এভিডেন্স উপস্থাপন করা হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে সব উড়িয়ে দেওয়া হয়।

রবিনের তদন্তে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসে। যেমনঃ কেটের বাড়িওয়ালার কাছ থেকে তারা জানতে পারেন, কেট তার প্রেমিককে নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত ছিলো। তার বন্ধুরা বহুবার তাকে ঘরের তালা পরিবর্তন করতে বলেছিলো।

অন্যদিকে, কেট মারা যাওয়ার রাতে কেটের এক বান্ধবী গুয়েনের কাছ থেকে ফোন কল পায় যেখানে গুয়েন “কেট ডেড” বলে চিৎকার করেছিলো। কিন্তু পরে দেখা যায়, গুয়েন এই ফোন কল কেট মারা যাওয়ার খবর পাবার আগেই করেছিলো। যখন কেটের বন্ধু এই তথ্য পুলিশ ও গোয়েন্দাদের দেয় তখন তারা এটি গ্রহণ করেনি।

মা-মেয়ের এই তদন্তে একটি হাতে লেখা চিরকুট পাওয়া যায়। পুলিশের কাছে থাকা প্রমাণ ও চিরকুটের হাতের লেখা আলাদা ছিলো। এসব কারণে লুইস বিশ্বাস করেন, পুলিশের অবহেলার কারণে এই হত্যাকাণ্ডের কোন কূল-কিনারা হয় নি। তবে তিনি নিজ দায়িত্ব তদন্ত চালিয়ে যান। ২৫ বছর তদন্ত চালানোর পর, ২০১৬ সালে লুইস মারা যাওয়ায় এই হত্যা রহস্যও আধারেই থেকে যায়।

ভয়ঙ্কর রহস্যজনক ৫ টি খুন

৫) ক্যারেন কাপচিনেট হত্যাকাণ্ডঃ

ক্যারেন কাপচিনেট শিকাগোর বিখ্যাত কলামিস্ট ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব আর্ভ কাপচিনেট-কন্যা। ১৯৬৩ সালের ২৮ শে নভেম্বর তাকে তার বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

মৃত্যুর আগের রাতে ক্যারেন “লস্ট ইন স্পেস” এর কাস্ট মেম্বার মার্ক গোড্ডার্ড ও তার স্ত্রীর সাথে তাদের বাড়িতে ডিনারে অংশ নেন। এই দম্পতি কাছ থেকে জানা যায়, ডিনারের সময় ক্যারেন অনেক অন্যমনস্ক ছিলেন। তিনি খাবার খাচ্ছিলেন না এবং বারবার কেঁদে দিচ্ছিলেন। কারণ হিসেবে ক্যারেন বলেন, কেউ একজন একটি বাচ্চাকে তার ঘরের দরজার কাছে রেখে দিয়েছে; বাচ্চাটির জন্যে তার খারাপ লাগছে।

এরপর ক্যারেন ডিনার শেষে রাত ৮.৩০ মিনিটে তিনি তার বাসায় ফেরেন। বাড়ি ফিরে গোড্ডার্ডকে ফোন করার কথা থাকলেও তিনি করেন নি। বাসায় ফিরেই তিনি লেখক এডওয়ার্ড স্টিফেন এবং অভিনেতা রবার্ট হাথাওয়ের সাথে যোগ দেন। স্টিফেন এবং হাথাওয়ে গোয়েন্দাকে বলেন, তারা তিনজন একসাথে ড্যানি কে শো দেখেন এবং রাত ১১.১৫-র দিকে ক্যারেনের বাড়ি ত্যাগ করেন। তাদের তথ্য মতে, এরপর ক্যারেন ঘুমিয়ে যান।  

এরপর ৩০ শে নভেম্বর, গোড্ডার্ড ক্যারেনের অ্যাপার্টমেন্টে আসেন। কারণ ২৮ তারিখ বাসায় আসার পরেও ক্যারেন তাকে ফোন করেন নি। ক্যারেনের ঘরে ঢুকতেই তিনি ক্যারেনের রক্তেমাখা অনাবৃত দেহ দেখত পান। তারপর, পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ প্রাথমিক অবস্থায় ড্রাগের ওভারডোজকে মৃত্যুর কারণ হিসেবে অভিহিত করেন।

অন্যদিকে, গোড্ডার্ড ও প্রেমিককে বলা দরজার সামনে পড়ে থাকা শিশুর ঘটনার কোন সত্যতা পায় নি পুলিশ। তবে সেসময় ক্যারেনের প্রেমজীবন ভালো যাচ্ছিলো না। যার কারণে প্রেমিক অ্যান্ড্রু প্রাইনকেই প্রধান সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়। অন্যদিকে, ক্যারেনকে জীবিত দেখা শেষ দুজন ব্যক্তি রুবিন ও হাথাওয়ে দুজনেই প্রাইনের বন্ধু। তবে তদন্তের অগ্রগতি সন্দেহ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে। এর কারণ হলো, ১৯৮৮ সালের আর্ভ কাপচিনেট ক্যারেনকে নিয়ে লেখা একটি স্মৃতিচারণে প্রধান সন্দেহভাজন প্রাইঙ্কে নির্দোষ বলে দাবী করেন।

ভয়ঙ্কর রহস্যজনক ৫ টি খুন

এরপর ক্যারেন হত্যাকাণ্ডের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হলো – ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত পেন জোনেসের একটি বক্তব্যে। তিনি বলেন, ক্যারেনের হত্যার সাথে প্রেসিডেন্ট জন কেনেডির গুপ্তহত্যার অনেকখানি যোগসূত্র রয়েছে। তিনি বলেন, জন কেনেডিকে হত্যার বিশ মিনিট আগে একজন অপরিচিত মহিলা লোকাল অপারেটরকে ফোন দিয়ে হত্যার ব্যাপারে জানায়। তার দাবি, এটি ক্যারেন ছিলো।

তিনি আরো দাবি করেন, ক্যারেনের বাবা এইসব গুপ্তহত্যা সম্পর্কে জ্যাক রুবির কাছ থেকে আগেই কিছু খবর পেতেন। এই সূত্রে ক্যানেডির হত্যার কথাও তিনি জানতেন। যার কারণে ইতালি-আমেরিকান মাফিয়া এই হত্যাকান্ড চালায়। তবে আর্ভ কাপচিনেট এমন দাবি নাকোচ করেন। ফলে এই হত্যাকাণ্ড অমিমাংসিতই থেকে যায়।

Share this

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top