অভিযাত্রী সাহিত্য পাতায় কবি মাহমুদুল হাসান ফেরদৌসের কবিতা
থেমে যাওয়া গল্পের চরণ
গল্পটি থেমে গিয়েছিল সেদিনই,
তারপর বহুদিন আমরা দেখিনি কারো মুখ আর।
চোখের কপাট খুলেও
নজরে আসেনি আর সেই মেঠোপথ।
সেই অঞ্জির গাছটির নিচে ঝড়ে পড়া ফল
টুকিয়ে নিয়েছে দিনখেকোদের দল।
আমরা চৈত্রের বৈচিত্রের ভেতর
অনিমেষ দৃষ্টি দিয়ে হারিয়েছি বর্ষার গান।
সেদিনের পর, হ্যা সেদিনের পর
কোন সংসারে আর ঘটেনি সম্প্রসারণ।
বিস্মৃতির চৌকাঠ
বুকের ভেতর গাই মেরে উঠে
এক ঝাঁক কবিতা,
কিন্তু হায়! অতৃপ্ত সাধুর সাধনায়
নেই আর কবিতার ঠাঁই।
পাখনার নিঃশ্বাসে আটকে রেখে প্রশান্তি
কবিতা গিলে খায় সময়ের টোপ
হেসে হেসে, ভেসে ভেসে কাব্যতা টিকে থাকে
জোয়ার-ভাটায় শুদ্ধতার আশ্বাসে।
বিস্মৃতির চৌকাঠ পেড়িয়ে
নিশাচরের বেশে যে স্রোত হারায়
মগ্নতার প্রাচীরের পাশে, তাতে
কোন কাঙ্গাল বাঁধবে মাদুলি।
জলজ
আমরা জলের জীব, জল থেকে ডুবে যাই জলে,
আমাদের পাখনায় স্রোতের আন্দোলন
আমরা জেগে থাকি জন্মান্ধের কৌতুহলে।
আমরা খেয়ালে ভেসে চলি, খেয়ালে হারাই
নিদ্রাহীন দিন আমাদের, এইসব জলজ পাড়ায়।
আমাদের উচ্ছ্বাসে জাগে জলোচ্ছাস
মেঘের সাথে ঘটে মোদের সন্ধি,
আমাদের প্রণয়ে হাসে জলদানব
আমরা মিথ্যা আশ্বাসে বন্দি।
আমাদের এই জলপাড়ায় নৃত্য করে জলের স্রোত,
আমাদের জলের মাঠে টিকে থাকে সঞ্চিত ক্রোধ।
আমরা জলের জীব, বাস মোদের জলে,
আমরা দিন দিয়ে দিন বুনি, জলজ চলাচলে।
কবি মাহমুদুল হাসান ফেরদৌসের কবিতা
কেমন লেগেছে তা কমেন্ট করে জানান।
আরও কবিতা পড়ুন:
নুসরাত নুসিনের কবিতা আমরা দুজনে রক্তমর্মর ভাঁটফুল